বহু বছর ধরে লক্ষাধিক ইরানিদের জন্য বায়ু দূষণ একটি প্রকাশ্য শত্রুতে পরিণত হয়েছে। তাই এটা খুব বিস্ময়কর খবর হবে না যখন বায়ু দূষণের জন্য সরকার কিছু দিনের জন্য সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখবে।
এই মাসের শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, গত বছর ইরানের রাজধানী তেহরানে বায়ু দূষণের কারণে ৪,৪০০ এর বেশি লোক মৃত্যুবরণ করেছে।
ধূলিমলিন তেহরান
ইরানি নেট নাগরিকরা তেহরানের বায়ু দূষণ জনিত অনেক কার্টুন শেয়ার করেছেন। অমিদ ইরুন.কমে ধূলিমলিন তেহরানের একটি কার্টুন এঁকেছেন।
মানা নেস্তানি দূষণ নিয়ে করা তাঁর কার্টুনে রাজনীতির কথা বলতে ভুলে যাননিঃ “দাদা” বলেছেন, “আবার সকাল হয়েছে। এখন আমার জাগা উচিৎ…. এই সব খারাপ খবর… মৃত্যুদণ্ড, জেল…”। “দাদা” তাঁর দিন শুরুর সময় একটা গভীর শ্বাস নিলেন এবং “তেহরানের বাতাসে মারাত্মক দূষণ” শিরোনাম সম্বলিত একটি ম্যাগাজিন পাশে ফেলে রাখলেন।
অন্ধকারাছন্ন শহর
এখানে একটি ভিডিও রয়েছে যেখানে মেহেরাবাদ বিমানবন্দরে দূষিত অন্ধকারাছন্ন তেহরানের বিকেলের চিত্র তুলে ধরেছে।
কোন অক্সিজেন নাই
জেয়তুন নামের একজন ইরানিয়ান ব্লগার বলেছেন: [ফার্সি]
আমরা সব সময় বলে অভ্যস্ত যে দেশে শ্বাস নেবার মতো কোন জায়গা নাই। এটা বলে আমরা মূলত শাসকদের রাজনৈতিক এবং সামাজিক নিপীড়নের কথাই উল্লেখ করে থাকি। কিন্তু এখন আক্ষরিক অর্থেই শ্বাস নেবার মতো এখানে কোন অক্সিজেন নাই। যে শাসনব্যবস্থা তার নাগরিকদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারেন না সমগ্র বিশ্বে তার শাসন উপায় রপ্তানির দাবি উঠেছে।
ইরানের অন্যান্য শহরের জনগণও যে এই দূষণের শিকার তা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। উদাহরণ স্বরূপ দক্ষিণের শহর আহআযের [ফার্সি] কথা বলা যায়।