- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মুক্ত প্রবেশাধিকার এবং ডিজিটাল অধিকার জটিলতা

বিষয়বস্তু: উত্তর আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, উজবেকিস্তান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, শিল্প ও সংস্কৃতি

স্থান এবং কালের আবর্তে চিন্তাপদ্ধতি কিভাবে বদলায়?

ব্রিটিশ নৃতাত্ত্বিক জ্যাক গুডি [1] সমাজের ভেতরের নতুন ধরনের যোগাযোগ সম্পর্কিত তার ১৯৯৭ সালে প্রকাশনা ‘চঞ্চল চিত্তকে ঘরে ফেরানো'তে এই প্রশ্নটির অবতারণা ঘটিয়েছেন। তার পর্যবেক্ষণ অনুসারে মুখে মুখে জ্ঞানের বিস্তার ঘটানো একটি সংস্কৃতি লেখনী-ভিত্তিক সংস্কৃতির মতো করে একইভাবে চিন্তা করে না।

আজ এটি জ্ঞান বিস্তরণের নতুন একটি পদ্ধতি – ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে জটিলতর রূপ পরিগ্রহ করেছে। ইন্টারনেটে আমরা মৌখিক এবং লিখিত রূপকে সংযুক্ত করে যোগাযোগ করি। ধন্যবাদ, মানব ইতিহাসের বিচারে এখনও নতুন এই প্রযুক্তিকে – জ্ঞানের অর্থাৎ উপাত্তের এই বিস্তারকে – যা একটি আন্তঃসংযুক্ত মাধ্যমের মতো ক্রমাগত বিস্তৃত হচ্ছে। যদি এই জায়গাটি আমাদের প্রত্যেকের দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে তবে একটি মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আমাদের কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিৎ? এই প্রশ্নটিতে অনেকগুলো বিষয় অন্তর্ভূক্ত। সবধরনের তথ্য-উপাত্ত ভাগাভাগি করা কী অনুমোদিত হওয়া উচিৎ? কে কোন শর্তে কোন তথ্যে প্রবেশাধিকার পাবে? কার এটা নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ?

২,৫০০টি দীপাধার দিয়ে তৈরি গোলকধাঁধা, উইকিমিডিয়া কমন্স – লাইসেন্স সিসি-বাই-এসএ

তথ্যের স্বাধীনতা বনাম নিরংকুশতা

আধুনিক চিন্তাধারা অনুসারে, গবেষণায় জ্ঞানের শিকড় প্রোথিত। বিজ্ঞানী এবং সমাজের চিন্তাবিদ শিক্ষাবিদরা আনুষ্ঠানিক সত্যের সাংস্কৃতিক স্মৃতির ধারণায় এই সংস্কৃতি এবং রীতিটি তৈরি করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক এবং সরকারী প্রকাশনার পক্ষপাতের মাধ্যমে এই জ্ঞান বিস্তৃত হয়। মধ্য-এশিয়া ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ গবেষক সারাহ কেন্ডজিওর [2] এসম্পর্কে মন্তব্য করেছেন:

নিরংকুশতার উপর একাডেমিক প্রকাশনার ভিত নির্মিত। (…) একসময় অভিজাত স্থানগুলোতে প্রকাশনা কারো পাণ্ডিত্যের মানের চিহ্ন হিসাবে বিবেচিত হতো। (…) আজকে এটা শুধু আপনার লেখা অপঠিত থেকে যাওয়াকেই নিশ্চিত করে।

তবে, ডিজিটাল চিন্তা এই পদ্ধতি কাজ করছে না বলেই মনে হচ্ছে। ইন্টারনেটে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান বৈশ্বিক তথ্যস্রোতের সঙ্গে মিশে যায় এবং অন্য যে কোন তথ্যের মতোই গণ্য হয়। স্বাধীনতা বিশেষত্বকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

