ইরান জনসম্মুখে মতামত প্রকাশের জন্য পরিচিত নয়। কিন্তু নাগরিক শিল্প এখানে এখনো বিদ্যমান।
ইউরোপের মত ব্যাপক না হলেও তেহরানে এখনো কিছু শহরের দেয়ালে, ভূগর্ভস্থে প্রাচীরচিত্র, কারুকাজ ও অন্যান্য ‘অনুমোদিত’ শিল্প দৃশ্যমানঃ গ্রাফিটি, দেয়াললিখন এবং পথচিত্র এখন নগরে প্রকাশ্যে ও বিচ্ছিন্নভাবে বর্তমান।
কয়েকটি দেয়াল শহীদদের মত প্রচারণামূলক চিত্রকর্মে ভরে গেছে। এটি কাল্পনিক, সাধারণত অলংকৃত চিত্র হতে পারে।
কয়েক সপ্তাহ পূর্বে, তেহরান থেকে একজন আলোকচিত্রী ইমেইলে গ্রাফিতির এই ছবিগুলো পাঠিয়েছেন; তিনি এই মন্তব্য জুড়ে দিয়েছেনঃ
আমি তেহরানে, একটি বাস স্টপেজে এগুলো তুলেছি। আমার মনে হয় তেহরানের পৌরসভার সাথে কারো যুদ্ধ চলছে। একদিন কেউ দেয়ালচিত্র এঁকে দেয়, অন্যদিন পৌরসভা সেটি মুছে দেয়। এটি চলতেই থাকে।
তেহরানে গ্রাফিটি। ছবিঃ মেলিন্ডা লিজেন্দ্রে
তেহরানে গ্রাফিটি, নভেম্বর ২০১২ ছবিঃ ইসা
তিন সপ্তাহ পরে, আমি তাকে উল্লেখপূর্বক তার ছবিগুলো প্রকাশের অনুমতি চাইলাম, তিনি বললেন এটি তার জন্য সম্মানজনক হবে এবং তিনি আরো জানাতে চেয়েছেনঃ
এখন তারা গ্রাফিতি অঙ্কন ঠেকানোর জন্য দেয়ালে রঙ করেছে। কিন্তু তার আগে দেয়ালটি সত্যি নোংরা ছিল। কিন্তু এখন তা নোংরা নয়। তাই পৌরসভার শত্রু এখন জনগণের এক বন্ধু কারণ দেয়াল এখন আর নোংরা নয়।
যারা নিজেদেরকে ব্যক্ত করছে ইউরোপের তুলনায় ইরানে তারা অনেক বেশি ঝুঁকিতে। বর্তমানে, ইরানে এ ব্যাপারে কোন আইন নেই, কিন্তু কর্তৃপক্ষ যদি এ কাজকে ধ্বংসাত্মক বিবেচনা করে, তাহলে এই শিল্পটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
ইরানে পথচিত্রের কেবল জাগরণ হচ্ছে। আশা করি তার উন্নয়ন ঘটবে।