এই পোস্টটি সিরিয়াতে বেঁচে থাকা নামের আমাদের বিশেষ কভারেজ একটি অংশ
প্রায় দশ লক্ষ সিরিয় শরণার্থী’র ঠিকানা এখন লেবানন, যা লেবাননের নিজের জনসংখ্যার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ।
লেবাননের রাজধানী বেইরুত ভিত্তিক একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জোশ উড টুইটের একটি ধারাবাহিকে এই গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, “দেশটিতে লেবাননের অধিবাসী এবং এই বিরাট সংখ্যক শরণার্থীদের মধ্যকার সম্পর্কটি কতোটা খারাপ তা সংক্ষেপে দেখুনঃ”
Yesterday @mgdowney gave kids at refugee gathering in S. Lebanon a soccer ball to stop them swarming camera (and because he's a nice guy)1/3
— Josh Wood (@woodenbeirut) September 29, 2013
দক্ষিণ লেবাননে শরণার্থীদের ভীড়ে গতকাল @এমজিডোউনি বাচ্চাদের তাঁর ক্যামেরার সামনে জড়ো হওয়া (কারন তিনি একজন ভালো মানুষ) থামাতে একটি ফুটবল দিয়েছেন। ১/৩
Today we return. Soccer ball was accidentally kicked over wall into hospital grounds. Policeman nearby cut it in half, threw it back. (2/3)
— Josh Wood (@woodenbeirut) September 29, 2013
আমরা আজ ফিরেছি। লাথি মারার কারনে দুর্ঘটনাবশত ফুটবলটি দেয়াল পেরিয়ে একটি হাসপাতালের মাঠের ভেতর ঢুকে যায়। কাছেই একজন পুলিশ এটিকে কেটে দু’ভাগ করে, ছুড়ে মেরে ফেরত পাঠায়। (২/৩)
The whole incident kind of summed up how bad relations are between Lebanese and the massive number of Syrian refugee now in country (3/3)
— Josh Wood (@woodenbeirut) September 29, 2013
এই পুরো ঘটনাটি একত্র করলে বোঝা যায়, এখন দেশটিতে লেবাননের নাগরিক এবং সিরিয়ার ব্যাপক সংখ্যক শরণার্থীদের মধ্যকার সম্পর্কটি কতোটা খারাপ। (৩/৩)
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছেনঃ
Syrian refugee on Lebanese visitors to gathering: “They don't drink coffee or tea. They wash their hands after they shake hands with us”
— Josh Wood (@woodenbeirut) September 29, 2013
সিরিয়ার শরণার্থীদের সাথে লেবাননের নাগরিকদের দেখা হলেঃ “তাঁরা চা অথবা কফি পান করে না। আমাদের সাথে করমর্দন করার পর তাঁরা তাঁদের হাত ধোয়”।
উড আজ সন্ধ্যায় একটি টুইটে লেবাননে খুব কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন কিছু শরণার্থীর চেহারার টুকিটাকি বর্ণনা করেছেনঃ
Beirut: Refugee kid (8 years old maybe?) sleeps in box across the street from bars. Couple make out next to box. Parents killed in Aleppo
— Josh Wood (@woodenbeirut) October 1, 2013
বেইরুতঃ গরাদ থেকে সারা রাস্তা জুড়ে থাকা বাক্সতে শরণার্থী শিশু (হতে পারে ৮ বছর বয়স?) ঘুমায়। বাক্সের পাশেই একটি জুটি অন্তরঙ্গ হয়ে বসে। তাঁর মা বাবা আলেপ্পোতে মারা গেছে।
সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী কার্ল বিল্ডট এটিকে সাদা কালোয় আচ্ছন্ন করে রেখেছেনঃ
Today 20-25% of total population of Lebanon are Syrian refugees. Would be app 2 million in Sweden. We must show solidarity.
— Carl Bildt (@carlbildt) September 23, 2013
লেবাননের মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০-২৫ ভাগ আজ সিরিয়ার শরণার্থী। আরো ২ মিলিয়ন শরণার্থী সুইডেনে আছে। আমাদের সৌহার্দ্য দেখানো উচিৎ।
সব মিলিয়ে প্রায় দুই মিলিয়ন সিরিয়ার নাগরিক যুদ্ধের কারনে নিজ দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে। গত ৩০ মাস ধরে তাঁদের বেশীরভাগই লেবানন, তুরস্ক, জর্ডান এবং ইরাকে পালিয়ে গেছে। তাঁরা বিশ্বাস করে, দ্বন্দ্ব এড়াতে আরো কয়েক মিলিয়ন সিরিয়ার নাগরিক নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে সিরিয়ার ভেতরেই অন্যান্য জায়গায় চলে গেছে।
অতঃপর, সিরিয়ার সক্রিয় কর্মী আমাল হানানো বলেছেন, সিরিয়ার শরণার্থীদেরকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য সাহায্য করা উচিৎ। তিনি ব্যাখ্যা করেছেনঃ
The solution is not building permanent homes for Syrian refugees in Lebanon, it's helping the refugees go back to their homes. #Syria
— Amal Hanano (@AmalHanano) September 27, 2013
লেবাননে সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য স্থায়ী বাড়ি নির্মাণ করাটা কোন সমাধান নয়। তাঁদেরকে নিজ দেশে ফিরে যেতে সাহায্য করাটাই আসল সমাধান। #সিরিয়া
এই পোস্টটি সিরিয়াতে বেঁচে থাকা নামের আমাদের বিশেষ কভারেজ একটি অংশ