মালিতে অপারেশন বনবিড়ালের শুরু থেকেই এই ছবিটি সারা বিশ্বজুড়ে দেখা এবং ভাগাভাগি হয়েছে।
বাস্তবে, মৃত্যুর মুখাকৃতিতে একটি স্কার্ফ জড়ানো ফরাসি সৈনিকের এই ছবিটি মালিতে ফরাসি সামরিক অভিযান শুরুর একটি প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে। কিন্তু কেন এই সৈনিকটি নেটভ্রমণকারীদের মধ্যে এমন একটি ছাপ ফেলেছে?
বিতর্কের কারণগুলো
অপারেশন বনবিড়ালকে একটি মিশ্র অনুভূতি যুক্ত স্বাগত সম্ভাষণ জানিয়েছে মালির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ এবং বাকিরা নয়া-উপনিবেশবাদী হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছে। এর লক্ষ্য দুটি-স্তরের: অসামরিক জনগণের জীবন রক্ষা এবং জেহাদী গোষ্ঠগুলোর দখলে থাকা শহরগুলো ফেরত নিয়ে আসা। এটা, কেন ফরাসি সেনাবাহিনী যোগাযোগ কৌশলের ক্ষেত্রে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু যখন অনেক মানুষের জীবনহানি করার মতো একটি সশস্ত্র সংঘাত ঘটতে চলছে তখন আসলেই আমরা কেন একটা স্কার্ফ সংক্রান্ত কলংক মাথায় নিতে যাবো? “ওদিউ কোনা” (ঘৃণ্য কামুক) ব্লগের লেখক তার “যুদ্ধের স্কার্ফ” পোস্টে তুলে ধরেছেন:
Aussi, l’indignation a fait son chemin, et l’un après l’autre, de courageux militants du web se sont sentis dans l’obligation de hurler au scandale et de demander à l’état-major de réagir pour que soit sanctionné l’individu dont le choix d’imprimé sur le foulard le faisait ressembler à « Ghost », personnage portant un passe-montagne à l’imprimé proche et tiré du jeu vidéo « ultra violent » Call of Duty. [..] Heureusement, nombreux ont été celles et ceux à tenter de désamorcer la polémique en affirmant que le militaire ne faisait que « se protéger du sable », ce qui est un argumentaire pertinent, tant en fait qu’il le porte pour se protéger sur sable, du soleil ou même fumer la pipe ne change pas grand chose, le vrai problème étant que visiblement, il y a des gens à qui on a pas dû bien expliquer en quoi consistait la guerre.
এভাবে ধিক্কার এসেছে এবং একের পর এক ওয়েবের সাহসী যোদ্ধারা কলঙ্কের কথা উচ্চারণ করে সামরিক কর্মকর্তাদের “অতি-সহিংস” কল অফ ডিউটি ভিডিও গেমের মতো বাঁদুরে টুপি পরিহিত ভুতের চরিত্রের মতো দেখতে নকশা করা স্কার্ফ পরিহিত লোকটিকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে কিছু একটা করার অনুরোধ করতে বাধ্য হয়েছে। সৌভাগ্যবশত, অনেকেই সৈনিকটি “বালি থেকে নিজেকে রক্ষা” করছে এরকম একটি বৈধ যুক্তি দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তিনি বালি বা রোদ থেকে রক্ষা পাওয়ার অথবা ধূমপানের জন্যে এটা পরেছে, সেটা আসলে ব্যাপার নয়। স্পষ্টতঃ আসল সমস্যাটি হলো অনেক লোককেই বলা হয়নি আসলে যুদ্ধটি হচ্ছে কিসের জন্যে
যুদ্ধ চিত্রকল্পের ঘোর
সামরিক হস্তক্ষেপটি ছবিটির উপর যে প্রকোপ ফেলতে পারে সেটাও ইলেক্ট্রোমণ্ডলের (ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের) জন্যে বিরক্তিকর। তিনি লিখেছেন::
