ইজরায়েল: “অ্যাশডোডকে যুদ্ধক্ষেত্রের মতো মনে হচ্ছে”

গত ১০ নভেম্বরে গাজার হামাস বিদ্রোহীরা অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল ছোঁড়ে। আর এই মিসাইল গিয়ে পড়ে গাজা-ইজরায়েল সীমান্তে পাহারারত ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর ওপর। এতে ৪ জন ইজরায়েলি সেনা আহত হয়। গাজায় বিমান আক্রমণের মধ্যে দিয়ে হামাসের মিসাইল হামলার বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক জবাব দেয় ইজরায়েল। হামাস ও তার সহযোগীরাও পাল্টা জবার দেয় রকেট ছুঁড়ে। তবে সমঝোতার পর গাজা থেকে রকেট আক্রমণ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ইজরায়েলি বাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত হন হামাসের সামরিক প্রধান আহমাদ আল জাবারি। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ গাজার বিদ্রোহীরা তুমুল রকেট আক্রমণ শুরু করে। এর একটা গোলা গিয়ে পড়ে দক্ষিণ ইজরায়েলের শহর কিরয়াত মালাচিতে। এতে একই পরিবারের তিনজন প্রাণ হারান। এর জবাবে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীও গাজায় আক্রমণ করে। সাধারণ নাগরিকসহ মারা যায় ১৩ জন, আহত হয় একশরও বেশি মানুষ।

দক্ষিণ ইজরায়েলের যেসব ইজরায়েলি বসবাস করেন, তারা সবসময়-ই রকেট হামলার মধ্যে আছেন। তারা রকেট হামলার মধ্যে তাদের দিনযাপনের অভিজ্ঞতার অনুভবগুলো অনলাইনে তুলে ধরেছেন।

দক্ষিণের শহর বীর শিভার বাসিন্দা হাগিট ইশা ফেসবুকে নিচের পোস্টটি দিয়েছেন:

בדרך להורים שלי לאסוף את הילדה, ארבעה טילים מעליי ומולי, אזעקה, הבזקי אור, שובלי עשן. פחד אלהים. אני צורחת לאבא שלי בטלפון שאני מתה הוא בטוח שמדבר עם בת 12 מרגיע אותי שהוא מחכה לי בחוץ וצהל מגן עליי ואני צורחת. עברו עוד כמה אזעקות מאז והגוף עדיין רועד. חיכיתי שיעשו לזה סוף אבל מלחמה זה מפחיד

আমি মা-বাবার কাছে যাচ্ছিলাম আমার মেয়েকে নিয়ে আসতে। এমন সময় চারটা মিসাইল এসে পড়লো। এর একটা পড়লো আমার একদম সামনেই। সতর্ক সংকেত, আলোর ঝলকানি আর ধোঁয়ায় ছেয়ে গেল চারপাশ। আমি ভয়ে কাঠ হয়ে গেলাম। ‘আমি মারা যাচ্ছি’ বাবা-কে ফোন করে বললাম এই কথা। সে সময়ে বাবা আমাকে বোঝাচ্ছিলেন যেন আমি ১২ বছরের এক শিশু। তিনি আমাকে শান্ত করে বললেন, তিনি আমার জন্য বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছেন। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী আমাকে সুরক্ষা দিচ্ছে। তারপরও আমি ভয়ে কুঁকড়ে ছিলাম। সতর্ক সংকেত বাজছিল আর এদিকে আমার শরীর তখনো কাঁপছিল। আমি তাদের রকেট হামলা বন্ধের আহবান জানাই। যুদ্ধ খুবই ভয়ংকর একটা ব্যাপার।

দক্ষিণ ইজরায়েলের আরেক বাসিন্দা গল যোহার যারুর ফেসবুকে পোস্ট করেছেন:

אנחנו במשפחה כבר מבוגרים, הצעיר בן 15, כל נושא האזעקות והטילים כבר לא מרגש אותנו, אזעקה פירושה לספור עד 15 ולקוות לטוב.
במוצאי שבת הייתי אצל חברה טובה כשהייתה אזעקת ‘צבע אדום’, במהלך האזעקה הם נכנסו לממ”ד, אני כבר רגיל לא לחפש אותו אבל נכנסתי איתם, שם ראיתי את האח הקטן שלה מחבק את אמא שלו בפחד, לרגע אחד שאלתי את עצמי למה הוא פוחד כל כך, למה הוא עוד לא התרגל.
ובשנייה שאחרי הבנתי שהאבסורד האמיתי הוא לא שהוא מפחד, אלא שאני התרגלתי.

