ইয়েমেনে গত ৮ অগাস্ট ২০১৩ তারিখে ঈদ (রমজান মাস শেষে উদযাপিত মুসলিম ছুটির দিন) অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটির আগমনও ছিল গত ক্রিসমাস দিনের মতোই। আর তা হল, মার্কিন ড্রোন হামলার মাধ্যমে। তবে এই সময় দুটি নয় হামলা হয়েছে তিনটি।
গোটা মধ্য প্রাচ্য আর উত্তর আফ্রিকার দেশ জুড়ে “সন্ত্রাসী হুমকি”র প্রেক্ষিতে আমেরিকা তার ১৯ টি দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। সেগুলো সিআইএ বন্ধ করে দেয়। আল কায়েদার প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরি এবং নাসির আল-অয়াশি, ইয়মেনের আরব উপদ্বীপের আল কায়েদা (একিউএপি) প্রধান। এছাড়াও আমেরিকা দেশটি ত্যাগ করতে এর নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে এবং দূতাবাস কর্মীদের জার্মানি উড়িয়ে নেওয়ার জন্য বলেছে। গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি এর অনুসরণে ইয়েমেনে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিচ্ছে এবং সে দেশ ছেড়ে চলে যেতে তাদের নাগরিকদের সন্ত্রাসী সতর্কবার্তা প্রদান করেছে।
ঈদের কয়েক দিন আগে গত ৫ আগস্ট তারিখে সানার বাসিন্দারা একটি মার্কিন ড্রোন হতে বোমা নিক্ষেপের শব্দের সন্দেহ জেগে ওঠে। যেটি পরে একটি নজরদারি বিমান বলে চিন্হিত করা হয়। বিমানটি রাজধানীর আকাশে চক্কর দিয়ে এর বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক তৈরীর চেষ্টা করছিল।
উকিল হায়কেল বাফানা৩ টুইট করেছেন:
This “#Yemen terror alert” by the US? The only terror I see in Sanaa right now are the multiple US drones flying over the capital. Scary.
— Haykal Bafana (@BaFana3) August 6, 2013
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই “#ইয়েমেন সন্ত্রাস সতর্ক সংকেত” দিয়েছে? এখন সানাতে একমাত্র যে সন্ত্রাস আমি দেখতে পাচ্ছি তাহলো রাজধানীটির আকাশ জুড়ে একাধিক মার্কিন ড্রোনের ওড়াউড়ি। ভীতিকর।
সক্রিয় কর্মী এবং স্থানীয় অধিবাসী ওসামা আলফাকিহও টুইট করেছেনঃ
1st time to feel real feelings of people in targeted areas by #drones. I'm still watching and hearing a #drone hovering in #Sanaa#Yemen#US
— Osamah Alfakih (@osamahfakih) August 6, 2013
লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া জায়গার লোক হিসেবে এই প্রথম #ড্রোন – এর আসল অনুভুতি অনুভব করলাম। আমি এখনো #সানা – তে #ইয়েমেন #মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি #ড্রোন দেখতে ও বাতাসে উড়তে থাকার শব্দ শুনতে পাচ্ছি।
Conflicting news of what's hovering over #Sanaa is a #drone or Navy P-3 surveillance aircraft #Yemen#US Anyway,it's scary enough for ppl!
— Osamah Alfakih (@osamahfakih) August 6, 2013
#সানা’র বাতাসে কি উড়ছে তা নিয়ে দ্বন্দ্বপূর্ণ সংবাদ, এটি একটি #ড্রোন নাকি কোন লক্ষ্য বিমান ন্যাভি পি-৩ #ইয়েমেন #যুক্তরাষ্ট্র যাইহোক, লোকেদের জন্য তা যথেষ্ট ভীতিকর!
