সৌদি আরবে বিক্ষোভের ডাক দেওয়ার অভিযোগে সাতজন ফেসবুক ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন মেয়াদে ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তাদের সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরেও তাদের বিদেশ ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের -এর মতে :
সৌদি সরকার ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখের মধ্যে এই সমস্ত নাগরিকদের গ্রেফতার করে, এরপর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ২৯ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে আদলতে হাজির করার পূর্ব পর্যন্ত তাদের দেড় বছর দাম্মামের সাধারণ তদন্ত কারাগারে আটকে রাখা হয়। এর আগে তাদের ২০০৮ সালে স্থাপিত বিশেষ অপরাধ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। কর্তৃপক্ষ এই সাতজনের বিরুদ্ধে সরাসরি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগ আনেনি, আর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য তাদের উপর অত্যাচার করে, তাদের আনা এই অভিযোগ আদালত তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
[…]হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যা পেয়েছে তা হচ্ছে, আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে উক্ত সাত জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ছিল ভিন্ন ভিন্ন, কিন্তু আদালত তাদের সবাইকে “বিক্ষোভের কথা উচ্চারণ, অবৈধ সমাবেশ এবং বাদশাহ-এর প্রতি বিশ্বস্ততা ভঙ্গ” ও “ [ফেসবুক পাতার] অনুসারীদের এই ধরনের আহ্বানের বিষয়ে সাহায্য করা ও উৎসাহ প্রদান করা এবং তাদের সাথে মতামত আদান প্রদান ও তাদের পরিচয় লুকিয়ে রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে”। এই সাতজনের সকলে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ আইনের-এর ৬ নং ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, যে ধারা অনুসারে তথ্য যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে “ গণ অধ্যাদেশের জন্য ক্ষতিকর” এমন কোন কিছু উৎপন্ন, পাঠানো অথবা সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইউসার আল বাহরাইনি মন্তব্য করেছে :
Prisoners of #Ahsa are persecuted for writing pro-democracy posts on #Facebook https://t.co/qf50gIA4HV #PrisonersOfAhsa #humanrights
— Yusur Al-Bahrani (@YusurAlBahrani) June 25, 2013
@ইউসারআলবাহরাইনি: #আহশা-এর বন্দীরা #ফেসবুকে গণতন্ত্রকে সমর্থন করে লেখার কারণে শাস্তি পেল। https://t.co/qf50gIA4HV #প্রিজনরঅফআহাশা #হিউম্যানরাইটস
এবং এ্যাকটিভিস্ট তারেক সিয়ালা জিজ্ঞেস করছে
سجن سبعة أشخاص في السعودية لدعوتهم للتظاهر ضد ولي الأمر من خلال صفحات #الفيسبوك لمدة مابين خمسة وعشرين أعوام! والتحريض عالقتل كم عقوبته
— Tarek Siala (@tarksiala) June 30, 2013
শাসকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিক্ষোভের আহ্বান জানানোর কারণে সৌদি আরবের সাতজন নাগরিক বিভিন্ন মেয়াদে সর্বনিম্ন পাঁচ থেকে সর্বোচচ ২০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে! তাহলে খুনের প্ররোচনার শাস্তি কি হতে পারে?
সৌদি আরব, যেখানে একচ্ছত্র রাজতন্ত্র, সেখানে রাজনৈতিক ভিন্নমত সহ্য করা হয় না।