আমাদের পরিবারের সবারই বয়স বেশি। সবচে কমবয়সী যে তারও বয়স পনের। মিসাইল আর সাইরেনের সতর্ক সংকেত আমাদের কাউকেই ভীত করেনি। সাইরেনের মানে পনের পর্যন্ত গুনতে থাকো আর ভালো থাকার আশা করো। শনিবার রাতে লাল রঙের সতর্ক সংকেত বন্ধের পর আমি আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাসায় ছিলাম। সতর্কতা জারির সময়ে তারা বোম্ব সেল্টারে (বোমা থেকে বাঁচার জন্যে আশ্রয়ে) ছিল। আমি অবশ্য এ সময়ে কোথাও যেতে অভ্যস্ত ছিলাম না। আমি দেখলাম তার ছোট ভাই ভয়ে তার মাকে জড়িয়ে ধরলো। তখন আমার নিজের কাছে মনে হলো, সে এত ভয় পাচ্ছে কেন, সে কি এটাতে এখনো অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি! পরে আমি বুঝতে পেরেছিলাম, অযৌক্তিক বাস্তবতায় সে ভীত হয় নাই। আমি অবশ্য এসবে অভ্যস্ত ছিলাম।

অ্যাশডোডের অধিবাসী এবং ডোভিশ মেরেটজ পার্টির সদস্য এমকে আইলান গিলিয়ন ফেসবুকে নিচের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন: আমার নাতনি নোয়া-কে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে [সেল্টারে] যাচ্ছি।

অ্যাশডোডের আরেক অধিবাসী ডানা নিচের দুটি পোস্ট টুইট করেছেন:

לפחות 5 נפילות בלי אזעקה, פיצוצים מכל עבר, אשדוד מרגישה כמו איזור מלחמה. עופרת יצוקה הייתה מסיבת כיתה לעומת עכשיו.
בת 3. מתולתלת, סמוקה ושמנמונת, יצאה לחדר מדרגות עם מטריה ורודה עם נקודות. אמא שלי שאלה אותה למה? והיא ענתה שזה ייגן עלינו. תמימות גנוזה.

সতর্কতা সংকেত বাজার আগেই পাঁচটা মিসাইল আঘাত হেনেছে। সবখানেই বিস্ফোরণ ঘটছে। অ্যাশডোড যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এর তুলনায় অপারেশন কাস্ট লিড পার্কে হেঁটে যাওয়ার মতো ব্যাপার ছিল।

কোঁকড়ানো চুল, গোলাপি গাল আর গোলগাল চেহারার তিন বছর বয়সী এক পিচ্চি গোলাপি রঙের ছাতা নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেল। আমার মা তাকে জিজ্ঞেস করলো, সে এটা কেন করছে। সে জানালো, এটা আমাদের রক্ষা করবে। কী সুপ্ত নির্ভারতা।

১৪ নভেম্বর ফেসবুকে নিচের ভিডিও তথ্যচিত্রটি দেয়া হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বীর শিভায় এলোপাথারি রকেট এসে পড়ছে। ভিডিওটি ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৭০০ বার শেয়ার হয়েছে।

বেশিরভাগ ইজরায়েলি, এমনকি যারা বোম্ব শেল্টারে রয়েছেন, তারা টুইট করে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকে আবার সরকারের সমালোচনা করেছেন।

দক্ষিণের শহর আশকিউলনের বাসিন্দা শির্লি কারাভানি এই ফেসবুক আপডেটটি লিখেছেন। এটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে:

שלום, אני תושבת הדרום, ולמרות מה שמנסים מתחכמים למיניהם בערוצי התקשורת, אני ממש, אבל ממש לא מוכנה לזה! גם רוב מי שסביבי אגב, בטח לא כל מי שגרים בשכונות הישנות יותר ואינם מוגנים כלל. כי גם לא היה להם 70,000 ש”ח לממ”ד. אז תפסיקו בבקשה להפוך אותנו לחוסן הלאומי שלכם בבקשה. אני בסך הכל רוצה לחיות בשלום, ולגדל את ביתי בנחת. אני בטוחה שכמוני יש אלפי אמהות בשני צידי הגדר, מאות אלפי אפילו. קורבנות של מנהיגים שלא מנסים למצוא פתרון אמיתי ורואים רק עד קצה הכסא שעליו הם רוצים לשבת.

