পাকিস্তানের প্রায় ১০০টির মত শহরে অনুষ্ঠিত হওয়া শিয়াদের সাথে একাত্মতা নামক প্রতিবাদ অবশেষে পরিসমাপ্ত হয়েছে [1]। ১০ জানুয়ারি, ২০১৩ [2] তারিখে দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর কোয়েটায় সংগঠিত বোমা বিস্ফোরণে [2] নিহত ১০০ জনের বেশী হাজারা শিয়া সম্প্রদায়ের নাগরিক নিহত হবার ঘটনায় এই সমস্ত বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
এই বোমা হামলার ঘটনা পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিম বালুচিস্তান প্রদেশের ইতিহাসের এক রক্তাক্ত দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গ্রুপ লশকর-এ-জংভি [3] এই ঘৃণ্য অপরাধের দায় স্বীকার করেছে।
এই হামলার পর কোয়েটার হাজারা সম্প্রদায় আলমদার নামক সড়কে সমবেত হয়ে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাদের এই অবস্থান ধর্মঘট সংঘঠিত হয় এক শীতল বৃষ্টিপাতের মধ্যে, আর তাদের সাথে ছিল ওই ঘটনায় নিহত তাদের আত্মীয়র কফিন, যা পরে সোশাল মিডিয়ায় সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘটের মাধ্যমে প্রতিবাদে একাত্ম হওয়ার [4] ঘটনা আগুনের মত দ্রুত পাকিস্তানের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের সকল সম্প্রদায় এবং আদিবাসী, ইসলামের নামে সন্ত্রাসের প্রতি নিন্দা জানানোর ঘটনায় যোগ দিয়েছে।
কোয়েটার বিক্ষোভকারীদের আলোচনার বিষয় ছিল কেবল একটি:
” কোয়েটা শহরকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনা এবং গভর্নরের শাসনজারির আহ্বান । “
এই বিষয়টি সমাধান করতে সরকারের চারদিন লেগে যায়; অবশেষে যা সঙ্কেত প্রদান করে চারদিন ধরে চলা এই অবস্থান ধর্মঘটের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। সর্বোপরি, নিহতদের আত্মীয়রা যতক্ষণ না তাদের দাবী পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ তাদের প্রিয় স্বজনদের লাশ দাফন করতে অস্বীকার করে। যেহেতু বিক্ষোভের ইতি টানা হয়েছে, তাই নিহতদের এখন দাফন করা হবে।
সারা পাকিস্তান জুড়ে নাগরিকরা অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করেছিল। মুলত প্রধান রেললাইন এবং সড়ক পথে এই সমস্ত অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করা হয়েছিল। সংবাদে অনুসারে পাকিস্তানের ১০০-এর বেশী শহর এবং মফস্বল শহর [5] জুড়ে এই আয়োজন করা হয়। খুরদা নামক শহরেও অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করা হয়, যেখানে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। এর লক্ষ্য ছিল খুব সাধারণ:
কোয়েটার বিক্ষোভকারীদের দাবী মেনে নেওয়া।
নীচে পাকিস্তানের কয়েকটি প্রধান শহরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের ছবি প্রদান করা হল: