ক্যারিবিয়ান রাজনীতিতে এ ধরনের আবর্তন খুব কমই দেখা যায়, যেখানে দলের প্রতি বিশ্বস্ততা খুব বেশী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ডেনজিল ডগলাসের ক্ষমতাসীন সেন্ট কিটস ও নেভিস লেবার পার্টি থেকে দু’জন প্রবীণ মন্ত্রীর স্বপক্ষ ত্যাগের পর সেন্ট কিটস ও নেভিসে রাজনৈতিক দুশ্চিন্তা অনেক বেড়ে গেছে।
এই অবস্থান পরিবর্তন দেশটির জাতীয় সংসদে সরকারকে একটি সংখ্যালঘু অবস্থানে নিয়ে গেছে। এবং সম্ভবতঃ “অনাস্থা” ভোটের মুখোমুখি যেন না হতে হয় তাই প্রধানমন্ত্রী ছয় মাসের বেশি সময় ধরে সংসদ আহ্বান করেননি। অতঃপর, টিমোথি হ্যারিস ও স্যাম কনডর, এই দু’জন মন্ত্রী তাদের নিজেদের রাজনৈতিক দল দ্যা পিপলস লেবার পার্টি গঠন করেছেন।
গত সপ্তাহের শেষদিকে বিরোধীদল পিপলস এ্যাকশন মুভমেন্ট এবং দ্যা পিএলপি একটি নির্বাচন দিতে অথবা জোট সরকার গঠন করতে তাদের বাঁধা না দিতে প্রধানমন্ত্রীকে চাপ দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক জুড়ে একটি প্রতিবাদ মার্চের নেতৃত্ব দেয়।
শুরুতে পুলিশ মার্চ করার অনুমতি অপসারন করে নিয়েছিল এবং শেষপর্যন্ত এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে পুলিশ কয়েক ঘন্টার জন্য অনুমতি দেয়। মার্চের কিছু সময় আগে একটি ছোট প্রতিবাদ সভা হয়, কিন্তু সম্পূর্ণ দূর্লভ ভাবে কেবল একটি মাত্র ব্লগ – ঐটির ওপর ভিত্তি করে বারবাডোজ – টুকে নিয়েছে। মার্চের জন্য অনুমতি দেওয়ার আগে একটি প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়, যা নিয়ে ব্লগটি রিপোর্ট করেছে। প্রেস কনফারেন্সটিতে বিরোধীদলীয় নেতা মার্চ এবং সরকারের বিরুদ্ধে নিরবিচ্ছিন্ন প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত করার যৌক্তিকতা পরিকল্পনা অনুসারে সাজিয়েছেন:
সিসিএম এ [নেভিস-ভিত্তিক কনসার্নড সিটিজেনস মুভমেন্ট] – পিএএম এর দু’জন নির্বাচিত সদস্য ও অংশীদাররা এবং পিএলপি গভর্নর জেনারেলের কাছে নিশ্চিত করে দু’বার লিখেছে যে, আমাদের ছয়জনের সবাই যারা সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচিত সদস্যদের সংগঠিত করেছি তাঁদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডঃ ডগলাসের ওপর আর কোন আস্থা নেই। গভর্নর জেনারেলের কাছে দু’বার পাঠানো চিঠিতে আমরা বলেছি, যখন অনাস্থা বিল উত্থাপন করা হবে তখন আমরা এর পক্ষে ভোট দেব। আমরা জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছেও একই বার্তা প্রতিধ্বনিত করে দু’বার চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, গভর্নর জেনারেলের সাথেও আমরা যোগাযোগ করেছি। দু’জনের কেউই ছয় মাস পরেও কোন সাংবিধানিক পদক্ষেপ নেননি।
এমন কিছু পার্টি যারা মার্চের সাথে জড়িত আছে, তাদের ফেসবুক পেজে মার্চ নিয়ে কিছু প্রতিক্রিয়া আছে। পিপলস এ্যাকশন মুভমেন্টের পেজে জেকুলিন ইলিওটের মনে হয়েছে, মার্চটি যথেষ্ট নয়ঃ
পিএএম এবং পিএলপি, সময় এসেছে আমাদের দেশটি ফিরিয়ে নেওয়ার […] মার্চ করার পরিবর্তে চার্চ স্ট্রিটে ডুবে যান এবং সেখান থেকে নড়বেন না […] সেখানেই থাকুন […] সেন্ট কিটস বন্ধ করে দিন। কয়েক ঘন্টা […] ধরে [বহুবচন] মার্চ করে মিশর [এ] তাঁরা যেমনটা করেছে তাঁর মতো আপনাদের চার্চ স্ট্রিটে অবস্থান নেয়া প্রয়োজন।
পক্ষান্তরে, ক্যারিবিয় রানী মনে করেন মার্চটি বড় কোন কিছুর সূচনা করতে পারেঃ
সেন্ট কিটসের জনগন জোড়ালোভাবে একটি পরিবর্তন চাইছে। তাঁরা এমন কিছু চায়, যা তাঁরা নিজেদের বলে দাবি করতে পারে। এমন কিছু, যা তাঁরা আকড়ে ধরতে পারে এবং বলতে পারে, আমি এটা ঘটিয়েছি। এমনকিছু, যা তাদের ছেলেমেয়েদের বলতে পারে যে, স্মরণ করে রাখার মতো একটি গল্পের একটি অংশ হিসেবে তাঁরা ছিল।
রিটা জারভিস পন্ডেট এই আবেগেই প্রতিধ্বনিত করেছেনঃ
শিয়াল যখন আঙ্গুরের নাগাল পায়, তখন তাকে টক বলে। আরো অনেক বিস্ময় আসছে। আমি রান্নাঘরে নেই, কিন্তু আগুনের উত্তাপ অনুভব করতে পারছি। আমি দেখতে পাচ্ছি, লোকেরা সব মিথ্যা শুনে এবং প্রতিদিন যেসব খেল খেলা হচ্ছে তা দেখে অত্যন্ত বিরক্ত। গতকালের একতা মার্চটি আমি সমর্থন করি এবং এটির সফলতায় আমি খুব আনন্দিত। এটি একটি সংকেত যে জনগন আর খারাপ কিছু সহ্য করবে না।
ফেসবুক ছাড়াও ইউটিউব একটি পছন্দের মিডিয়া ফোরাম হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। সড়ক প্রতিবাদের বেশকিছু ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। এগুলোর বেশীরভাগই কয়েকশবার করে দেখা হয়েছে।