ব্রুনাইঃ ‘ধীর গতির ইন্টারনেট যেন এক ধরণের নিষেধাজ্ঞা’

ব্রুনাইয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের দেশের ধীর এবং অবিশ্বস্ত ইন্টারনেট সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।

ব্রুনেই টাইমস পত্রিকার একটি লেখায় শারিন হান বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের একটি সমীক্ষার উদাহরণ দিয়েছেন, যেখানে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ইন্টারনেট ব্যবহারকারি হিসেবে ব্রুনাই তালিকাভুক্ত হয়েছে। কিন্তু অনেক ব্রুনাই নেটিজেনরা মনে করেন, তাঁরা খুবই ধীর গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন।

টুইটার মাধ্যমে, ব্রুনেই টাইমস এই প্রশ্নটি পোস্ট করেছে:

আপনি #ব্রুনাই এর ইন্টারনেট সেবায় সন্তুষ্ট ?

A tweetup event in Brunei. Bruneians are among the most active social media users in Asia. Photo from Flickr page of Reeda

ব্রুনাইয়ে একটি টুইট আপ অনুষ্ঠান। ব্রুনাইবাসিরা এশিয়াতে সবচেয়ে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারি। ছবিঃ রেদার ফ্লিকার পেজ 

বেশিরভাগ উত্তরে ব্যবহারকারীরা দেশের তিনটি প্রধান টেলিফোন প্রদানকারীদের কর্তৃক প্রদত্ত মন্থর গতির ইন্টারনেট সংযোগ সম্পর্কে অভিযোগ করে। এমনকি @নাদিয়াবাইটস দেশের মন্থর গতির ইন্টারনেটকে সেন্সরশিপের সাথে তুলনা করেছেন :

না! ইন্টারনেট তথ্য সম্পদে সহজে প্রবেশাধিকার দেয়। ধীর গতির ইন্টারনেট প্রায় সেন্সরশিপের মতই।

এখানে ব্রুনাইয়ের ধীর গতির ইন্টারনেট সম্পর্কে একই রকম আরও কিছু মন্তব্য রয়েছে:

@জিকক্রেযিঃ আমার এমনকি মাউসটিও সন্তুষ্ট বলে মনে হয় না।

@জানেটলাইভট্রাভেলঃ না! এটা ২০১৩। ইন্টারনেট, প্রযুক্তি, তথ্য এবং সামাজিক মিডিয়া সেখানে শুধু আঙ্গুলের একটি ক্লিকেই পাওয়া উচিৎ। অত্যন্ত ধীর।

@মাসরুরঃ সন্তুষ্ট হয়েছেন এমন কাউকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।

@আল্মাস্তফ্রেশঃ আমরা বিল দিব করছি না। সঙ্গতিহীন। অস্থির। আমার আরো বলার দরকার আছে ?

@আমিরাহইসাঃ সত্যি করে বলতে খুশি না। আমরা প্রতি মেগাবাইটের জন্য অনেক অনেক বেশি খরচ করি, অথচ এর গতি আমাদের বিলের কাছাকাছিও নয়।

@_হাকিমসঃ অনেক হতাশাজনক … এমনকি আমার বাবা মাও অভিযোগ করেছে … দুঃখিত #ওয়ার্কইটআউট

@অংসোঃ নিয়মিত পরিষেবা বিঘ্ন তদন্ত পরিচালনা করা উচিত। আমি কোনো দিন ইন্টারনেট না থাকার চেয়ে ধীরগতির ইন্টারনেট পছন্দ করব।

@আলিফেন৪১ঃ এটা থেকে দূরে থাকা হচ্ছে হাল্কা বছর।

@ববি_তৃষাঃ কৃতজ্ঞ কিন্তু সন্তুষ্ট নই .. ধীর গতির এবং ব্যয়বহুল।

একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রুনাইয়ে ​​অন্তত দুই লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে যারা এশিয়ার সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারের সবচেয়ে সক্রিয়। তবে, শুধুমাত্র ৫৬ শতাংশ ব্রুনাইবাসি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

কিছু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা দেশের ইন্টারনেটের গুণমান ব্যাপারে বেশ সন্তুষ্টঃ

@আনোয়ারওমারআলীঃ হ্যাঁ, খুবই সন্তুষ্ট।

@বেরিমেরলিনাঃ গতি, হ্যাঁ! উচ্চ মূল্য যুক্তি হতে পারে না, কারণ অন্যান্য দেশের মত জনসংখ্যা ও প্রতিযোগিতা এখানে নেই।

@ইয়ুন_হাঃ এমনকি যদি গতির বিপুল উন্নতি করা হয়, আমরা সন্তুষ্ট হব না। হা হা #সোব্রুনেই

@অক্সবাঃ ৬ বছর আগে, 3G ছিল না এবং ADSL-এর গতি ছিল ২৫৬ কেবিপিএস। ১০ বছর আগে, আমি আমার মোবাইল ওয়েব সার্ফ করতে পারতাম না। আমি সন্তুষ্ট।

এমনকি দেশে ইন্টারনেট মান সম্পর্কে ব্রুনেই টাইমসে নিবন্ধটি প্রকাশের আগে, ব্রুনেই ইতিমধ্যে বেশ কিছু সময় এটি সম্পর্কে অভিযোগ করেছে:

@নাতেরুলালাঃ ব্রুনাইয়ের অধিকাংশ অধিবাসীর উচ্চ রক্তচাপ এবং হতাশায় ভোগার প্রধান কারণ হচ্ছে এর ইন্টারনেট।

@আজিজহারুন২১২ঃ ওএমজি, কিভাবে মানুষের শান্তি নষ্ট করতে হয় ব্রুনাই এর ইন্টারনেট সত্যিই তা ভালো করে জানে।

ইলিপ নোট লিখেছেন, ব্রুনাইয়ে ইন্টারনেটের গতির উন্নতি হয়নি:

আমি আপনার সম্পর্কে জানি না কিন্তু আমি ভেবে অবাক হই যে এখনকার দিন এবং সময়ে ইন্টারনেট গতি একক সংখ্যায় মাপা হয় না বরং ১০ বা ১০০  এমবিপিএস এতে হয়। কিন্তু ব্রুনাইয়ে ইন্টারনেট গতি কয়েক বছরেও কোন পরিবর্তন হয়নি এবং উল্লেখযোগ্যভাবে বাকি বিশ্বের পিছনে চলে যাচ্ছে।

ব্রুনাইয়ে ধীর গতি ইন্টারনেট সম্পর্কে উত্তরের দাবি জানিয়ে আবেদন জানানো হয়েছিলঃ

আমরা ব্রুনাইয়ের মানুষ জানতে চাই:

• ব্রুনাইয়ে ইন্টারনেট সংযোগের গতি ধীর কেন ?

• ব্রুনাইয়ে ইন্টারনেট প্রবেশ অবিশ্বস্ত কেন ?

• ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার কবে নির্ভরযোগ্যতায় উন্নিত করা হবে ?

জো কিং মনে করেন, টেলিফোন কোম্পানিকে সেবা উন্নত করার জন্য চাপ দেওয়া হয় নাঃ

সমস্যা হচ্ছে, এখানকার বাজারে তারা একচেটিয়া ব্যবসা করে। তাই তারা আমাদের যা প্রয়োজন তা দিতে চাপ অনুভব করে না। ভালো মানের সেবা পেতে আপনারা কে কে তা বন্ধ রাখতে পারেন ? তারা শুধুমাত্র আপনার টাকা পেতে চায়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .