তেহরানের ফার্মাসিস্ট খাইরুল্লাহ ঘোলামির উক্তি যা কিনা সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে, যেখানে তিনি বলেন, “যদি এ রকম পরিস্থিতি বজায় থাকে, তাহলে আসলেই আমরা জানি না আমাদের কি করা উচিত। রোগীকে হাতুড়ি দিয়ে অজ্ঞান করা যায় না।”
ইরানের নেট নাগরিক এবং ব্লগাররা এতে তাদের প্রতিক্রিয়ার প্রদর্শন করেছে, একজন প্রখ্যাত ভিন্নমতাবলম্বী মানা নেইয়াস্তানি নীচের এই কার্টুনটা মার্ডোমাক ওয়েবসাইটের জন্য তৈরী করেছে: ইরানের ব্লগার দারা, সকল দিক থেকে নাগরিকদের সুবিধা প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের শাসকদের সমালোচনা করেছেন:
সারা দেশে হাসপাতালসমূহে এনেসথেশিয়া ডাক্তারের অভাবে অপারেশন কক্ষগুলো বন্ধ রয়েছে। চীন থেকে আনা ভুয়া পেনিসিলিন দেশবাসীর জীবন হরণ করছে। আমেরিকান ডলারের মূল্য বাড়তে বাড়তে ৩৫,০০০ রিয়ালে এসে দাঁড়িয়েছে, আর জিনিষপত্রের প্রচন্ড মূল্যবৃদ্ধি একটা পর্যায়ে এসে দাড়িয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মানুষ সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এবারের [নওরোজের ] সবচেয়ে কম কেনাকাটা করেছে। আর এ রকম একটা সময়ে কেউ কেউ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলছে। আসলেই আপনারা আমাদের কাছে কাকে নির্বাচনের আশা করেন, যখন আমাদের নেতারা সকলে ইতোমধ্যে সকল কিছুর যত্ন নিতে শুরু করেছে? […] কাকে আমি ভোট দেব, যখন এমন কি আমি অপারেশন রুমে কোন এনেসথেশিয়ার ডাক্তারকে পাচ্ছি না?
মোহসেন সাজাগারা টুইট করেছে:
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা বিভাগের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার মতে যদি পরিস্থিতি এ রকম অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে আমাদের এই সকল অপারেশন রুম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হতে হবে।