অধিকাংশ বৈজ্ঞানিক জার্নাল এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। তবে, বিশুদ্ধরূপে তা কেনার জন্যেই বিদ্যমান এবং আলোচনা ফোরাম, সংযোগ বা সরাসরি প্রবেশাধিকারে মতো ইন্টারনেটের অতিরিক্ত কোন কার্যকারিতাকে ব্যবহার করে না। একজন বৈজ্ঞানিক বাণিজ্যিক সম্পাদকের সাধারণ চর্চাটি হলো পিডিএফ (পোর্টেবল ডক্যুমেন্ট ফরম্যাট) নিবন্ধগুলোর অবস্থান দেখিয়ে দিয়ে সেগুলো পাবার জন্যে আপনাকে একটি বড় অংক দাবি করা। উদাহরণস্বরূপ, এলসভিয়ার সম্পাদিত একটি জার্নালে একটি ছয় পাতার নিবন্ধে [3]র জন্যে ৩৯.৯৫ ডলার (প্রায় ৩,২০০ টাকা) দাবি করা হয়।

তার ব্লগে ড্যান কোহেন ব্যাখ্যা করেছেন [4] এধরনের একটি বাধার কারণ:

আমরা যা আশা করিনি সেটা হলো ওয়েবের প্রতি আরেক ধরনের প্রতিরোধ যেটা ডিজিটাল রাজ্যে বা লুড্ডিজ্জমের সঙ্গে অপরিচিতির কারণে ঘটেনি বরং তা আরো সূক্ষ্ম এবং ব্যাপকবিস্তৃত গোঁড়ামি – প্রথাগত একাডেমিক পদ্ধতি এবং ঘরানার মারাত্নক নিষ্ক্রিয়তার কারণে ঘটেছে, যেটা একাডেমিটিকে নতুন মিডিয়াকে মেনে নিতে দেয় না।

মুক্ত প্রবেশাধিকার

এই একাডেমিক প্রতিরোধের মুখে প্রধানতঃ ইন্টারনেটে বা ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করা গবেষকদের একটি গোষ্ঠী বিনামূল্যে গণঅর্থায়নে বৈজ্ঞানিক গবেষণার  ডিজিটাল প্রকাশনা লাভের দাবি করেছে। তারা এর নাম দিয়েছে মুক্ত প্রবেশাধিকার প্রকল্প। এটাই ছিল ২০১১ সালে মার্কিন সরকার কর্তৃক অ্যারন সোয়ার্জকে দোষী করে প্রদত্ত রায়ের পিছনের পটভূমি। একটি এমআইটি-সার্ভা্রের মাধ্যমে প্রায় ৪৮ লক্ষ বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ ডাউনলোডের দায়ে তিনি অভিযুক্ত। এই নিবন্ধগুলো জেস্টর সম্পাদক বিক্রি করেছেন এবং এগুলো যে কারো পাওয়ার জন্যে সোয়ার্জ অনলাইনে রেখে থাকতে পারেন।

Aaron Swartz à un meetup Wiki  à Boston par Sage Ross [5]

বোস্টন উইকিপিডিয়া সম্মেলনে অ্যারন সোয়ার্জ, উইকিমিডিয়া কমন্সে সাগে রস – লাইসেন্স সিসি-বাই-এসএ

তবে, তথ্যের স্বাধীনতা প্রচারের জন্যে ২০১১ সালের ১১ই জানুয়ারী তারিখে তার আত্মহত্যার পরেই কেবল তার কর্ম সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে জানানো হয়েছে। এতে সংহতির যে ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে তারপর থেকে অনেক শিক্ষাবিদ পিডিএফ ফরম্যাটে অবাধে তাদের বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ বিতরণ করেছেন। এই উদ্যোগটি চালু হয়েছে রেডিট [6]-এ ড্যানিশ স্নায়ুবিজ্ঞানী মিকাহ অ্যালেন [7] প্রস্তাবিত এবং টুইটারে ইভা ভিভলাট ও জেসিকা রিচম্যানের শুরু করা #পিডিএফশ্রদ্ধা [8] হ্যাশট্যাগের সঙ্গে সঙ্গে।

