পশু প্রেমীদের জন্য শুভ সংবাদ। সিঙ্গাপুরের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ‘চরিত্র এবং নাগরিকত্ব শিক্ষা’ পাঠ্যক্রমে ‘পশু কল্যাণ’ বিষয়টির অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করেছে।
প্রাণিদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের জন্য সেখানে পশু কল্যাণ বিষয়টিকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে উত্সাহিত করেছেঃ
আমরা শিক্ষা পাঠ্যক্রমের এই পরিবর্তন গুলিতে গুরুত্ব দিতে যথেষ্ট জোর করতে পারি না। পরবর্তী প্রজন্মের তরুণ ছেলে-মেয়েদের আমরা শ্রদ্ধেয়, দায়িত্বশীল, উদার জীবনের অধিকারি এবং প্রাণি ও সহকর্মী মানুষের জন্য সমবেদনশীল হিসেবে গড়ে তুলছি। আমরা আশা করছি এর ফলে বিরাট সাফল্য অর্জিত হবে।
ব্রেকফাস্ট নেটওয়ার্কে কওন জিন ইও’র লেখার ফলে, স্কুলে ‘পশু কল্যাণ’ বিষয়টি পড়ানোর গুরুত্ব স্বীকৃতি পায়ঃ
সিঙ্গাপুরে পশুদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নিষ্ঠুরতা এবং বিসর্জন এর ভয়ঙ্কর উদাহরণ রয়েছে। তাঁদের প্রতি আমাদের আরও অধিক সম্মান প্রদর্শন করা প্রয়োজন – এবং তরুণ বয়স হচ্ছে এটি শুরুর সেরা সময়।
পাশাপাশি পশুদের প্রতি দয়ালু হবার শিক্ষা আমাদের দায়িত্ব বোধ নির্মাণ করতে সহায়তা করে। তরুণ সংবেদনশীল সন্তানেরা আরও বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে যদি সে অন্যদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে। সমবেদনা তৈরী করা সম্ভব, যদি তাঁরা শিখে কিভাবে পশুদের সাথে আচরণ এবং সহাবস্থান করতে হয়।
এই সংস্কারের ফলে সমাজ কিভাবে উপকৃত হবে ফেসবুকে রেনে সের তা ব্যাখ্যা করেছেন:
এটি অনেক বড় খবর। একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বের পাশাপাশি, অন্যান্য জীবকে সম্মান করার জন্য আমরা তরুণদের উত্সাহিত করব। কারণ পৃথিবীটা শুধু মানুষের জন্য নয়। অনেক উদ্ভিদ এবং প্রাণীর সমন্বয়ে এই পৃথিবীর বাস্তুসংস্থান গঠিত। প্রাণীদের প্রতি ভালবাসার একটি পদক্ষেপ গ্রহণ যেন স্নেহময় পৃথিবীকে ভালবাসারই একটি পদক্ষেপ। বৃহৎ অর্থে, এটি আমাদের সমাজ এবং পৃথিবীর বাস্তুসংস্থানের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী।
আলিসিয়া লিঞ্চ তার মেয়ের সাথে এই শুভ সংবাদটি শেয়ার করেছেনঃ
আমার ১২ বছর বয়সী মেয়ে এটা শুনে খুশি হবে। শিশুরা যাতে প্রাণীদের সম্মান করা শিখতে শিখতে বড় হয়, সে কারণে ‘পশু কল্যাণ’ বিষয়টি প্রত্যেক স্কুলের পাঠ্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে সে আমাকে বলেছে।
জিউস ইজকিউট মনে করেন পশু কল্যাণ বিষয়ে বাবা-মা’দেরও শিক্ষিত হওয়া উচিত:
সত্যি বলতে, বাচ্চারা কিভাবে শিখবে আমি তা জানি না, যখন তাঁদের বাবা-মা’র নিজেদেরই শিক্ষার প্রয়োজন।