আজ শুক্রবারের নামাজের সময় একজন সৌদি ইমাম মিশরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে অভিশাপ দিলে রিয়াদের একটি মসজিদে সৌদি এবং মিশরীয়দের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। সংঘাতটি ইউটিউবে আপলোড করার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অনলাইনে এখনও অব্যাহত রয়েছে।
৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওটি ইউটিউবের একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়, যেটি আজ সৌদি ব্লগোস্ফিয়ারের মূল আলোচনায় পরিণত হয়েছে। ইউএমইউএম০৭০৭ আজ একটি সংস্করণ আপলোড করেছে। এই পোস্টটি লেখার সময় পর্যন্ত সেটি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার বার দেখা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আল ফেরদৌস মসজিদের ভিতরে সৌদি পোশাক পরিহিত একজন মানুষ তার পাগড়ি ও আগাল খুলে ফেলছে এবং অন্য একজন মিশরিয়কে আঘাত করছে। আল-সিসিকে অভিশাপ দেওয়ায় লোকটি আপত্তি জানানোর পরেই ঘটনাটি ঘটেছে।
https://www.youtube.com/watch?v=un_l5tvTNe8
আল-সিসি এখন মিশরের প্রথম উপ প্রধানমন্ত্রী, যিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহামেদ মুরসিকে উৎক্ষাত করার পেছনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।
মোহাম্মদ আল ওমর টুইটার এবং কুইপ্সে পোস্ট করা ভিডিওটিতে একটি লিঙ্ক [আরবী ভাষায়] দিয়েছেন:
@MdAlomar: هذا العراك هو الدليل الأول على الفوضى التي قد تحدث في حال نزل الخلاف من تويتر للشارع http://youtu.be/un_l5tvTNe8 #عراك_جامع_الفردوس
টুইটারের হৈচৈ পূর্ণ কলহ যদি রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে এই সংঘাতটি যে সেখানেও ঘটবে এটি সেই বিশৃঙ্খলার প্রমাণ।
ইব্রাহিম আল রাশিদ বলেন, ইমামের মিশরীয় রাজনৈতিক বিষয়াবলির মধ্যে ঢুঁ মারার কোন দরকার ছিল না:
#عراك_جامع_الفردوس أهل مصر أدرى بشؤونها ومن قلة الذوق أن ينصب هذا الإمام نفسه وصيا على المصريين!
— إبراهيم الرشيد (@iar_98) August 23, 2013
মিশরের মানুষ তাদের বিষয়াবলি সম্পর্কে অনেক বেশি জ্ঞান রাখেন। মিশরীয়দের উপর অভিভাবক হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করা এই ইমামের জন্য ঠিক কাজ হয় নি।
ভবিষ্যতে এই ধরনের ধর্মীয় নেতাদের কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে সে ব্যাপারে অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন।
ইয়াজেদ আল-মগ্রেন লিখেছেনঃ
#عراك_جامع_الفردوس في المرةالقادمة على المصلين كسرفك الخطيب المختلفين معه بالرأي لكي يعود الى صوابه ويجعل خطبته خاليةمن وجهات نظره السياسية
— Yazeed Al-Mogren (@Yzd8) August 23, 2013
পরবর্তী সময়, যারা নামাজে থাকবেন তাঁদের ইমামের চোয়াল ভাঙ্গা উচিত, যাতে সে শিক্ষা পায় এবং দোয়ার সময় তার রাজনৈতিক মতামত দেওয়া বন্ধ করে।
তিনি আরও বলেনঃ
#عراك_جامع_الفردوس يقولون اعتقلوا الامام، طيب والبهايم الي انتهكوا حرمة المسجد وضربوا المصريين ليش مايعتقلون ويحاكمون ؟
— Yazeed Al-Mogren (@Yzd8) August 23, 2013
তারা বলছে সেই ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সে সব পশুরা কোথায় যারা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করেছে এবং সেখানে মিশরীয়দের আঘাত করেছে ? কখন তাঁদের গ্রেফতার করা ও বিচারের আয়তায় আনা হবে ?
আক্টিভিস্ট অয়ালেদ সুলাইস আক্রমনাত্মক আচরণের কোনো কারণ দেখতে পান না।
لا للعنف … يجب أن تبقى الخلافات السياسية ضمن السلمية ، وانجرار الأمر إلى العنف وتبريره من أي طرف هو امر مرفوض . #عراك_جامع_الفردوس
— وليد سليس (@WaleedSulais) August 23, 2013
সহিংসতা নয়। রাজনৈতিক পার্থক্য শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিৎ। সহিংসতা তৈরি অথবা ক্ষমা করা সব দিক থেকেই অগ্রহযোগ্য।
তিনি আরও বলেনঃ
الدعاء على الاخرين بشكل استفزازي غير مقبول ، ومواجهة ذلك بضرب من يعترض على ذلك هو أمر مستهجن وقبيح فالانسان له كرامة #عراك_جامع_الفردوس
— وليد سليس (@WaleedSulais) August 23, 2013
অন্যদের অভিশাপ দেওয়া অগ্রহণীয় এবং যে কাউকে মারধর করা জঘন্য ব্যাপার। মানুষের মর্যাদা আছে।
আজিজ নোট লিখেছেনঃ
They laughed at seculars when they said having religious based political parties will cause conflicts even in mosques. #عراك_جامع_الفردوس
— عَزِيْز (@llAMZll) August 23, 2013
ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপারে তাঁদের হাসি পায় যখন তাঁরা বলে, ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল থাকায় দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে। এমনকি মসজিদের ভেতরে।
এবং মজিদ বান্দার বিন্দুর সাথে সংযোগ করেছেন। আল-সিসি এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ উভয়কে ইমাম অভিশাপ দিয়েছেন। তিনি টুইট করেছেনঃ
#عراك_جامع_الفردوس هذا الإمام على نياته الا يعلم ان بشار يقتل بالسلاح الروسي لعنة الله. اما السيسي فهو يقتل بسلاح امريكي
এই ইমাম জানে না যে বাশার রুশ অস্ত্র দিয়ে আর সিসি আমেরিকান অস্ত্র দিয়ে মানুষ মারছে।