সাংবাদিক জেনান মুসা আবার সিরিয়ার আলেপ্পো ফিরে গেছেন। সেখানে সরকার ও বিরোধীদের যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝ থেকে টুইট করে যাচ্ছেন। তার টুইটগুলো তাত্ক্ষণিক অভিজ্ঞতাপূর্ণ এবং খুবই ব্যক্তিগত। পাঠকরা এই টুইটগুলো থেকে জানতে পারবেন, যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে জীবন কেমন।
@জেনানমুসা: [1] #আলেপ্পোতে ফিরে এসে খুবই ভালো হয়েছে। আমার সব বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা হয়েছে। আমি যেখানে ছিলাম তারচেয়ে শহরটি বেশ ভালো আছে। জনতা যুদ্ধের সাথে জীবন মানিয়ে নিয়েছে।
আলেপ্পোতে সঙ্গীদের সাথে রাতের খাবার খাওয়ার সময়ে খানিকটা দূরে মর্টারের গর্জন শোনা গেল:
@জেনানমুসা: [2] আলেপ্পোতে এখন রাতের খাবারের সময়। খাবারের তালিকায় আছে দূরের মর্টার গর্জনের প্রতিধ্বনি, যা মেক্সিকান মুরগির ডাকের মতো ।
শহরে এক রাত পার করে মুসা বিস্মিত হয়েছেন:
@জেনানমুসা: [3] আলেপ্পো থেকে শুভ সকাল জানাচ্ছি। ভোর ৬টা পর্যন্ত আমি একটুও ঘুমাতে পারিনি। প্রতিবার চোখ বন্ধ করতেই আমি ভেবেছি এই বুঝি বোমা পড়লো! হায় খোদা, মানুষ এখানে কীভাবে সুস্থ থাকতে পারে?
আলেপ্পোর যেখানে ৪৫ দিন আগে স্কাড মিসাইল হামলা হয়েছিল সেখানে ঘুরে এসে তিনি টুইট করেছেন:
@জেনানমুসা: [4] আমি গতকাল #আলেপ্পোর যেখানে ৪৫ দিন আগে স্কাড মিসাইল হামলা হয়েছিল সেখানে গিয়েছিলাম। ভাঙ্গা ইট-পাথরের নিচে এখনো ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
[5]৪৫ দিন আগে আলেপ্পোর যেখানটায় স্কাড মিসাইল হামলা হয়েছিল সেখানে জেনান মুসা। ছবি: জেনানমুসার [6]টুইটারে শেয়ার থেকে নেয়া।
@জেনানমুসা: [7] #আলেপ্পোতে ইট-পাথরের ধ্বংসস্তুপে একজন বাবাকে বসে থাকতে দেখলাম। তার চোখে পানি। তিনি তখনো দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে খুঁজে চলেছেন।
@জেনানমুসা: [8] আমি যখন বাবাকে দেখছিলাম, ধ্বংসস্তুপের নিচে তিনি তখন তার বাচ্চার জুতো এবং একগোছা চুল (মেয়েদের চুল) খুঁজে পেলেন। আমাকে তিনি বললেন, ‘এটা সম্ভবত আমার বউয়ের’।
এরকম হতাশাজনক পরিস্থিতিতেও মুসা তার হাস্যরস ধরে রেখেছেন:
@জেনানমুসা: [9] #আলেপ্পোর অ্যাক্টিভিস্টরা আমাকে নিয়ে বেশ ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছে। আমি বাড়িতে কিছু কিছু সময় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে থাকি। আর তারা যুদ্ধের গোলাগুলির শব্দে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
এরপর তারা রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমাতে যায়:
@জেনানমুসা: [10] আজকে আমরা কেউই রাতের খাবার খাইনি। এমনকি কেউ গোসলও করেনি। #আলেপ্পোর মতো শহরে এসবের কিছুই দরকার নেই। শুভ রাত্রি।