গত কয়েক দিন ধরে ইয়েমেনের রাজধানী সানা, প্রদক্ষিণরত মার্কিন বিমানটির একটি ভিডিও ইয়ুথস্ট্যান্ডইয়েমেন – এর মাধ্যমে ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছেঃ
কিছুদিন পর, ৮ আগস্ট তারিখে ঈদের প্রথম দিন তিনটি ড্রোন আঘাতের বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়। এর মধ্যে দু’টি হাধ্রামাউন্ট ও একটি মারেবে আঘাত করে। এতে ১২ জন নিহত হয়। প্রচার মাধ্যম শিরোনামে প্রায়ই যেগুলোর পরিচয় জানা ছাড়াই “সন্দেহভাজন যুদ্ধরত” হিসেবে নির্দেশ করা হয়।
আহমাদ খালেদের মতো অন্যান্য ইয়েমেনিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন যে সন্ত্রাসের জন্য দায়ী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেঃ
Looks that eid in #yemen well be with #Drones instead of fireworks !!!
— ahmed khaled (@a7khaled) August 7, 2013
দেখুন পটকাবাজির পরিবর্তে #ড্রোন দিয়ে #ইয়েমেন – এ ঈদ উদযাপন হচ্ছে!!!
ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত আমেরিকান সাংবাদিক, ইয়েমেন পোস্টের প্রধান সম্পাদক হাকিম আলমাসমারি টুইট করেছেনঃ
Raining drones in Yemen!!!! Thank you for his Eid gift President @BarackObama. At least 11 killed in three drone strikes today. #Yemen
— Hakim Almasmari (@HakimAlmasmari) August 8, 2013
ইয়েমেনে ড্রোন বর্ষণ হচ্ছে!!! প্রেসিডেন্ট @বারাকওবামা – কে তাঁর ঈদ উপহারের জন্য ধন্যবাদ। আজ তিনটি ড্রোনের আঘাতে কমপক্ষে ১১ জন লোক মারা গেছে। #ইয়েমেন
স্বাধীন সাংবাদিক রানিয়া খালিক টুইট করেছেনঃ
I'm beginning to think the U.S. told its citizens to leave Yemen in order to bomb the crap out of it w/out worrying about killing Americans.
— Rania Khalek (@RaniaKhalek) August 8, 2013
আমি ভাবতে শুরু করেছি, বোমা বর্ষণের কারণে কোন আমেরিকান মারা যাওয়ায় শোকবস্ত্র যেন পরতে না হয়, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগেভাগেই তাঁর নাগরিকদের ইয়েমেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে।
তাঁর ব্লগে “সন্ত্রাসের হুমকি” লিংকটি যোগ করে প্রশ্ন করেছেনঃ
There were 3 U.S. drone strikes in Yemen today. If that's not terrorism, I dunno what is. http://t.co/U8KYQyBv1e
— Rania Khalek (@RaniaKhalek) August 9, 2013
আজ ইয়েমেনে তিনটি মার্কিন ড্রোন আঘাত করেছে। এটা যদি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড না হয়, তবে আমি জানি না সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কি।
ইয়েমেনের বংশোদ্ভূত আমেরিকান সক্রিয় কর্মী রুজ আলওয়াজির অত্যন্ত ভয়ে টুইট করেছেনঃ
#AQAP terror plot hype = psychological warfare. Wasn't there always “imminent threat” isnt that y how we justified our #drone program?
— Rooj (@Rooj129) August 7, 2013
She added:
#একিউএপি সন্ত্রাস চক্রান্ত hype = মানসিক যুদ্ধকালীন অবস্থা। সেখানে কি সবসময় “হুমকি” ছিল না ? এটা কি তা নয় যে, কেন, কিভাবে আমাদের #ড্রোন অনুষ্ঠানকে আমরা সমর্থন করবো ?
তিনি আরো লিখেছেনঃ
Another #drone strike in #Yemen. 3rd strike in 3 days, 6th in 10 days. “bodies were seen lying charred alongside their vehicle” #HappyEid?
