হাঙ্গেরির রাজধানী শহর, যেটি তার ইতিহাস, শিল্পকলা ও আর্কিটেকচারের জন্য ইতিমধ্যে বিখ্যাত হয়েছে, এই সময়ে শহুরে শিল্পের নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করছে বলে মনে করা হয়। বুদাপেস্ট সম্পর্কিত ছবি এবং ভাষ্য #স্ট্রিটআর্ট [1] হ্যাশট্যাগের অধীনে টুইটার এবং ইন্সটোগ্রামের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কের উপর নিয়মিত শেয়ার করা হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালের পর্যটন মৌসুমে তা বার বার আবর্তিত হয়।
অনেকেই ইতোমধ্যে ফরাসি শহুরে শিল্পী ইনভাডেরার [2] কথা শুনেছেন, যিনি ১৯৯০ সালের শেষ দিকে তার অনেক ছবি একটি নির্দিষ্ট তোরণ খেলার উপর ভিত্তি করে এঁকেছেন এবং ইউরোপ জুড়ে শহুরে শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। পরে তিনি রাস্তা শিল্প [3], গেরিলা কাজকর্ম এবং মূলধারার শিল্পের মধ্যে একটি উচ্চ সামঞ্জস্য তৈরি করে শৈল্পিক প্রকাশের অস্বাভাবিক মাধ্যমে কাজ করেছেন।
তারপর শিল্পী বিশ্বের অনেক শহরের মানচিত্রও এঁকেছেন যেটি এই নতুন শিল্প মাধ্যমকে লালন করেছে। সে সময় ইনভাডের [4]১৯৭০ সালের শেষের দিকে তোরণ খেলার নামকরণ করেন,যেটি তার অনুপ্রেরণা ছিল। এছাড়াও তিনি সে মানচিত্রের বুদাপেস্ট অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং প্রতীক হিসেবে বড় হাতের অক্ষর দিয়ে তা লেবেলিং করেছিলেন যার পূর্ব ব্লক পতনের মাত্র কয়েক বছর পর একটি নতুন, ক্রীড়নশীল, তরুণ দুর্দমনীয় এবং বিকল্প বুদাপেস্ট [5] জন্ম নেয়।
ইতিমধ্যে, রাস্তায় শিল্প যেটি দর্শকরা দ্রুত দেখতে পায় এবং যেটি সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, এই ঐতিহাসিক পূর্ব ইউরোপীয় শহরে মূলধারার শিল্প হয়ে গেছে বলে মনে করা হয়। শহরের প্রতিটি কোণে এর মত একটি ছবি রাখা হয়ঃ
ফেসবুকের এই ছবি সম্বলিত পোস্ট ছাড়াও টুইটার এবং ইন্সটোগ্রাম ব্যবহারকারীরাও বুদাপেস্টের জন্য কিছু বিকল্প ইতিবাচক বিজ্ঞাপন করছেন বলে মনে হচ্ছে।
ইন্সটোগ্রাম ব্যবহারকারী ইরালেটিভ_স্ট্রাং [6]যিনি জানোস বাকো [7] (@জানোসবাকো [8]) নামেও পরিচিত, তিনি টুইটারে লিখেছেন:
@জানোসবাকোঃ [7] প্রকৃতি শহরকে ফিরিয়ে নিচ্ছে #streetart [1] #Budapest [9] pic.twitter.com/h7G50Vt2cz [10]
আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারি এবং ডিজাইনার স্টিভ জুড [11] (@স্টিভ_জুড [11]) মন্তব্য করেছেনঃ [12]
@স্টিভ_জুডঃ [12] #বুদাপেস্ট এর #রাস্তাশিল্প সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের @বাকেটস তের
উন্নয়নশীল রাস্তা শিল্পের দৃশ্য দ্বারা বুদাপেস্টেকে অন্যান্য শহর থেকে ভিন্নভাবে কিভাবে সাজানো হতে পারে? যাইহোক, সত্যিকারের হাঙ্গেরীয়রা কি তাই মনে করে? সেখানে “রম কক্সমা [14]” অথবা “রুইন্দ পাবস” নামের অনেক মদের দোকান অথবা ক্যাফে আছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এই মদের দোকানগুলো শহরের প্রায় পেস্টা দিকগুলোতে ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং স্পষ্টতই এগুলো অন্যতম শহুরে শিল্পের পরিণত হচ্ছে ও পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
যদি ভ্রমণকারীরা ইউরোপের পুরাতন অংশে নতুনত্তের খোঁজে করেন এবং উপরোক্ত সব মজার এবং মিথষ্ক্রিয়তা পেতে চান, তবে বুদাপেস্টই হতে পারে তাঁর জন্য সর্বোত্তম জায়গা।