মিশরের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠরা এখনো নীরব

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মোর্সি এবং তার মুসলিম ব্রাদারহুড স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার পার্টির ঠেলে দেওয়া একটি নতুন সংবিধানের জন্যে মিশরীয়রা ভোট দিচ্ছে। ইসলামপন্থীদের তৈরী নতুন সংবিধানে স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ, সামরিক বাহিনীর ভূমিকা পাকাপোক্ত এবং মিশরের আরো ইসলামীকরণের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে সুশীল সমাজ এবং বিরোধীদের উদ্বেগ সত্ত্বেও প্রথম দফায় ৫৭ শতাংশ ভোটার সংবিধানটিকে সমর্থন করেতে দেখা যাচ্ছে। দুই পর্যায়ের এই গণভোটের দ্বিতীয় দফাটি শনিবারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মিশর জুড়ে তিন সপ্তাহের সংঘর্ষ এবং অবস্থান ধর্মঘটের পর বিতর্কিত ভোটটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নিহত এবং শত শত গ্রেপ্তারসহ কমপক্ষে ১,০০০ মানুষ আহত হয়েছে।

অনেকে জালিয়াতি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিল। বাসেম সাবরি উল্লেখ করেছেন:

@বাসেম _সাবরি: আমি জানি নির্বাচনী লংঘনের প্রতিবেদনের অনেকগুলোই অতিরঞ্জিত, তবে এবারে আমি সত্যি সত্যিই উদ্বিগ্ন বোধ করছি। #মিশর

রাশা এই ছবিটি পোস্ট করেছেন, যাতে একজন কিশোরকে ভোট গণনা করতে দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে:

A photograph allegedly showing a child counting votes

ছবিটিতে একজন কিশোরকে ভোট গণনা করতে দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। টুইটারে ছবিটি ভাগভাগি করেছেন @রাশা _জানু২৫

তিনি টুইট করেছেন:

#امسك_تزوير طفل يجلس ويفرز الاصوات من داخل لجنة 43 مدرسة النهضة الابتدائية بعين شمس pic.twitter.com/23KMhUCn

@রাশা _২৫জানু: তাদের জালিয়াতি ধরুন! আইন শামস এলাকার আল নাহাদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৩ নম্বর কমিটির ভিতরে একজন শিশুকে ভোট গণনা করতে দেখা যাচ্ছে

এবং আমর সালাহ বলেছেন ভোট কেন্দ্রগুলোতে অনেক দেরী করানো হচ্ছিল। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন:

اغلب الدواير التي لها سجل تصويتي قوي لصالح القوي المدنية هناك تعمد لتعطيل التصويت بها..الناس بالالاف من الصبح ممنوعين عمليا من التصويت بلا

@আমরসালাহ: সুশীল সমাজের ভোটের শক্তির প্রমাণ আছে এমন বেশিরভাগ নির্বাচনী এলাকাগুলোতে ভোটদান দেরী করিয়ে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা ছিল.. হাজার হাজার মানুষকে কৌশলে তাদের না-ভোট প্রদানে বাধা দেওয়া হয়েছে

কেন তিনি সংবিধানটি প্রত্যাখ্যান করছেন তা জানিয়ে তারেক আমর টুইট করেছেন:

وماله لما الصحة تتخصخص، مش ده سبب أرفض عشانه الدستور، أنا رافض الدستور عشان دستور شرم برم كاتبينه شوية عاهات

@জিআর৩৩এনডাটা: স্বাস্থ্যসেবা বেসরকারিকরণ করা হয়েছে, তাতে কী? আমার এই সংবিধান প্রত্যাখ্যান করার কারণ এটা নয়।

আমি এটি প্রত্যাখ্যান করি কারণ এটি মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জ করা লোকদের লেখা একটি ভঙ্গুর সংবিধান

এবং মিশরীয় উদর নর্তকী সামা এল মাসরী ইউটিউবে এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। এখানে তিনি উদর নাচের মাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে একে একটি “বানোয়াট সংবিধান” হিসাবে বর্ণনা করেছেন:

http://www.youtube.com/watch?v=miMV6SPSC0A

প্রথম পর্যায়ের ফলাফল গণনা ঘোষণা করার পরে ব্লগার আল’আ আব্দেলফাত্তাহ মন্তব্য করেছেন:

الأغلبية الصامتة لسه صامتة

@আল’আ: নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠরা এখনো নীরব

ওয়ায়েল ঘোনিম বলেছেন:

نتيجة المرحلة الأولى: من كل 100 مصري له حق التصويت: 69 لم يشارك في الاستفتاء، 18 موافق على الدستور، 13 غير موافق على الدستور

@ঘোনিম: প্রথম পর্যায়ের ফলাফল: প্রতি ১০০জন ভোটের যোগ্য মিশরীয়দের মধ্যে ৬৯জন গণভোটে অংশগ্রহণ করেনি, ১৮জন এতে হ্যাঁ-ভোট দিয়েছে এবং ১৩জন দিয়েছে না-ভোট

এবং ওমর হাগ্রাস মিডিয়া কিভাবে ফলাফল কাভার করেছেন সেটা দেখিয়েছেন:

لو عايز النتيجة “نعم” افتح قناة مصر ٢٥ و لو عايزها “لا” افتح أون تي في و لو عايز تريح دماغك افتح باب الأودة و ناااااااااااااااام.

@ওহাগ্রাস: হ্যাঁ ফলাফল দেখতে চাইলে আপনি [টিভিতে] মিশর২৫ চ্যানেল খুলুন, না ফলাফল দেখতে চাইলে আপনি অনটিভি খুলুন; আর আপনি একটি বিরতি নিতে চাইলে আপনার ঘরের দরজা খুলুন এবং ঘু্মাতে চলে যান।

করিম শাফেই উল্লেখ করেছেন:

إللى فرحان بنعم وإللى فرحان بلا.. فرحانين على إيه؟ على دستور ما تنشرش رسميا وبيصوت عليه ناس ما لحقوش يقروه ولو قروه ما فهموهوش؟؟

@করশাফ: যারা হ্যাঁ খুশি এবং যারা না নিয়ে খুশি… আপনার কী নিয়ে খুশি? আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত না হওয়া একটি সংবিধান, একে ভোট দিয়েছে এটি একবারো পড়ার সুযোগ না পাওয়া জনগণ এবং এমনকি যারা এটা পড়েছেন তারা এটা বুঝতে পারেননি??

আহমেদ আতিয়া আবোশশা উপসংহার টেনেছেন:

هذا الاستفتاء جرى فى جو ملئ بأكبر قدر من الشائعات والانقسامات ولم يكن هناك وقت لتنظيمه جيدا..والحقيقة كان من الأفضل تأجيله

@এডি _শশা: এই গণভোটটি অনুষ্ঠিত হয়েছে গুজব এবং বিভক্তিতে পরিপূর্ণ একটি পরিবেশের মধ্যে। এটা সঠিকভাবে সংগঠিত করার সময়ও ছিল না। বাস্তবে, এটা স্থগিত করা গেলে ভাল হতো

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .