গত ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে টোকিও, মাদ্রিদ ও ইস্তাম্বুল শহরের মধ্য থেকে ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য স্বাগতিক শহর নির্বাচন করতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্যরা ভোট দিয়েছেন। ভোটে ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য স্বাগতিক শহর হিসেবে টোকিও নির্বাচিত হয়েছে।
টোকিও’র এই জয় উদযাপন করতে গিয়ে মতামতদানকারীরা টুইটারে এর মাধ্যমে শহরটির উন্নয়নের ব্যাপারে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
যোগাযোগ পরিচালক এবং এক ডজন বইয়ের লেখক নবুকি সাতো, যার টুইটারে ৭০,০০০ এর বেশি অনুগামী রয়েছে, তিনি এই অলিম্পিক / প্যারালিম্পিকের স্বাগতিক দেশ হওয়ার উজ্জ্বল দিকগুলোর প্রতি গুরুত্তারোপ করেছেন:
期限と達成目標は日本人を必ず団結させ強くする。東京でのオリンピック/パラリンピックは東北の復興を必ずや加速させると思うし、抱えている様々な問題も良い方に向かわせると信じます。後ろ向きな言葉はいくらでも言える。心配事も山ほどある。でももう決まったんだし、一緒にがんばりましょう。
— さとなお (@satonao310) September 7, 2013
সাধারণ নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং উদ্দেশ্য জাপানিদের আরও ঐক্যবদ্ধ এবং জোরদার করবে। টোকিওতে অলিম্পিক/প্যারালিম্পিক আয়োজনের ফলে দুর্যোগ পীড়িত টহোকু অঞ্চলের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে বলে আমি মনে করি। একই সময়ে, এই ব্যাপারে অনেক নেতিবাচক শব্দ ও প্রচুর উদ্বেগজনক বিষয় রয়েছে, এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। চলুন, একসঙ্গে কাজ করতে আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করি।
সামাজিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অলিম্পিকের ব্যাপারে জাপানিদের মধ্যে অনলাইন কথোপকথন হঠাৎ করে বিস্ফোরিত আকারে প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে প্যারালিম্পিকের উপর কথোপকথনও বেড়েছে, তবে তেমন আকারে নয়।
আকারে যদিও কম, তবুও ২০২০ সালের অলিম্পিক/প্যারালিম্পিকের স্বাগতিক হিসাবে টোকিও শহরকে মানুষের জন্য আরো বেশি সুগম করে তুলবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন।
টোকিও বসবাসরত একজন জার্মান সাহিত্য অনুবাদক এবং শান্তির উকিল কায়োকো ইকেদা তার ইচ্ছাগুলোর তালিকাভুক্তি করেছেন:7年後、町中がバリアフリーになり、Wi-Fiがどこでも繋がり、電柱がなくなり、羽田成田東京がもっと近くなり、築地市場に外国の人の笑顔があふれ、ヘイトスピーチはとっくに影をひそめ、津波被災地域が立ち上がり、原発事故処理は着々と進み、原発が動いてなくて、再エネに切り替わってたらいいな
— 池田香代子 (@ikeda_kayoko) September 7, 2013
আমি সত্যিই আশা করি যে সাত বছর পর:
টোকিও’র প্রতিটি কোণে সর্বজনীন নকশা [সব মানুষের জন্য বাধা মুক্ত, প্রবেশযোগ্য] কার্যকরী হবে;
সর্বব্যাপী ওয়াইফাই সংযোগ এবং টেলিগ্রাফের খুঁটি বিলুপ্ত হবে;
সুকিজি বাজার [বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাইকারি মাছ এবং সীফুড বাজার] বিশ্বের বিদেশী পর্যটকদের হাসিতে ভরা থাকবে;
টোকিও, হানেদা এবং নারিতা বিমানবন্দর আরও সুগম হবে; ঘৃণা বক্তৃতার অবসান ঘটবে;
সুনামি আক্রান্ত অঞ্চলগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ঘটবে; পারমাণবিক শক্তি প্ল্যান্ট দুর্ঘটনা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রিত হবে;
এবং কোন পারমাণবিক প্ল্যান্ট চালু থাকবে না এবং আমরা নবায়ন যোগ্য শক্তিতে ফিরে যাব।
এছাড়াও গেম ডিজাইনার এবং অনুবাদক শিন অকাদা সুপরিণতি সমাজের জন্য আরও প্রবেশযোগ্যতার জন্য তার আশা প্রকাশ করেছেন।
オリンピックもそうなんですがパラリンピックが開催されるということで街や交通機関のいっそうのバリアフリー化とかそういう方向でも盛り上がってほしいな。うちの母とかもう八十台半ばになっちゃうので、足腰の不自由なお年寄りでも気軽に会場に見に行けるようにしておいてほしい
— 岡田伸 (@AsobininNoShin) September 7, 2013
অলিম্পিক/প্যারালিম্পিক আয়োজনের ফলে, শহরটি এবং এর পাবলিক পরিবহনগুলো উন্নতির ক্ষেত্রে সর্বজনীন নকশার দিকে ধাবিত হবে, এর সুবিধাগুলো সবার জন্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে বলে আমি আশা করি। ২০২০ সালে আমার মায়ের বয়স মধ্য-আশি হবে। তাই আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, হাঁটার অসুবিধায় ভোগা বৃদ্ধদের জন্যও সুবিধাগুলো সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করা হবে।