কায়রোর নাসার সিটির রাবা আল আদাওইয়া মসজিদ এলাকায় ক্ষমতাচ্যুত মিশরীয় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মেদ মুরসির সমর্থকদের সাথে সরকার দলের সাথে সংঘর্ষে [1]১০০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং ১,৫০০ জন আহত হয়েছে।
মিশরের দৈনিক সংবাদ [2]অনুযায়ী, পাবলিক প্রসিকিউশন গত শুক্রবার [২৭,জুলাই] রাতে কি ঘটেছে তাঁর তদন্ত শুরু করেছে।
মিশরীয় ব্লগার মোসাব ইলশামি কিছু দৃশ্য দেখেছেন এবং নিম্নলিখিত টুইটে তিনি কি দেখেছেন তা শেয়ার করেছেন:
কে আক্রমণ ‘শুরু’ করে তা আমার কাছে অস্পষ্ট। কিন্তু সংঘর্ষটি তায়রান রাস্তায় শুরু হয়, যেটি সমাবেশের ১০০ মিটার দূরে। (2)
— মোসাব ইলশামি (@মোসাবরাইজিং) ২৭ জুলাই, ২০১৩
সেখানে বন্দুকের গুলির বিরামহীন শব্দ ছিল। অন্ধকার সেখানে থাকা ছিল আত্মঘাতীর সমতুল্য। তাই আমি রাবার অস্থায়ী হাসপাতালে চলে যাই। (৩) — মোসাব ইলশামি (@মোসাবরাইজিং) ২৭ জুলাই, ২০১৩
অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমি দেখেছি লোকে বুলেট দিয়ে পা এবং বুকে গুলি করেছে। এক ঘন্টা পরে, আমি মর্গে ২৪ টি মৃতদেহ দেখতে পাই। (৪)
— মোসাব ইলশামি (@মোসাবরাইজিং) ২৭ জুলাই, ২০১৩
আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে এরকম অন্তত ৩ জন পুরুষকে দেখেছি। কিছু লোক দাবি করছে, স্নাইপার অক্টোবর সেতুর উপর ছিল। (৫) — মোসাব ইলশামি (@মোসাবরাইজিং) ২৭ জুলাই, ২০১৩
ভোরের পর আমি সংঘর্ষের মূল স্থানে চলে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশের বিপরীতে সশস্ত্র বেসামরিক লোক ছিল যারা স্থানীয় বাসিন্দা এবং সহযোগী গুণ্ডাদের মিশ্রণে তৈরি ছিল। (৬)
— মোসাব ইলশামি (@মোসাবরাইজিং) ২৭ জুলাই, ২০১৩
সংঘর্ষের সময় আমি প্রায় ৫ ঘন্টার জন্য মুরসি-সমর্থকদের দিকে ছিলাম এবং সত্য – সত্যই তাদের সাথে কোন অস্ত্র দেখিনি। (৭)
— মোসাব ইলশামি (@মোসাবরাইজিং) ২৭ জুলাই, ২০১৩
মুরসির সমর্থকদের বেশিরভাগই অবস্থান নিয়ে গুলির বিপক্ষে পাথর নিক্ষেপ, বাজি এবং গ্যাস ক্যানিস্টার ছুড়ে। তারপর পুনরাবৃত্তি। (৮)
— মোসাব ইলশামি (@মোসাবরাইজিং) ২৭ জুলাই, ২০১৩
মানাসায় সৈন্যরা বাতাসে গুলি করে উভয় পক্ষের জন্য কিছু সময়ের জন্য দূরত্ব তৈরী করা ছাড়া আমি কোনো সামরিক সম্পৃক্ততা দেখতে পাইনি। (৯)
— মোসাব ইলশামি (@মোসাবরাইজিং) ২৭ জুলাই, ২০১৩
উপসংহারে আমি এটা বলব যে, এম ও আই+ ‘বেসামরিক’ দ্বারা টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও লাইভ আগুন নিক্ষেপ নিঃসন্দেহে একটি ভয়ঙ্কর হামলা ছিল। (১০)
— মোসাব ইলশামি (@মোসাবরাইজিং) ২৭ জুলাই, ২০১৩
বিয়োগান্ত ঘটনার এই ছবিগুলো [3]তিনি ফ্লিকারে শেয়ার করেছেন।