গ্লোবাল ভয়েসেস ১ মে শ্রম দিবসে ক্যাম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, এবং সিঙ্গাপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ পর্যালোচনা করেছে। কর্মী ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপের বিভিন্ন দাবীর পুনরাবৃত্তির জন্য এই অঞ্চল জুড়ে সংগঠিত সমাবেশ গুলো শান্তিপূর্ণ ছিল।
ক্যাম্বোডিয়ায়, ৬০০০ এর অধিক বস্ত্র শ্রমিক ছাত্র, এনজিও, এবং নম পেন শহরের শহুরে দরিদ্র বাসিন্দাদের সাথে যোগ দেয়। ভালো মজুরি ও উন্নত কাজের পরিবেশের দাবিতে স্বাধীনতা পার্ক থেকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত তাঁরা মিছিল করে।
কমিউনিটি লিগ্যাল শিক্ষা কেন্দ্র দ্বারা আপলোডকৃত এই ভিডিওতে, ক্যাম্বোডিয় শ্রমিকের প্রধান চাহিদা ও পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে:
ইন্দোনেশিয়ায়, শ্রম দিবস উপলক্ষে হাজার হাজার শ্রমিক জাকার্তার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে মিছিল করে। তাদের দাবীর মধ্যে ছিল, “ন্যূনতম মজুরী লাভ, স্বাস্থ্য বীমা এবং কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সেই সাথে আউটসোর্সিং প্রত্যাখ্যান করা”।
ফিলিপাইনে, শ্রম গ্রুপ কিলুসাং মেয়ো উনো সরকারের শ্রম নীতির ব্যাপারে হতাশঃ
ফিলিপাইনে দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে ১২৭ তম আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস এবং তার ১১০ তম উদযাপনকে আমরা কর্মীদের বিরোধী এবং পুঁজিবাদী শাসনের স্বপক্ষে প্রেস এর অবস্থানকে তীব্র নিন্দার সঙ্গে চিহ্নিত করেছি। নয়নয় আকুইনো
আকুইনো আবারও গুরুত্বপূর্ণ মজুরি বৃদ্ধি, চুক্তিগত কর্মসংস্থানের আবর্জনা এবং ট্রেড ইউনিয়ন দমনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শ্রমিকদের দাবি বাতিল করেছেন।
ম্যানিলায় শ্রম দিবসের ঘটনাগুলোর উজ্জ্বলতম অংশসমুহ ইযে মিজারেস এর আপলোড করা এই ভিডিওটিতে রয়েছে:
সিঙ্গাপুরে। ট্রানজিশনইং ডট অরগ এর গিলবারট গহ সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক শ্রম দিবসের প্রতিবাদ সম্বন্ধে লিখেছেন:
আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি, সিঙ্গাপুরে আমরাও একটি ইতিহাস তৈরি করছি। এখনও পর্যন্ত কেউ এখানে সব পর্যায়ে শ্রম দিবসের অনুষ্ঠান করতে পারেনি। আমরা প্রথমবারের মতো এটি করতে পেরে গর্বিত।
এমনকি আমরা এখন থেকে বার্ষিক শ্রম দিবসের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করব বলে ভাবছি- অন্যান্য অনেক দেশে যেটি কয়েক দশক ধরে পালিত হয়ে আসছে।
ঘটনাটি গত ফেব্রুয়ারি মাসের সমাবেশের একটি পরিণাম প্রতিবাদ, যেখানে হাজার হাজার সিঙ্গাপুরি জনগণ সরকারের জনসংখ্যা নীতি কাগজের বিরোধিতা করতে জড়ো হয়। এই ভিডিওটিতে, সিঙ্গাপুরিরা এই পদক্ষেপ সংগঠিত করা এবং এতে যোগ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেনঃ