ওবামা বলেন, “আমরা ইরানের সরকার পরিবর্তন চাইছি না এবং ইরানী জনগণের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি পাবার অধিকারের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে”।
রুহানি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাষণ মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং আশা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র “যুদ্ধ ব্যবসায়ীদের চাপে অদূরদর্শী স্বার্থ অনুসরণ থেকে বিরত থাকবে”, যাতে দুই দেশ “আমাদের মতপার্থক্য দূর করতে একটি কাঠামোয় পৌঁছাতে পারে। বন্ধুত্বপূর্ণ ভাষায় তিনি আরও বলেন, ইরান “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে চায় না।”
হতাশা থেকে সম্মান – নেটিজেনরা রুহানির বক্তৃতায় বিভিন্ন ধরণের মতামত প্রকাশ করেছেন।
ডিজিটাল কর্মী আরাশ কামাঙ্গির [ফার্সী ভাষায়] টুইট করেছেন:
حسن #روحانی دعوا نداشت. از صلح حرف زد. در قامت یک رییسجمهور ظاهر شد. @Rouhani_ir
— Arash Kamangir (@Kamangir) September 24, 2013
রুহানি যুদ্ধ চান না। তিনি শান্তির কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপতির মত তাঁর উদয় হয়েছে।
এছাড়াও টুইটারে, তাতঅয়ানি১ বিদ্রূপের সঙ্গে লিখেছেন [ফার্সী ভাষায়]:
بعضیا هم انتظار دارن #روحانی وسط سازمان ملل داد بزنه ” بان کی مون یادت باشه موسوی باید باشه ” 😐 — T@H£R£ (@Taaatweny1) September 24, 2013
কিছু লোক আশা করেছিলেন, রুহানি জাতিসংঘে চিত্কার করে বলবেন, মিঃ বান কি মুন [জাতিসংঘের সাধারণ সম্পাদক] মনে রাখবেন, মীর হুসেইন মুসাভীর [ইরানের বিরোধী নেতা] এখানে থাকা উচিত ছিল।”
গত ১৭ জুন রুহানির আগের সংবাদ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে কেউ কেউ ক্যামেরার সামনে প্রেসিডেন্টকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে বলছেন, “রুহানি, মনে রাখবেন, মুসাভীর এখানে থাকা উচিত ছিল!”
জেদ্দাল [ফার্সী ভাষায়] টুইট করেছেন:
زبان سخنرانی #روحانی تا این لحظه سکولارترین و غیرایدئولوژیکترین سخنرانی است که از یک ایرانی (حتی اپوزیسیون) میتوان انتظار داشت.
— Ali Alizadeh علیز (@Jedaaal) September 24, 2013
রুহানির বক্তৃতা ছিল সবচেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ ও অভাবাদর্শগত যা আমরা ইরানীরা এমনকি বিরোধীদের কাছ থেকেও তা আশা করতে পারি।
বিদ্রূপের সঙ্গে আলী লিখেছেন [ফার্সী ভাষায়]:
متن سخنرانی #روحانی رو #احمدینژاد تنظیم کرده بود
— Ali (@AliStar66) September 24, 2013
অবশ্যই আহমাদিনেজাদ [সাবেক কট্টরপন্থি ইরানি প্রেসিডেন্ট] রুহানির বক্তৃতা লিখে দিয়েছেন।
ফারশিদ ফারাবি টুইট [ফার্সী ভাষায়] করেছেন, যদিও রুহানির বক্তৃতা বাস্তবানুগভাবে রাজনৈতিক এর বদলে আধ্যাত্মবাদীভাবে লেখা হয়েছিল, তাঁর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার দিকটি ভাল ছিল।
সংকট সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান উভয় দেশই আলাপ – আলোচনা ও পারস্পরিক সম্মানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে বক্তব্য রাখছে। একজন নেতৃস্থানীয় ইরানী কার্টুনিস্ট মানা নেয়েস্তানির আঁকা ইরান যুদ্ধের উপর তার কার্টুনের [উপরে] ব্যাখ্যা হতে পারে এমন, সৈনিকের পোষাক ত্যাগ করার এখনই সময়। আমরা এক দিন হয়তো দুই দেশের নেতাদের করমর্দন করতে দেখব … এমনটা শীঘ্রই আশা করছি।