টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি’র (টেপকো) [1] মতে [জাপানিজ], ফুকুশিমা দাইচির পারমাণবিক পাওয়ার প্ল্যান্টের ভিতরে দূষিত পানির ট্যাংকে আরও চারটি ছিদ্র আবিষ্কৃত হয়েছে। সেখানে ট্যাংকের নীচে বি গ্রুপ এইচ৩ এলাকায় সর্বোচ্চ বিকিরণ মাত্রা “প্রতি ঘন্টায় ১,৮০০ মিলিসিভারটস ডোজ সমতুল্য ৭০ মাইক্রোমিটার” পাওয়া গেছে।
“প্রতি ঘন্টায় ১,৮০০ মিলিসিভারটস ডোজ ৭০ মাইক্রোমিটার সমতুল্য” কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে? নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, “প্রাণঘাতের জন্য প্রতি চার ঘন্টায় একটি ডোজই যথেষ্ট”। [2] কিন্তু একজন বেনামী জাপানি ব্লগার যিনি এক্স-স্কিফ.ব্লগপোস্ট.জেপি’ [3]তে ব্লগ লিখেন তিনি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে “ডোজ সমতুল্য” তথ্য এড়িয়ে যাবার জন্য মূলধারার মিডিয়াটির সমালোচনা করেছেন। কারণ, তিনি মনে করেন, গামা বিকিরণের কথা প্রকাশ করে পাঠকদের তাঁরা ভুল পথে পরিচালনা করেছে। এই গামা বিকিরণ মানবদেহে উচ্চ মাত্রায় প্রবেশযোগ্য এবং মানুষের টিস্যুর মধ্যে গভীরে ভ্রমণ করতে পারে। কিন্তু বিটা বিকিরণ সেরকম ভাবে মানব দেহে খুব একটা প্রবেশযোগ্য নয়।
এক্স-স্কিফ.ব্লগপোস্ট.জেপিতে ব্লগার ব্যাখ্যা করেছেনঃ [4]
“প্রতি ঘন্টায় ১,৮০০ মিলিসিভারটস ডোজ ৭০ মাইক্রোমিটারের সমতুল্য” কথাটি ব্যবহৃত হয় মানব দেহের বিশেষ অঙ্গ যেমন, চামড়া এবং চোখের লেন্সের জন্য খুবই কাছের বিটা বিকিরণ প্রদর্শন বোঝাতে।
[…]“প্রতি ঘন্টায় ১,৮০০ মিলিসিভারটস বিকিরণ যা একজন ব্যক্তিকে ৪ ঘণ্টায় মেরে ফেলতে পারে”, তা হচ্ছে গামা বিকিরণ।
এই ক্ষেত্রে, বিটা নিউক্লিডে স্ট্রোনটিয়াম সহ আরও বর্জ্য পানি অত্যন্ত বেশি কিন্তু এতে গামা নিউক্লিড বেশি নয়। আপনি মাত্র চার ঘন্টার জন্য এই জলের কাছাকাছি এলে মারা যাবেন না।
প্রতি ঘন্টায় ১,৮০০ মিলিসিভারটস সমতুল্য ডোজ অনেক বেশি, যেখানে ত্বকের জন্য বার্ষিক সমতুল্য ডোজের সীমা ৫০০ মিলিসিভারটস। লেন্সের জন্য তা ৩০০ মিলিসিভারটস।
কিন্তু উদ্দেশ্যেমূলক ভাবে টেপকো থেকে “ডোজ সমতুল্য” এর ক্ষেত্রে প্রকৃত তথ্য এড়িয়ে যাওয়া এবং চার ঘন্টার মধ্যে প্রাণনাশের উত্তেজনাপূর্ণ দাবি মিডিয়ার জন্য আরেকটি হীনতার প্রকাশ।