- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

জাপানের নতুন কপিরাইট আইন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, জাপান, আইন, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, বাক স্বাধীনতা, যুবা, শিল্প ও সংস্কৃতি, সঙ্গীত

জাপানে ১লা অক্টোবর তারিখে সংশোধিত কপিরাইট আইন আংশিকভাবে কার্যকর হয়েছে [1] এবং এখন অবৈধ ডাউনলোড এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যে ডিভিডি খোলা শাস্তিযোগ্য। কেউ গ্রেপ্তার হলে তার ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা প্রায় ২১লক্ষ বাংলাদেশী টাকার সমপরিমাণ ২০লক্ষ ইয়েন জরিমানা হবে।

নতুন আইনটির প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে। ৬ই জুন তারিখে খসড়া করা বিলটির (খসড়া আইন) বিরুদ্ধে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আন্দোলন একটি বিবৃতি প্রদান করেছে [2] [জাপানী ভাষায়]।

  1. 摘発されるのは理解していない子どもたちです
  2. 適法・合法の区別をつけることができません
  3. 捜査権の乱用を招くおそれがあります
  4. 慎重な議論が必要です
  1. আইনটি বুঝার সুযোগ সীমিত এমন যুব সম্প্রদায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে
  2. বৈধ এবং অবৈধের সংজ্ঞাটি অস্পষ্ট এবং বিচার করা কঠিন
  3. এটি [পুলিশের] তদন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার উস্কে দিতে পারে
  4. এটি নিয়ে একদম স্বতস্ফূর্ত একটি আলোচনা দরকার

জরিমানার পরিবর্তন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং ভয় সৃষ্টি করেছে। টুইটারের একটি মন্তব্য [3] বর্ণনা করেছে তথ্য কিভাবে ভুল তথ্যে রূপান্তরিত হতে পারে:

Twitter伝言ゲーム難しすぎ。「違法ダウンロード刑罰化10/1より」→「著作権違法サイトの取締り」→「二次創作は著作権違法?」→「二次創作禁止令10/1より」→「10/1までに反対が10万人集まらなければコミケ・ニコニコ動画・pixivがなくなります!拡散希望!」←こうなった

এখানে দেখুন তথ্য কিভাবে রূপান্তরিত হয়েছে। “১লা অক্টোবর থেকে অবৈধ ডাউনলোডের জন্যে শাস্তি শুরু হয়েছে” –> “কপিরাইট লংঘনকারী বিভিন্ন ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে দমন অভিযান” -> “অমৌলিক কোন কাজ মানে কী কপিরাইট লংঘন?” –> “অমৌলিক কাজে নিষেধাজ্ঞা ১লা অক্টোবর থেকে শুরু” –> “পিটিশনে স্বাক্ষর করুন! ১লক্ষ স্বাক্ষর দরকার তা না হলে নিকোনিকো মুভি, পিক্সিভি ওয়েবসাইট এবং স্বাধীন বিতরণ বন্ধ করে দিতে হবে!” দেখুন কিভাবে (তথ্যটি) বেঠিক শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেছে।

কিছু কিছু টুইটার ব্যবহারকারী ভুল তথ্য সম্পর্কে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। ব্যবহারকারী @ফু _রাইউকি [4] সতর্ক করেছেন:

【拡散希望】「二次創作禁止令の法律が10月1日からに決まった」というツイートが拡散されていますが、正しくは「違法ダウンロード刑事罰化が10月1日から」です。 二 次 創 作 そ の も の を 禁 じ る も の で は あ り ま せ ん

আমি কিছু কিছু টুইটকে এরকম বলতে দেখেছি “আইনটি ১লা অক্টোবর থেকে অমৌলিক কাজেকে নিষিদ্ধ করেছে” কিন্তু সেটা ঠিক নয়। ১লা অক্টোবর থেকে অবৈধ ডাউনলোডের শাস্তি শুরু। এটা অমৌলিক কাজেকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে নয়।

আরেকজন ব্যবহারকারী [5]ও সতর্ক করেছেন:

「二次創作禁止令」という法律は存在しない。ただのデマ。 ただし、無許諾の二次創作は著作権法違反。親告罪なので、原作者からの黙認・削除依頼・告訴…といった形で折り合ってきた。 10/1違法DL刑罰化施行からは、音楽・動画の無許諾二次創作に限り、ダウンロードも刑罰対象(親告罪)。

“অমৌলিক কাজ বিরোধী আইন” বলে কোন কিছু নেই। এটা একটা মিথ্যা গুজব। তবে লেখকের অনুমতি ছাড়া অমৌলিক কাজ করা কপিরাইটের লংঘন। শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে এটি একটি অপরাধ হিসেবে বিচার্য, আর তাই লেখক যদি এটি উপেক্ষা করেন বা তা সরিয়ে নিতে বলেন তাহলে হয়তো তা একটি আদালতে আপিল হিসেবে পর্যবসিত হতে পারে। ১লা অক্টোবরের পরে লেখক অনুমতি ছাড়া আপনি অমৌলিক কাজ ডাউনলোড করলে নালিশের উপর ভিত্তি করে জরিমানা হতে পারে।

সংস্কৃতি বিষয়ক জাপানী এজেন্সী ২৪শে জুলাই তারিখে আইনটি সম্পর্কে বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী [6] [জাপানী ভাষায়] প্রকাশ করেছে। তবে এসব বিস্তারিত দিয়ে কপিরাইট বিষয়ে একটি সর্বসম্যক সংজ্ঞা এবং সার্বিক বোধগম্যতা নিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাদের জনসংযোগ দপ্তর পরিচালিত সরকারী সাইটও নতুন কপিরাইট আইনের বিস্তারিত প্রকাশ করেছে। তাদের পৃষ্ঠা [7]য় [জাপানী ভাষায়] তারা বর্ণনা করেছে যে আইনটির উদ্দেশ্য হলো অধিকারীর লাভ যেমন অর্থ পরিশোধিত-বিতরণ, সিডি ও ডিভিডি বিক্রয়লব্ধ উপার্জনের ক্ষতি করা থেকে পাইরেসিকে প্রতিরোধ।

একজন টুইটার ব্যবহারকারী [8] অবৈধ ডাউনলোডের জরিমানার আলোচনায় ফিরে গিয়েছেন, যখন তিনি আবিষ্কার করেছেন যে গ্রাহক প্রতি সিডির খরচে জাপান এক নম্বর; (তারা) বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ খরচ করছে:

つまり、ダウンロード刑事罰化の議論とはいったいなんだったのか、と。 .@biac_ac さんの「TV「世界番付」を見て、「CDを買う国」ランキングの1位が日本だと知った人の反応」をお気に入りにしました。 togetter.com/li/361017 [9]

আর তাই প্রাথমিকভাবে অবৈধ ডাউনলোডের জন্যে শাস্তি প্রবর্তনের উদ্দেশ্য কী? @বিয়াক_এসি এই সংযোগটি সেসব টুইটার ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়াগুলো সংকলিত করেছে যারা একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান অনূসারে আবিষ্কার করেছেন জাপান হল বিশ্বের বৃহত্তম সিডি ভোক্তা দেশ। togetter.com/li/361017 [9]

ছোট ছবিটি হাইকিআর্টিস্ট.কম [10] এর। সিসি বাই এনসি-এনডি ২.০