— Rooj (@Rooj129) August 8, 2013
#ইয়েমেনে আরেকটি #ড্রোন আঘাত। তিন দিনে তৃতীয় আঘাত, ১০ দিনে ষষ্ঠ আঘাত। “মৃতদেহগুলো তাঁদের যানবাহনের পাশে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় পরে থাকতে দেখা গেছে” #হ্যাপিঈদ ?
ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত আমেরিকান সাংবাদিক আহমেদ শিহাব-এলদিন ও টুইট করেছেনঃ
In #Yemen, as people celebrated #Eid this year, American surveillance and armed #Drones flew above the country, striking & killing dozens.
— Ahmed Shihab-Eldin (@ASE) August 11, 2013
এ বছর যেহেতু #ইয়েমেন – এ জনগণ #ঈদ উদযাপন করছে, তাই আমেরিকান লক্ষ্য এবং অস্ত্রসজ্জিত #ড্রোনগুলো দেশটির উপর দিয়ে উড়েছে, আঘাত করেছে এবং কয়েক ডজন লোক খুন করেছে।
তিনি আরো টুইট করেছেনঃ
The US droned the shit out of Yemen. No one talks about it here. But everyone is talking about it in #Yemenhttp://t.co/Rqn7d0TV0G
— Ahmed Shihab-Eldin (@ASE) August 11, 2013
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে ড্রোন করে মলত্যাগ করেছে। এখানে কেউ তা নিয়ে কথা বলেনি। কিন্তু সবাই এটা নিয়ে কথা বলছে এই লিঙ্কে #ইয়েমেন
ইয়েমেনের সাংবাদিক খালেদ আল-হাম্মাদি টুইট করেছেনঃ
#Yemen celeberated #Eid_Alfitr under #US drones in #Sanaa#Mareb#Shabwa & #Hadhramout, it is Eid mixed with US flavor of drone panic
— Khaled al-Hammadi (@KhaledHammadi) August 8, 2013
#মার্কিন ড্রোন দিয়ে #ইয়েমেন #সানা #মারেব #শাবওয়া এবং #হাদ্রামাউন্ট #ঈদ_আলফিতর উদযাপন করছে, ড্রোন আতঙ্কের মার্কিন ফ্লেভার মিশ্রিত ঈদ।
ইয়েমেনের বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্লগার ওমর মাশজারি টুইট করেছেনঃ
“Imagine the US were to be bombed during Christmas… that is what is happening in Yemen during #Eid. http://t.co/Gy1MmPYsJv” via @ase
— Omar | عمر (@OmarMash_) August 12, 2013
“কল্পনা করুন ক্রিসমাসের সময় যদি মার্কিন মুলুকে বোমা বর্ষণ হয়… এটা তাই যা #ঈদ – এর সময় ইয়েমেনে ঘটছে।
অনেক ইয়েমেনিদের মতো হায়কাল বাফান৩ যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাঁদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করেছেনঃ
First 3 days of Eid al-Fitr in Yemen have been terrible. Many US drone strikes, many killed and yet, no one can confirm who the dead are.
— Haykal Bafana (@BaFana3) August 10, 2013
ইয়েমেনে ঈদ আল-ফিতরের প্রথম তিন দিন ভয়াবহভাবে কেটেছে। অনেক মার্কিন ড্রোন আঘাত করেছে, অনেক লোক মারা গেছে এখনও কেউ মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
#Yemen death toll : At least 36 killed in 10 days by US drone strikes. One bloody Eid.
