- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

আগামীতে হংকং কি আজকের তিব্বতের মতো হবে?

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, চীন, হং কং (চীন), ইতিহাস, জাতি-বর্ণ, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, প্রতিবাদ, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, রাজনীতি, সরকার

তিব্বতের জনগণের সাথে সংহতি জানাতে তিব্বতের জনগণের সাথে সংহতি জানাতে ওয়াকিং অ্যালং উইথ তিব্বতিয়ান [1] নামে হংকংয়ের একটি অ্যাক্টিভিস্ট সংগঠন তিসিম সা তিসুই শহরে [2] সম্মেলনের আয়োজন করে। ২০১৩ সালের ১০ মার্চ তিব্বতের গণজাগরণের ৫৪ বছর উদযাপন উপলক্ষে [3] এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। একইসঙ্গে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত নিহত ১১৩ তিব্বতী নাগরিকের জন্য শোক প্রার্থনাও করা হয়। তারা তিব্বতে চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।

সম্মেলনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে:

過去一年,中國政府對西藏鎮壓變本加厲,導致藏曆2139年(即2012年)境內藏人自焚抗議事件愈演愈烈。從2009年2月27日至2013年2月25日,共113位藏人自焚,在境內藏地有109位,在境外有4位,包括15位女性,已知其中94人犧牲(境內92人,境外2人)。這些自焚藏人所留下的遺言,和自焚時喊出最後的響亮心聲是:“讓達賴喇嘛尊者返回西藏”、“祈願達賴喇嘛尊者永久住世”、“西藏要自由”、“民族平等”、“西藏獨立”等等。

চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিব্বতীরা এখন বেশি হারে আত্মবিসর্জন দিয়ে প্রতিবাদ করছেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত নিহত ১১৩ তিব্বতী আত্মবিসর্জন দেন। এরমধ্যে ১০৯ জনই আত্মবিসর্জন দেন তিব্বতে, বাকি ৪ জন তিব্বতের বাইরে। আত্মবিসর্জনকারীর ১৫ জন মহিলা ছিলেন। আর আত্মবিসর্জন করতে গিয়ে মারা গেছেন ৯৪ জন (৯২ জন তিব্বতে, ২ জন তিব্বতের বাইরে)। মৃত্যুকালে তাদের শেষ ইচ্ছেগুলোর মধ্যে ছিল: দালাই লামা তিব্বতে ফিরে আসুন, দালাই লামা দীর্ঘজীবী হউন, মুক্ত তিব্বত চাই, সবাই সমান, স্বাধীন তিব্বত চাই, ইত্যাদি।

Online Banner for the 54th Anniversary of Tibetan National Uprising Day in Hong Kong. [4]

হংকং-এ তিব্বতের গণজাগরণের ৫৪ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনের ব্যানার

সম্মেলনের আয়োজকদের একজন ডরোথি। তিনি গত কয়েক বছরে তিন বার তিব্বত সফর করেছেন। তার সাক্ষাৎকার [5] নিয়েছেন নাগরিক সাংবাদিক মার্কো ম্যাক:

Dorothy 表示被藏民純樸善良的個性所深深感動,遂在回港後致力為西藏發聲,希望令更多人知道藏民每日要面對的如武裝鎮壓、文化清洗和媒體封鎖等嚴重問題。「藏民被迫去到高樓大廈裡生活,他們失去了以往賴以生存的方式。兒童不能學習藏語,令文化滅絕。我認識的藏人正努力保護自己的宗教文化,他們大多很純真。這與香港的物質生活反差很大…」

ডরোথি জানান, তিব্বতীদের সাদামাটা জীবনযাপন আর দয়ালু ব্যবহার তাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি চেয়েছেন তাদের কথা হংকংয়ের সামনে তুলে ধরতে। এতে করে আরো বেশি মানুষ জানতে পারবে সামরিক বুটের নিচে দৈনন্দিন জীবনযাপন, সাংস্কৃতিক বিশোধণ আর অবরুদ্ধ মিডিয়ার মাঝে তারা কেমন আছে:

তিব্বতের জনগণকে বাধ্য করা হয় উঁচু উঁচু দালানকোঠায় বসবাস করতে, বদলে ফেলতে বাধ্য করা হয় তাদের জীবনাচারও। শিশুদের তিব্বতী ভাষায় লেখাপড়া শিখতে দেয়া হয় না, উপড়িয়ে ফেলা হয় নিজস্ব সংস্কৃতিও। আমার তিব্বতী বন্ধুরা খুব চেষ্টা করছে তাদের ধর্ম এবং সংস্কৃতি রক্ষা করতে। তাদের হৃদয় হংকংয়ের বস্তুবাদী আচরণের চেয়ে ঢের বিশুদ্ধ…।

Exhibition on Tibet human right situation during the assembly. Photo from inmediahk.net (CC: AT-NC) [5]

সম্মেলন চলাকালে তিব্বতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রদর্শনী। ছবি inmediahk.net এর সৌজন্যে (সিসি:এটি-এনসি)।

প্রটেক্ট হংকং ফ্রিডম কোয়ালিশনের মুখপাত্র হং নিংসান বলেন, তিব্বতের বর্তমান ঘটনা হংকংয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অনেকেই এ কথার প্রতিধ্বনি করেছেন। মার্কো সম্মেলনে দেয়া হ্যান-এর বক্তব্য তার প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন:

面對西藏現時不公義的情況,香港人不能再沉默。即使西藏和香港的距離很遙遠,但仍然和香港息息相關。因為中共政權自建國以來,不斷剝削人民的自由;西藏人民的宗教自由和基本人權更是接近去蕪存菁。
他更認為當時中共答允給予西藏人民的宗教自由,和港人的雙普選都只是「權宜之計」;實際遙遙無期。因為中共只會以謊言治國,蒙蔽人民。他呼籲港人必須立即醒覺,盡力避免被重蹈覆轍。

তিব্বতের প্রতি অন্যায় আচরণ নিয়ে হংকংবাসীরা নিশ্চুপ থাকতে পারেন না। দু'দেশের মধ্যে ভৌগলিক দূরত্ব অনেক হলেও রাজনৈতিক ভাগ্যের জন্যই তারা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত। গণপ্রজাতন্ত্রী চায়না প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চীনা কমিউনিস্ট পার্টি জনগণের স্বাধীনতার অধিকার ক্ষুণ্ন করে আসছে। তিব্বতীদের এখন ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। হ্যান বিশ্বাস করেন, তিব্বতীদের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দেয়া চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি কৌশল। এটা অনেকটা হংকংবাসীদের সার্বজনীন ভোটাধিকারের প্রতিশ্রুতির মতো। এ ধরনের প্রতিশ্রুতি কখনোই পূরণ হবে না। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি মিথ্যা বলার কৌশল নিয়ে দেশ শাসন করছে, তারা জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। হংকংবাসীদের তাদের ইতিহাস সম্পর্কে সজাগ হতে হবে এবং প্রতারণা এড়িয়ে চলতে হবে [তিব্বতে যা ঘটেছে, সেটা হংকংয়েও পুনরাবৃত্ত হতে পারে]।