৭ জুন, ২০১৩ তারিখে দ্বিতীয় আটক দিবসকে চিহ্নিত করতে এবং কারাবন্দী প্রিয়জনদের কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে তাঁদের ছবি ঘরের বাইরে ঝুলিয়ে রেখেছে কারাবন্দীদের পরিবার। সৌদি রাজতন্ত্রের নিয়মবহির্ভূত স্বেচ্ছাচারী আটক করণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে একটি কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে @ই৩টেকাল ও @আলমোনাসেরন ঠিকানার বেনামি এডভোকেসী গ্রুপ ।
স্বাধীন মানবাধিকার উৎসগুলো বলে, নিয়মবহির্ভূত কারাবন্দী লোকের [আরবি] সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশী, যাদের বেশীরভাগই ৯/১১ – পরবর্তী সময়ে “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে” গণগ্রেপ্তারের শিকার। এসব বন্দীদের ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয় এবং এদেরকে আইনজীবী ও বিচারের দ্বারস্থ হওয়া থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। সৌদি আরবে প্রতিবাদ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং এতে যদি তাঁরা ধরা পড়ে তবে অংশগ্রহণকারীদের কয়েক মাস পর্যন্ত জেলে থাকতে হতে পারে।
প্রথম কারাবন্দী দিবসটি পালন করা হয় ২৫ মে, ২০১৩ তারিখে। সেখানে নিয়মবহির্ভূত শাস্তি প্রদানের সমাপ্তি চেয়ে নামবিহীন ভাবে অনেক পুস্তিকা বিতরণ করা হয়েছে। তাঁর পাশাপাশি পরিবারগুলো তাঁদের বাড়িতে কারাবন্দী আত্মীয়ের বড় ছবি ঝুলিয়ে দেয়। এটি একটি অনুশীলন, এমনকি যা অন্যান্য পরিবারগুলোকে দ্বিতীয় দিনে এই শ্রেণী-পরম্পরা অনুসরণ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
ভোর বেলা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি প্রতিবাদ ব্যানার ঝোলানোর চেষ্টা করার সময় তিনজন মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রচার করা হয়েছে। তাঁদেরকে ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয় [আরবি]। সৌদি বেসামরিক ও পলিটিক্যাল রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সোলেমান আল-রাশুদির পরিবার তাঁদের বাড়িতে একটি ব্যানারসহ তাঁর ছবি ঝুলিয়েছে, যিনি ডিসেম্বরে পুনরায় গ্রেপ্তার হন। ব্যানারটিতে লেখা আছে, “সংস্কারক ও আইনজীবি সোলেমান আল-রাশুদিকে মুক্তি দিন”।
এই কর্মসূচীতে সৌদি আরবের শহর বুরাইদাহের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। বিভিন্ন পাবলিক সেতু এবং অনেক বাড়িতেই ব্যানার এবং ছবি ঝোলানো হয়েছিল।
মানবাধিকার কর্মী হুদ আল- আকিলের (ডানের ছবি) বাড়ি সহ কারাবন্দীদের ছবি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এমন বেশ কিছু বাড়ি পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখেছিল। তাঁরা একজন কারাবন্দীর একটি ছবি অপসারণের জন্য তাঁর পরিবারকে চাপ দিতে তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তার [আরবি] করার খবর দিয়েছে।
এছাড়াও নিয়মবহির্ভূত শাস্তি প্রদান বন্ধ করার দাবিতে তাঁরা অনেক প্রচার পত্রও বিতরণ করেছে।