যদিও যেই ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হোক না কেন, নিজেদের কোন সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও আশাবাদী শত শত ইরানি নাগরিক, যার মধ্যে ৩০ জন নারীও রয়েছেন, তারা ১৪ জুন, ২০১৩–এর নির্বাচনে আহমাদিনেজাদের স্থলে রাষ্ট্রপতি হওয়ার লক্ষ্যে প্রার্থী হিসেবে নিজেদের নাম নিবন্ধন করেছেন [1]। রক্ষণশীল গার্ডিয়ান কাউন্সিল প্রার্থীদের এক সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করবে [2] যারা মূলত এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আকবর হাশেমি রাফসানজানি [3] এবং আহমাদিনেজাদের জোট থেকে আসা এসফানদিয়ার রাহিম মাসাই-এর [4], মত শক্তিশালি রাজনৈতিক প্রার্থী সত্বেও বেশ কয়েকজন প্রার্থী রয়েছে যারা খানিকটা খামখেয়ালি এবং প্রচার মাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, তারা মূহুর্তের মধ্যে সবার মনোযোগ কেড়ে নিতে সমর্থ হয়।
খামখেয়ালি সব প্রার্থী
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই প্রবীণ ব্যক্তিটি বলছেন, যদি তিনি নির্বাচনে জয় লাভ করেন, তাহলে তিনি তার জ্যৈষ্ঠ পুত্রকে গৃহনির্মাণ মন্ত্রী বানাবেন, কারণ তাদের নিজের কোন গৃহ নেই।
http://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=X-RBGeohAWU [5]
আরেকজন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বলছেন [6], “রাষ্ট্রপতিকে” হতে হবে সুদর্শন এবং তাকে জনগণকে সুখী করতে হবে। [ছবি উপরে, আর ভিডিও নীচে]
রাষ্ট্রপতি পদে মহিলা পদপ্রার্থী
আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য ৩০ জন মহিলা প্রার্থী নাম নিবন্ধন করেছে। এদিকে গার্ডিয়ান কাউন্সিলের সদস্য এক ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ ইয়াজদি ঘোষণা দিয়েছেন [7] যে “ইরানের আইন নারীদের প্রার্থী হবার অনুমতি প্রদান করে না”।
ব্লগার সাইদসাবানি বলেছেন [8]:
প্রিয় ভদ্রমহিলারা; কেবল আপনাদের ভোট ছাড়া, কেন এই দেশের শাসকেরা বিবেচনা করে না যে প্রার্থী হবার মত যথেষ্ট মস্তিস্ক আপনাদের আছে? আমি প্রশ্নটি করছিঃ নারী ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আমি আশা করি নারীরা এই নির্বাচন বয়কট করবে।