বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে থাইল্যান্ড।
সরকার ধান চাষী কৃষকদের যে সুবিধা প্রদান করে রাবার কৃষকরা সেই একই সমর্থন চেয়েছিলেন। বিশেষ করে, তারা সরকারের কাছে মূল্য ভর্তুকির দাবি জানিয়েছিলেন।
এই এএফপি ভিডিওটি রাবার কৃষকদের রাস্তা অবরোধ প্রতিবাদ দেখাচ্ছে:
ব্যাংকক পণ্ডিত ক্রমবর্ধমান চাল ও রাবার মূল্য হিসেবে থাইল্যান্ডে কৃষকদের আয়ের বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, রাবার চাষীরা ধান চাষিদের চেয়ে বেশি আয় করেনঃ
… একটি সামগ্রিক পর্যালোচনা থেকে দেখা যায়, কিছু সময়ের জন্য রাবার চাষীরা ধান চাষিদের চেয়ে বেশি আয় করেন। কম দামের জন্য রাবার চাষীরা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে তারা বেশ ভাল অবস্থায় রয়েছেন।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছেন, প্রাকৃতিক রাবারের দাম সিনথেটিক রাবারের কারণে প্রভাবিত হয়ঃ
… সিনথেটিক রাবার সব পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক রাবার জন্য নির্ভুল বিকল্প নয় এবং প্রাকৃতিক রাবারও যে কোনো সময় শীঘ্রই চলে যাচ্ছে না। কিন্তু সিনথেটিক রাবার প্রাকৃতিক রাবারের একটি বিকল্প এবং এর মূল্য প্রধানত তেলের দাম দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই রাবার বাজারকে প্রভাবিত করা এত সহজ নয়।
কথিত আছে, রাবার চাষীদের সাহসী প্রতিবাদ বিরোধী দলের দ্বারা প্রভাবিত ছিল, যাদের বেলিফের অধিকারভুক্ত এলাকা দক্ষিণ থাইল্যান্ডের রাবার উৎপাদনকারী প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত। থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক বন্দীরা লিখেছিলেন:
… ডেমোক্র্যাট পার্টির শক্ত ঘাটি হচ্ছে দক্ষিণ অংশ, সেখানকার বিখ্যাত এবং ধনী রাজনৈতিক সংগঠক হলেন সুথেপ থুগসুবান। নির্বাচিত সরকারকে অস্থিতিশীল এবং অচল করার চেষ্টা করতে কষ্টসহিষ্ণু তরুণদের দ্বারা জনবহুল একটি ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে রাজনৈতিক যুদ্ধকৌশলের মত।
বিরোধী দলীয় দ্বারা প্ররোচিত হোক বা না হোক, সেখানে একটি দুর্দান্ত প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। থাইইন্টেলিজেন্টনিউজ লক্ষ্য করেছে:
.. সবচেয়ে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক এখন বলছেন, ইংলাকের হাতে রাবার কৃষকদের প্রতিবাদের মতো একটি পূর্ণ প্রস্ফুটিত রাজনৈতিক আন্দোলন রয়েছে।
ইংলাক বলতে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনেয়াত্রাকে বোঝানো হয়েছে। প্রতিবাদটি পরিষ্কারভাবে সরকারের মনোযোগ পেতে সফল হয়েছে। কারণ, কয়েক দিন আগে একটি ভর্তুকি পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা সম্প্রতি সেপ্টেম্বর ২০১৩ থেকে মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত রাবার কৃষকদের জন্য ভর্তুকি বৃদ্ধির ২১.২ বিলিয়ন বাথের একটি তহবিল অনুমোদন করেছে। এর আগে সরকার তাদের নিজস্ব সমবায় গঠন করতে রাবার কৃষক দলের প্রতি আহ্বান জানায় এবং তাদের উত্পাদন মাত্রা বৃদ্ধিতে রাবার ভিত্তিক শিল্পে ঋণ বৃদ্ধিতেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এদিকে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দেশে বাড়তি রাবার সরবরাহ বাড়ানোর জন্য থাইল্যান্ডে কনডম উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে।
সরকার কর্তৃক ঘোষিত ভর্তুকি পরিকল্পনা কৃষকদের বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করেছে। সহায়ক প্যাকেজটিকে অনেক দল স্বাগত জানালেও কিছু দল এটি প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সপ্তাহেও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে এবং কিছু কৃষকদের এই সমাবেশ অংশগ্রহণ করার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে।