এই পোস্টটি আমাদের বিশেষ কাভারেজ মিশরীয়রা মুরসিকে উৎখাত করল এর একটি অংশ
মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থক এবং প্রাক্তন মিশরীয় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মেদ মুরসির উৎখাতের জন্য দায়ী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেক প্রত্যাশিত মুখোমুখি সংঘর্ষ আজ [৬ জুন, ২০১৩] সংঘটিত হয়েছে। সংঘর্ষটি বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচারিত করেছে। মিশর জুড়ে এই সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং ৪০০ এর অধিক প্রতিবাদকারী আহত হয়েছে। অনেক সামাজিক মিডিয়াতেই ব্যাপারটিকে “প্রত্যাশিত” এবং “বাস্তবতা” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
মিশর ভিত্তিক এনবিসি সংবাদ এর বিদেশী প্রতিনিধি আইমান মহেলদিন টুইট করেছেনঃ
@আইমানঃ হাজার হাজার মুরসি সমর্থকরা ৬ অক্টোবর তারিখে তাহিরির দিকে অগ্রসর হয়েছে। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার তখন তাঁদের উপর দিয়ে চক্কর দিচ্ছিল pic.twitter.com/SMbqFvQKAo

নীল নদীর তীরে সংঘর্ষের সম্মুখ চিত্র। ছবিটি টুইটারে শেয়ার করেছেন @শেরিন
কায়রোতে আল জাজিরার সংবাদদাতা শেরিন টাদ্রোস বলেছেন:
@শেরিনটিঃ মাসপেরোর কাছেই সব সংঘর্ষ হয়েছে। হাজার হাজারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ। রাস্তায় সংঘর্ষ হয়েছে। আহত মানুষজন মাটিতে পড়ে ছিল।
মাসপেরো হচ্ছে কায়রোর মধ্য শহরে মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও ভবন এবং তাহিরির স্কয়ার থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বে অবস্থিত। সেখানে মুরসি বিরোধীরা মুরসি উৎখাতের উদযাপন চালিয়ে যাচ্ছিল।
এবং অ্যান্ডি কারভিন নোট লিখেছেনঃ
@একারভিনঃ বাস্তব চিত্র দেখানো হচ্ছে – ডজন ডজন লোক পাথর ছুঁড়ছে, প্রতিটি প্রান্তের প্রতিবাদী টার্গেট করা সবুজ লেজারের দ্বারা জায়গাটি উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।
এগুলো সবই শুধুমাত্র কাইয়রোতে ঘটেছে। কায়রোরের বাইরেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
মোস্তফা হুসেন লিখেছেনঃ
@মোস্তফাঃ আলেকজান্দ্রিয়ায় রাস্তাতে যুদ্ধ এখনও চলছে। আল আরাবিয়া থেকে লাইভ কভারেজ দেখানো হচ্ছে।

৬ অক্টোবর তারিখে হাজার হাজার মুরসি সমর্থকরা সকালে ব্রিজ পার হয়ে শহরে প্রবেশ করে। ছবিটি @আয়মান শেয়ার করেছেন
মোহাম্মেদ ফাদাল ফাহমি আরও লিখেছেনঃ
@রিপেন্ট১১: সুয়েজের একজন সাংবাদিক আমাকে এই মাত্র জানাল যে, সেনাবাহিনী এবং মুরসির সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। গোলাগুলিতে অনেক আহত হয়েছে।
এবং ইসলামিয়া থেকে আহমেদ মেহবুব জিজ্ঞেস [আরবী ভাষায়] করেছেনঃ
احا الجيش فين #الاسماعيلية في حرب شوارع و الاخوان معاهم كل انواع الاسلحة
@আহমেদমেহবুবঃ সেনা কোথায়? ইসলামিয়ার রাস্তায় যুদ্ধ চলছে এবং ব্রাদারহুডের সব ধরণের অস্ত্রই আছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রার্থী মুরসি, যিনি এক বছর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। দেশ ব্যাপী তাঁর পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ চলায় দুই দিন আগে সামরিক জান্তার হাতে তিনি উৎখাত হয়েছেন। এর ফলে মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের শাসনেরও অবসান হয়েছে। তাই অনেকেই সংঘাতটি আশা ও ভয় করছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে এই সংঘর্ষের জন্য অনেকেই সাবেক শাসক সেনবাহিনির দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করেছেন।
ফিলিপ রিযক নোট লিখেছেনঃ
@ত্যাবুলাগাজাঃ তাহিরির কাছে বন্দুক যুদ্ধের জন্য সাবেক শাসক/সেনবাহিনি + ব্রাদারহুডই দায়ী। প্রতিটি বন্দুকের গুলি উভয় পক্ষের সদস্যদের মধ্যে ঘৃণা বাড়িয়ে তুলছে।
এবং মহাম্মোদ মারে সমাপ্তি টেনেছেনঃ
الإخوان لن تقوك لهم قيامة بعد ذلك ، بعد هذة الدماء التى سالت ستحل جماعتهم ولن يمارسوا العمل السياسى
@মারে৩ইঃ মুসলিম ব্রাদারহুডের আর কোন ভবিষ্যত নাই। রক্ত ঝড়িয়ে তাদের ভ্রাতৃত্ব আরও নষ্ট হবে এবং রাজনৈতিক জীবন থেকে তাঁরা বিতাড়িত হবে।
এই পোস্টটি লেখার সময় সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।