তবুও মুক্ত প্রবেশাধিকার আন্দোলনটি ডিজিটাল সময়ের পরিমাপে একেবারে সাম্প্রতিক কিছু নয়। ২০০১ সালে বুদাপেস্ট মুক্ত প্রবেশাধিকার উদ্যোগে [9] জন্ম নিয়ে এটি পুষ্ট হয়েছে সাইবার জগৎকে মুক্ত করার বৈশ্বিক আকাংক্ষার গভীরে। ধারণাটি যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড এমনকি কেনিয়ার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ইউরোপীয় কমিশনের অভ্যন্তরে – যারা একে ২০২০ সালের জন্যে অন্যতম একটি অগ্রাধিকার বানিয়ে ফেলেছে – পৌঁছে গেলেও আমেরিকান গুটি কয়েক ব্যাতিরেকে মার্কিন গবেষণাকর্মের সুরক্ষাকারীরা একে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে:

 @সারাহ কেন্ডজিওর [10]: একাডেমিক স্থাপনাগুলো ভয়ের একটি সংস্কৃতির অংশবিশেষ। বিশ্ব থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার চেয়ে এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়ার ভয়। #পিডিএফশ্রদ্ধা

ডিজিটাল চিন্তাধারা অনুসারে, ভাগাভাগি করা এবং বিতর্কের জন্যে একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ লেখা হয়। প্রথাগত মডেলের প্রতিলিপি তৈরীর মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পাদক অবাধ প্রবেশাধিকার মডেলকে প্রত্যাখ্যান করে সাইবার জগতের অনুপযোগী একটি পদ্ধতিকে স্থায়ীত্ব প্রদান করেছে। গবেষক এবং জনগণের মধ্যে সবধরনের যোগাযোগ অস্বীকার করা কঠোর নিয়ম শাসিত এই পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্টীর কাছে তথ্য কুক্ষিগত থাকে। প্রথমতঃ অভিজাতদের অস্বীকৃত এই পদ্ধতিটি তাদের সম্প্রদায়ের একেবারে ভেতরকার বা এমনকি আইনি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত প্রান্তিকতার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

উদ্দীপ্ত উদাহরণগুলো থেকেই বৈজ্ঞানিক তথ্যের অবাধ প্রাপ্যতাটি সৃষ্টি হয়েছে। অবাধ প্রবেশাধিকার জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার এবং বিভিন্ন অঞ্চলের বিজ্ঞানীদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ব্যাপক তথ্যের বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করে। রাশিয়ার ইতিহাস বিশেষজ্ঞ শন গুইলরি [11] যেমন উল্লেখ করেছেন:

ইউরেশিয়া সম্পর্কে “পশ্চিমা” পণ্ডিতদের এবং “ওখানকার” বিদ্বানদের সৃষ্ট জ্ঞানের মধ্যে যোগাযোগ, প্রবেশাধিকার এবং সংলাপের খুবই বিস্তর একটি তফাৎ বিদ্যমান।

অবাধ প্রবেশাধিকার এছাড়াও অ-বৈজ্ঞানিক জনগণকে সারাহ কেন্ডজিওরের উদাহরণে [12] ফিরে যেতে সাহায্য করছে:

একাডেমিয়া.ইডিইউ-তে একটি লেখা আপলোডের মাধ্যমে সারাহ কেন্ডজিওর উজবেক উদ্বাস্তুদের বিদেশে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজে পেতে সাহায্য করেছেন। অন্য আরেকটি লেখা আপলোডের মাধ্যমে তিনি মধ্যপশ্চিমের তরুণ-তরুণীদের জীবনে সমসাময়িক উজবেক সাহিত্যের দুনিয়াকে নিয়ে এসেছেন।

২০১২ সালের ১৯শে জুন তারিখে প্রকাশিত ফিঞ্চ প্রতিবেদন [13] অনুসারে, পুরোনো বাণিজ্যিক মডেলটি উদ্ভাবন, প্রবৃদ্ধি এবং গবেষণা থেকে অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। প্রত্যেকের তার কাংক্ষিত তথ্যে অবাধে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত, এই ধারণার ফলে জটিলতর হলেও, ডিজিটাল দুনিয়া আভিজাত্যের বিবেচনায় তার পূর্বসুরীদের থেকে নিজেকে পৃথক করতে পেরেছে। পাবলিক ডোমেইন ইশ্তেহারে [14]র পশ্চাতের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাই এটি:

দ্রুতগতিশীল প্রযুক্তিগত এবং সামাজিক পরিবর্তনের একটি সময়ে সাংস্কৃতিক অংশগ্রহণ এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে পাবলিক ডোমেইন একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে, আর তাই এর সক্রিয় রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।