— Haykal Bafana (@BaFana3) August 10, 2013
#ইয়েমেন মৃত্যু শুল্কঃ মার্কিন ড্রোনের আঘাতে ১০ দিনে কমপক্ষে ৩৬ জন মারা গেছে। একটি রক্তাক্ত ঈদ।
ইয়েমেনের ব্লগার @আফ্রাহনাসের তাঁর ব্লগ পোস্টে, ইয়েমেনে সাম্প্রতিক মার্কিন ড্রোন আঘাতের ভিডিও এবং কিছু স্থির চিত্র পোস্ট [গ্রাফিক] করেছেন।
ইয়েমেনের সক্রিয় কর্মী এবং সাংবাদিক ফারিয়া আল-মুসলিমি তাঁর টুইটে ইয়েমেনের জনগণের সকল ভয়ের অভিজ্ঞতাকে একত্রিত করেছেনঃ
For fearful Yemenis the US and al-Qa'ida look very similar http://t.co/Hj4F4MX0Qv in case u missed it earlier, my new article #Yemen#Drones
— Farea Al-muslimi (@almuslimi) August 11, 2013
ভয়ার্ত ইয়েমেনিদের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আল-কায়েদা দেখতে একই। এক্ষেত্রে এটি আপনি আগেই হারিয়ে ফেলেছেন, আমার নতুন প্রবন্ধ #ইয়েমেন #ড্রোন্স
সাংবাদিকদের প্রতি উপদেশবানী হিসেবে আলমুসলিমি আরো টুইট করেছেনঃ
to journalists, forget abt mentioning the # of #US#drones on #Yemen this week. the number wl increase before u finish even ur first draft
— Farea Al-muslimi (@almuslimi) August 10, 2013
সাংবাদিকদের বলছি, এই সপ্তাহে #ইয়েমেন – এর ওপর #মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র #ড্রোন – এর উল্লেখ করা ভুলে যান। এমনকি আপনার প্রথম খসড়া শেষ করতে করতে এই সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে।
হায়কাল বাফানা৩ কোন তথ্যের ওপর নির্ভর না করে কিছুটা অনুসন্ধানীমূলক সাংবাদিকতা করতে রিপোর্টারদের প্রতি জোর দিয়ে বলেছেনঃ
Reporters, do Yemen a huge favour : when “Yemeni officials” claim a US drone strike killed “AQ militants”, ask them : “How do you know?”
— Haykal Bafana (@BaFana3) August 8, 2013
রিপোর্টারেরা, ইয়েমেনকে একটু বেশী করে সাহায্য করুনঃ যখন “ইয়েমেনের কর্মকর্তারা” দাবি করে একটি মার্কিন ড্রোন হামলা “একিউ যুদ্ধরত” – দের হত্যা করেছে, তখন তাঁদের জিজ্ঞেস করুনঃ “আপনি কিভাবে জানলেন ?”
এই সাপোর্টইয়েমেন ভিডিওটিতে ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলা প্রসঙ্গে বিতর্কে আলোচ্য বিষয় ছিল যে, হয় তাঁরা ক্ষমতাশালী বলে, নতুবা তাঁরা হয়তো আরো শত্রু সৃষ্টি করছেঃ
ড্রোন সম্পর্কে এই আলোচনাতে একটি হারিয়ে যাওয়া কন্ঠ আছে যার পরিবার ড্রোন আক্রান্ত। এই ইস্যুটিকে নির্দেশ করে হায়কাল বাফান৩ একটি বিবিসি রিপোর্টে একটি লিংক টুইট করেছেনঃ
BBC report. Gripping words by civilian drone victims. | #Yemen: Do US drones create more enemies than they kill? http://t.co/eFGHEn0tyu
— Haykal Bafana (@BaFana3) August 7, 2013
বিবিসি রিপোর্ট। বেসামরিক ড্রোন আক্রান্তদের নিরতিশয় যন্ত্রণাদায়ক কথা। #ইয়েমেনঃ মার্কিন ড্রোন কি যতো লোক হত্যা করে তাঁর চেয়ে বেশী শত্রু সৃষ্টি করে ? http://t.co/eFGHEn0tyu
গবেষক আতিয়াফ আলওয়াজিরও উপদেশ দিয়েছেনঃ
Dont focus only on “#drones“. it's about extrajudicial killings & reforming counter-terrorism policies to effectively address issue #Yemen
