এই পোস্টটি অব্যক্ত সিরিয়া [1]থেকে পুনরায় প্রকাশিত।
সিরিয়-ফিলিস্তিনি একটি হিপ-হপ ব্যান্ড হচ্ছে র্যাপ শরণার্থী। এটি সিরিয়াতে হওয়া প্রথম ব্যান্ডগুলোর একটি। চারজন র্যাপারের মধ্যে সিরিয়, ফিলিস্তিনি এবং আলজেরিয়ার বংশোদ্ভূত রয়েছেন। ইয়ার্মুকের ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে তাঁরা ২০০৫ সালে গান গাওয়া শুরু করেন। ক্যাম্পটি সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের শহরতলিতে অবস্থিত। তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গান গেয়েছেন। তাঁরা কায়রো অপেরা হাউসের মতো অঞ্চলটির সবচেয়ে সম্মানিত কিছু জায়গায়ও গান গেয়েছেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাঁদেরকে মৃত্যু হুমকি দেওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁরা গান গেয়ে গেছেন। তাঁদের স্টুডিওটি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে এবং তাঁদেরকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। কিছুদিন আগে তাঁদের তৃতীয় এ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে। অ্যালবামটির নাম “নিশ্চুপ থাকার সময়”।
এটি একটি ক্ষমতাধর রূপক, যেখানে সিরিয়াকে কয়েক দশক ধরে জোর করে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে।
২০১১ সালের মার্চ মাসে যখন সিরিয়াতে জনপ্রিয় জাগরণটি শুরু হল, তখন এই সংগ্রামে র্যাপ শরণার্থীরা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তাঁদের গানকে ব্যবহার করেছিল। এতে শীঘ্রই তাঁর শাসনতন্ত্রের দ্বারা নিগৃহীত হতে শুরু করে। এই নির্যাতন তাঁদের ঝকমকে নতুন স্টুডিওটি ধ্বংসের মাধ্যমে শেষ হয়। ব্যান্ডটির অন্যতম এক সদস্য ইয়াসের জেমাস অব্যক্ত সিরিয়াকে বলেছেন, “ক্যাম্পটিতে স্টুডিওটি জাতিসংঘের অর্থায়নে নির্মিত হয়। আমরা এটিকে শাত আল শাব (জনগণের কণ্ঠস্বর) বলতাম। তাঁরা নিজেদের জীবন বাঁচাতে ২০১৩ সালের মে মাসে দেশ ছেড়ে চলে যান। কিন্তু আসাদ শাসনতন্ত্রের অধীনে সিরিয়ার জনগন যে নৃশংসতা ভোগ করছিল, তাঁর প্রকাশ্য নিন্দা জানাতে তাঁরা তাঁদের গানের কথাগুলো ব্যবহার করতে থাকে।
ইয়াসের ব্যাখ্যা করেছেন, “আমার ভাই এবং আমি অবশেষে ফ্রান্স আসতে এবং সিরিয়া থেকে বের হওয়ার জন্য ভিসা পেতে সক্ষম হই”। “সুইডেনে যাত্রা বিরতির আগে আমরা প্যারিসে যাওয়ার জন্য একটি ফ্লাইট ধরি, কারন সেখানে আমাদের কিছু বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়স্বজন বাস করে। আমরা দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করি। এর পাশাপাশি ডেনমার্কের মতো অন্যান্য দেশেও ভ্রমণ শুরু করি। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত ডাবলিন ২ নামের একটি ইউরোপীয় অভিবাসী আইনের কারনে, আমাদেরকে আবার ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেয়া হয়”। তাঁরা এখন নিরাপদ আশ্রয়স্থানের জন্য আবেদন করছেন এবং আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই তাঁরা শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।
র্যাপ শরণার্থীরা সারা বিশ্বের বিখ্যাত সব শিল্পীদের সাথে কাজ করেছেন। যেমন ফিলিস্তিনের হিপ-হপ ব্যান্ড দাম – এর “আফকার” (চিন্তা) গানটির সাথে তাঁরা র্যাপ করেছেন। আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমেও তাঁদের কাজগুলো দেখানো হচ্ছে। যেমন রোলিং স্টোন [3]। ২০১০ সালে বিবিসি তাঁদের কাজগুলো নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি [4]তৈরি করে।
র্যাপ শরণার্থী সম্পর্কে আরো কিছু খুঁজতে তাঁদের ফেসবুক [5]পেজ, টুইটার [6]একাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেলে [7]দেখুন।
এই পোস্টটি অব্যক্ত সিরিয়া [1]থেকে পুনরায় প্রকাশিত।