বিক্রয়ের জন্যে ফ্রান্সের ডিজিটাল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

২০১২ সালের জানুয়ারী মাসের ১৮ তারিখে ফ্রান্সে বিবলিওথেক ন্যাশোনেল (বিএনএফ) এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মধ্যে একটি চুক্তির স্বাক্ষরের ঘোষণা করা হয়েছে। এটা অনেকগুলো ফরাসী গোষ্ঠী এবং অ্যাসোসিয়েশন সমর্থিত জ্ঞান জগতে সকলের প্রবেশাধিকার নিয়ে বিতর্কে ভূমিকা রেখেছে, যেমনটি বলা হয়েছে ফ্রামাব্লগে [15]র এই আপীলে [ফরাসী ভাষায়]:

Ces partenariats prévoient une exclusivité de 10 ans accordée à ces firmes privées, pour commercialiser ces corpus sous forme de base de données, à l’issue de laquelle ils seront mis en ligne dans Gallica, la bibliothèque numérique de la BnF. Les principaux acheteurs des licences d’accès à ces contenus seront des organismes publics de recherche ou des bibliothèques universitaires, situation absurde dans laquelle les acteurs du service public se retrouveront contraints et forcés, faute d’alternative à acheter des contenus numérisés qui font partie du patrimoine culturel commun.

অংশীদারিত্বগুলো এইসব বেসরকারী কোম্পানীগুলোকে ১০ বছরের জন্যে এইসব কাজগুলোকে ডাটাবেস হিসেবে বাণিজ্যিকীকরণের নিরংকুশতা প্রদান করেছে, যেগুলো থেকে বিএনএফের ডিজিটাল লাইব্রেরী গ্যালিকে অনলাইনে প্রবেশাধিকার থাকবে। এইসব কন্টেন্টে প্রবেশাধিকার লাইসেন্সের প্রধান ক্রেতা হবে সরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি, যার ফলে সরকারী কর্মকর্তারা অনন্যোপায় হয়ে ডিজিটাইজড হওয়া আমাদের ভাগাভাগি করা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ এইসব কন্টেন্ট কিনতে বাধ্য হবে।

এইসব বেসরকারী ডিজিটাইজেশনের পিছনের চুক্তিগুলো ঐতিহাসিক কারণেই যে জ্ঞান জগৎ আমাদের অধিকারে থাকার কথা ছিল সেখানকার প্রবেশাধিকারকে সীমাবদ্ধ করে। ধনী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নে  সাংস্কৃতিক তথ্যের এই সংরক্ষণ প্রক্রিয়া এবং ডিজিটাল পুণর্দখল প্রকাশ্য স্থান অর্থাৎ ইন্টারনেটে মানব মস্তিষ্ককে শোষনের ​​একটি উপায়কে প্রকারন্তরে পুন:স্থাপন করে। এখানে এটা ইন্টারনেটের প্রকৃতিকে ভুল বুঝার কোন ব্যাপার নয়। বরং এটা আমাদের ঐতিহ্য অংশবিশেষের উপর একটি বাণিজ্যিক শ্বাসরোধ। অন্য কথায়, এই বেসরকারী ডিজিটাইজেশনগুলো আসলে সমস্ত মানবজাতির মালিকানাধীন সাইবার জগতের একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ এবং একটি বুদ্ধিবৃত্তিক স্থান দখল করছে।

আধুনিক এবং প্রথাগত চিন্তাবিদদের উদ্ভাবনী কল্পণার অভাব জনগণের জন্যে একটি স্থানের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে একটি ডিজিটাল চিন্তাপদ্ধতির উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জের সম্মূখীন করেছে। তবে, ডিজিটাল যুগের প্রারম্ভিককাল থেকে কিছু একটা পরিবর্তন ঘটেছে। আজকে প্রযুক্তিগত হাতিয়ারের মালিক গণতান্ত্রিক বুদ্ধিমত্তাটিই বর্তমানে একটি অভিজাত গোষ্ঠীর বাধা সৃষ্টির পূর্ব পর্যন্ত আমাদেরকে জ্ঞানের জগতে প্রবেশাধিকার দিয়েছে।