কুয়েতে নির্বাচনী আইন পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশকে টিয়ার গ্যাস আর গ্রেনেড ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে। কারামাত ওয়াতান মার্চ (জাতীয় মর্যাদা রক্ষা সমাবেশ) নামের এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল রোববারে। টুইটারের মাধ্যমে সংগঠিত এই সমাবেশে দেশের তিন মিলিয়ন লোকের মধ্য থেকে ১৫০,০০০ জন অংশ নিয়েছিল। দেশটির মিডিয়া কুয়েতের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহত্তম সমাবেশ বলে মন্তব্য করেছে।
কুয়েতের আমীর শেখ সাবাহ আল আহাম্মদ আল সাবাহ নির্বাচনী আইন পরিবর্তন করে একটি আদেশ জারি করেন, এর প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আইন পরিবর্তনের ফলে একজন ভোটার চারজনের জায়গায় একজনকে ভোট দিতে পারবে। এবং এই পরিবর্তিত আইনটি কুয়েতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ব্যবহার করা হবে। সমাবেশটি শুধুমাত্র এই পরিবর্তনের জন্যই অনুষ্ঠিত হয়নি। সংসদের সম্মতি অথবা জনগণের মতামত ছাড়াই আইন পরিবর্তনের প্রতিবাদে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। গত জুনে আমীর কুয়েতের জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেন।
বিরোধীদল প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তবে কখনোই এ পরিমাণ গণজমায়েত করতে পারেনি। বিরোধী রক্ষণশীল ইসলামী দলের সাথে মতভিন্নতা থাকলেও উদারপন্থী ‘তাহালব’ প্যান অ্যারাবিস্ট ‘মানবার’ পার্টি রোববারে সমাবেশে অংশ নেয়।
এই সমাবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক হলো, এটি সংগঠিত হয়েছে টুইটারের মাধ্যমে। @কারামাতওয়াতান নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট এই প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। এটি কমলা অ্যাভাটারের পরামর্শ দেয় (২০০৬ সালে নির্বাচনী আইন ২৫টি জেলা থেকে ৫টি করার পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ইয়ুথ মুভমেন্টের রেফারেন্স হিসেবে) এবং নিচের ম্যাপের স্থানগুলোতে সমাবেশ সংগঠিত করে:
স্বাভাবিকভাবেই কুয়েতিরা প্রতিবাদ সমাবেশের ছবি এবং ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে। এখানে কিছু ছবি দেয়া হলো:
জনতা এক কাতারে বাঁধা। এটি ইউটিউবে পোস্ট করেছেন কিউ৮জো৭এ
দূর থেকে নেয়া জনতার সমাবেশ। এটি পোস্ট করেছেন জোজিফানতো
টিয়ার গ্যাসের আক্রমণ থেকে পালাচ্ছে জনতা। ব্লগার আলজিয়াদি এটি পোস্ট করেছেন:
সোমবার [অক্টোবর ২৩] সাবার অনলাইন পত্রিকা সংবাদ দেয় সব আটককারীদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে:
@Sabrnews: عاجل/ إطلاق سراح جميع معتقلي مسيرة “كرامة وطن
জরুরি: কারামাত ওয়াতান মার্চের সব আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।