সুধী, আমি দক্ষিণের বাসিন্দা। তা সত্ত্বেও বলছি, অনেক স্মার্ট গাধা মিডিয়াতে বলেছে, যার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আমার বেশিরভাগই প্রতিবেশী, বিশেষ করে আমার পুরানো প্রতিবেশী তারা নিরাপদ নয়। কারণ তারা বোম্ব সেল্টার তৈরি করতে পারেনি। বোম্ব সেল্টার তৈরির মতো ৭০,০০০ টাকা (ইজরায়েলি মুদ্রায়) তাদের নেই। দয়া করে তাই আমাদের ‘জাতীয়তাবাদী শক্তি’ দেখানো বন্ধ করেন। আমি শান্তিতে বসবাস করতে চাই। আমার মেয়েকে নিরুদ্রুপ পরিবেশে বড়ো করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, আমার আরো হাজার হাজার মা গাজা-ইজরাইল কাঁটাতারের বেড়ার দুই পাড়েই আছেন। আমরা এমন সব রাজনৈতিক নেতাদের শিকার যারা প্রকৃত সমাধান না খুঁজে ক্ষমতার দম্ভ দেখান।

গাজা-ইসরায়েলি সীমান্তের খুব নিকটে বসবাসকারী বার হেফেটজ লিখেছেন:

נגמרו לי המילים, לחשוב שהילדים שלי הם כלי משחק של ביבי וברק.
די כבר…….
3 דקות מחאן יונס

শব্দেরা আমাকে ছেড়ে গেছে। শুধু ভাবছি আমার ছেলে বিবি আর বারাক ব্যবহৃত হচ্ছে [যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী]। অনেক হয়েছে… খান ইউনুসের তিন মিনিট দূরত্বে।

তিনি পরে আরো যোগ করেন:

טוב בוקר כזה אני באמת לא זוכר, לא מפסיקים ליפול כאן פצמרים וקאסמים כולל אחד צמוד למרפאה….
אי אפשר לכוון כמה לרחוב עזה ולמגדל החדש של ברק….

আমি এরকম সকালের কথা স্মরণ করতে পারি না [এত বিস্ফোরণমুখর]। সমানে মর্টার এবং কাসামস এসে পড়ছে। এর কোনো কোনোটি ক্লিনিকের একদম কাছে এসে পড়ছে…

আমি চাই এর কিছু গাজা স্ট্রিট [যেখানে জেরুজালেমের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসা] এবং বারাকের নতুন ভবনে গিয়ে পড়ুক। [নতুন ভবন হলো তেল আবিবের সবচেয়ে উঁচু ব্যয়বহুল ভবন। এই ভবন নিয়ে সাধারণ মানুষের বেশ ক্ষোভ রয়েছে। তারা চায় এটা বিক্রি করে দিয়ে কম খরচের অ্যাপার্টমেন্ট কেনা হোক]…

সীমান্তের নিকটবর্তী কাফার আযার অধিবাসী এবং শিক্ষকতা পেশায় জড়িত মাইকেল ভেসার ফেসবুকে তার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটা পোস্ট দিয়েছেন:

אל תגנו עלי !
תודה רבה באמת. אם הגנה כזו לא זקוקים להתקפה…
אני יושבת בממ”די בקיבוץ כפר-עזה ומקשיבה להפצצות של מלחמת כל בכל.