— Atiaf Alwazir (@WomanfromYemen) August 11, 2013
শুধুমাত্র “#ড্রোন – এর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবেন না। এটা বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং ক্ষমতাশালীভাবে #ইয়েমেন ইস্যু নির্দেশ করতে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী নীতির সংস্কার।
ভিডিও-সাংবাদিক বেঞ্জামিন উইয়াসেক টুইট করেছেনঃ
Many kids and parents in the streets today explained how they were afraid to go out and play for 2 days b/c of #drones over #Sanaa ! #Yemen
— Benjamin Wiacek (@Nefermaat) August 11, 2013
আজ অনেক বাচ্চা এবং তাঁদের অভিভাবকেরা রাস্তায় ব্যাখ্যা করেছেন তাঁরা #সানা! জুড়ে #ড্রোন – এর কারণে বাইরে বেরোতে এবং দু’দিন ধরে খেলতে যেতে কতোটা ভয় পেয়েছেন। #ইয়েমেন
সিএনএন প্রতিনিধি মোহাম্মাদ জামজুম টুইট করেছেনঃ
Eid in #Yemen overshadowed by U.S. #drones- our report .. Big thanks to @HakimAlmasmari and @Nefermaat#Sanaahttp://t.co/h6p4e6MxXX#cnn
— Mohammed Jamjoom (@JamjoomCNN) August 13, 2013
মার্কিন #ড্রোন #ইয়েমেনে ঈদকে কালোছায়ায় ঢেকে দিয়েছে – আমাদের রিপোর্ট … @হাকিমআলমাসমারি এবং #নেফারমাত কে অনেক ধন্যবাদ #সানা http://t.co/h6p4e6MxXX #cnn
১১ আগস্ট তারিখে রবিবার ইয়েমেনের একটি মার্কিন দূতাবাস ছাড়া ১৯ টি দূতাবাসের মধ্যে ১৮ টিই আবার খোলা হয়েছে।
২৭ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট এই পোস্টটি লেখা পর্যন্ত ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে (আবিয়ান, মারেব, হাধ্রামাউন্ট, লাহেজ, শাবওয়া) ১০ টি মার্কিন ড্রোন আঘাত করেছে। সনাক্ত করা যায় নি এবং “যুদ্ধরত” ঘোষণা করা হয়েছে এমন ৪০ জন লোক মারা গেছে।
ইয়েমেনের অধিবাসীরা আল-কায়েদার সক্রিয় কর্মীদের দোষারোপ করেছে এবং তাঁরা ইয়েমেনকে নিরাপদ রাখতে চায়। কিন্তু তাঁরা ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলার প্রচন্ড ও আকস্মিক অনুভূতিতে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ। তাদেরকে অনুমোদন দেয়ার কারণে যেহেতু তাঁরা প্রেসিডেন্ট হাদির সাথে আছে এবং একটি মার্কিন “হত্যা তালিকার” ভিত্তিতে বিচারবহির্ভূতভাবে ইয়েমেনের জনগণকে হত্যার ক্ষেত্রে সরকার নিরব ভূমিকা পালন করছে, সেহেতু তাঁরা ক্রুদ্ধ। বেশীরভাগ হত্যা করা, তথাকথিত “সন্দেহভাজন যুদ্ধরতদের” সনাক্ত করা হয়নি বা কতোজন বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়েছে, তার সম্পর্কেও সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। উভয় সরকারই তাঁদের মৃত্যুর জন্য যেন কৈফিয়ত দিতে বা তাঁদের এই অপূরনীয় ক্ষতির জন্য তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য নয়। সারাংশে বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর আল-কায়েদার “সন্ত্রাস হুমকি” হিসেবে যেটিকে প্রতারণা করা হয়েছে, মার্কিন বাহিনী যেন সেটিকে ইয়েমেনে “সন্ত্রাস বাস্তবতা” হিসেবে বদলে দিয়েছে। আর ঈদ জুড়ে অনেক ইয়েমেনের অধিবাসী সেই অভিজ্ঞতাই পেল।