Cette image devint vite du pain béni pour une bienpensance de tout poil qui, étrangement, ne trouva rien à redire sur l'arme porté par ce soldat ou sur ses activités quotidiennes. Il est donc utile de rappeler certaines réalités du métier de légionnaire et de la guerre aux moralisateurs 2.0 (et autres bienpensants sous Windows/Android/iOS) qui « veulent en savoir plus mais pas trop », et ce, peu importe que l'on approuve, désapprouve ou questionne l'intervention française au Mali contre les milices djihadistes. On peut sincèrement s'interroger sur les fondements d'une polémique visant un foulard qui susciterait tout au plus de l'indifférence, de l'hilarité, des sarcasmes ou de l'admiration dans la cour d'un lycée à Paris ou lors d'un vernissage à Lyon. Je suis d'autant plus frappé que la hiérarchie militaire (dans des bureaux feutrés et chauffés/climatisés à Paris) veut infliger des sanctions à ce soldat
এই ছবিটি দ্রুতই রাজনৈতিকভাবে সঠিকপথে থাকা সব ধরনের দলের জন্যে একটি সোনার খনিতে পরিণত হয়েছে। অদ্ভুতভাবে, এই সৈনিকের বহন করা অস্ত্র বা তার প্রতিদিনের কাজ (মানুষ হত্যা) নিয়ে তাদের কারোরই কোন আপত্তি নেই। সুতরাং ভাড়াটে সৈনিকদের কাজ এবং যুদ্ধের কর্মকাণ্ড আপনি সমর্থন করুন বা নাই করুন কিংবা জিহাদী গেরিলাদের বিরুদ্ধে ফরাসি হস্তক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ করুন, খুব বেশি কিছু নয় তবে ‘আরও জানতে চাওয়া’ ধার্মিক ২.০ (এবং অন্যান্য পিসি উইন্ডোজ/অ্যান্ড্রয়েড/আইওএস ব্যবহার করা জনগণ)-গোষ্ঠীকে কিছু বাস্তবতা সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার এটাই উপযুক্ত একটি সময়। হয়তো প্যারিসের কোনো উচ্চ বিদ্যালয়ের হলে বা লিয়নে কোন শিল্পীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিরাসক্তি, হাসি, বিদ্রূপ বা প্রশংসার উদ্রেক করা একটি স্কার্ফ নিয়ে একটি বিতর্কের কারণ খূঁজে বের করতে গিয়ে আপনি সত্যি সত্যিই অবাক হবেন। আমি আরো বেশি আশ্চর্য হয়েছি প্যারিসের আয়েসী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে বসে থাকা সামরিক সংগঠণ যখন এই সৈনিকটিকে শাস্তি দিতে চায়।”
অঘেলিয়াঁ লেঘ্রঁ ওয়েবে প্রদর্শিত রুগ্ন রুচির সামান্য ইঙ্গিতের প্রতিক্রিয়ায় জনগণের তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত না টানার পক্ষে:
Ce qui me dépite le plus, c’est l’épidermisme réactionnel, les torrents de bonnes pensées déversés aussi sec sur le Net avec une élaboration qui aurait bénéficié d’un peu de maturation. [..] Notre environnement culturel ne nous aide pas. Lors de la prise d’otages d’In Amenas, il fut lâché sur les chaines d’informations des vidéos prises au téléphone portable, et ce en un temps record. Images désertiques, corps abattus.. [..] On veut de l’info, on veut que ça claque, mais pas trop quand même.
আমাকে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করে ক্রোধান্বিত প্রতিক্রিয়া – তাৎক্ষণিকভাবে নেটে ধেয়ে আসা সঠিক চিন্তার প্রবাহ – যেগুলো সম্পর্কে প্রথমে একটু গভীরভাবে ভেবে নিলে হয়তো আরো ভাল হতো। আমাদের সাংস্কৃতিক প্রতিবেশ সহায়তা করে না। ইন এমেনাসে জিম্মি করার সময় সেল ফোনে করা ভিডিও রেকর্ড সময়ের মধ্যে মিডিয়াতে মুক্তি পেয়েছে… অনুর্বর ছবি, মার খাওয়া বিভিন্ন দেহ… আমরা তথ্য চাই, আমরা চাই এটা আকর্ষণীয় হোক – শুধু যেন খুব বেশি আকর্ষণীয় না হয়।”
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মালির সংঘাতটি বেশ কিছুদিন চলবে বলে মনে হচ্ছে। তাই সবার আগ্রহ থাকবে ঘটনাবলী নিয়ে বিতর্ক যোদ্ধার পোশাক নিয়ে বিতর্ককে অতিক্রম করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্যে শেষ পর্যন্ত ভাল কোন পরিণতি বয়ে আনতে পারে কিনা।