אם ברצונכם להגן עלי – אז אנא מכם: אל תשלחו את צה”ל “לנצח”. תתחילו לחשוב לטווח ארוך ולא רק עד לבחירות הבאות. נסו לשאת ולתת עד שיצא עשן לבן. הושיטו יד למחמוד עבאס. תפסיקו עם “חיסולים ממוקדים”, תביטו לעיני האזרחים גם בצד השני.
אני יודעת שמרבית הציבור יאשים אותי בהתייפיפות נפש. אבל אני זו שיושבת כאן עכשיו כשפצמ”רים נופלים בחצרי, לא סער, לא ביבי וגם לא שלי ויאיר. אני זו שבחרה לגדל כאן את ילדיה

אז אל תעשו לי טובה ואל תהרגו אזרחים מעבר לגדר בשביל להגן על חיי. אם אתם מעוניינים להפסיק את פעולות האיבה מן העבר השני – תפתחו את האזניים ותתחילו להקשיב.
סכסוכים אלימים לא נפתרים באלימות נוספת.
שקט אינו מושג על ידי דיכוי האחר. להיפך, זה מתכון בטוח להמשך מעגל האימה.

আমাকে রক্ষা করার দরকার নেই!

তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ। এরকম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকতে কে আক্রমণ করতে যায়। আমি কাফার আযারের বোম্ব সেল্টারে বসে আছি। আর যুদ্ধের গোলাবর্ষণ শুনছি।

তোমরা যদি আমাকে রক্ষা করতে চাও- দয়া করে ইজরায়েলি সেনাদের ‘জয়ী’ হতে পাঠিয়োনা। কখন নির্বাচন আসবে সে সময়ে না করে দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করো। সমঝোতার চেষ্টা করো। মাহমুদ আব্বাসের দিকে হাত বাড়িয়ে দাও। বেছে বেছে নিশানা করে হত্যা করা বন্ধ করো। অন্য দিকের সাধারণ মানুষের কথাও ভাবো। আমি জানি, আমার এই রক্তাপ্লুত হৃদয় দেখে অনেকে আমাকে দোষী বানাবে। যদিও আমি এখনো বসে আছি আমার বাড়ির উঠানে, যুদ্ধের ময়দানে। সার [শিক্ষা মন্ত্রণালয়], বিবি, শেলী [লেবার পার্টির প্রধান যিনি ইজরায়েলি সেনাদের সমর্থন দিয়েছেন], ইয়াইর-এর [লাপিড- একজন টিভি তারকা থেকে রাজনীতিবিদ- সমস্যার সমাধানে তিনিও সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন] মতো নিরাপদে বসে নেই। আমি তাদেরই একজন যে এখানেই তার ছেলেমেয়েদের বড়ো করে তুলতে চায়।

তোমরা আমাকে এই আশ্বাস দাও, আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশের সাধারণ মানুষদের হত্যা করবে না। তোমরা যদি ওই পাশের আক্রমণ থামাতে চাও, তাহলে তোমাদের কান খাঁড়া করো, তারা কী বলে তা শোনা শুরু করো।

সহিংসতা কখনো সমাধান আনে না, বরং নতুন করে আরো সহিংসতার জন্ম দেয়।

অন্যদের দমনের মাধ্যমে কখনো শান্তি আসে না। বিরোধীদের ক্ষেত্রেও একই সত্য- দু:সহ দিনের পুনরাবৃত্তির এটাই রেসিপি।

অনেক বামপন্থী ইজরায়েলিরা এই সহিংসতার সাথে সামনের নির্বাচনের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৩ সালের জানুয়ারির ২২ তারিখে। নির্বাচনে জিততে ইজরায়েলি সরকারের মিলিটারি অপারেশনের রেকর্ড রয়েছে।

সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের দল নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না (২% ভোট)। ব্লু কলার নামের একটি বামপন্থী সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নিচের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে মন্তব্য করেছে, বারাক পালেস্টাইনিদের সাথে সংঘর্ষ বাধিয়ে নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চান।

এহুদ এখানে। গাজান মুড-এর নির্বাচনী ক্যাম্পেইন থেকে।

ইউয়ুভ আব্রামোভিচ সরস মন্তব্য করেছেন:

כאשר שר הבטחון אומר ש”ישראל תגיב בזמן ובמקום שהיא תמצא לנכון”, הוא מתכוון לסביבות חודשיים לפני הבחירות.

প্রতিরক্ষামন্ত্রী যখন বলেন, “ইজরায়েল তার পছন্দমতো সময়ে এবং স্থানে এর প্রতিক্রিয়া জানাবে”। তিনি এর মানে বুঝিয়েছেন, এটা নির্বাচনের দুই মাস আগে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .