রাশিয়া: জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুর্নীতি সনাক্তকরণে ব্রাইবর মোবাইল প্রযুক্তি

ব্রাইবর [রুশ; প্রযুক্তি কেন্দ্র, ফেসবুক] আইফোন/আইপডের নতুন চালুকৃত এমন প্রযুক্তি (অ্যাপ) যা রাশিয়ায় যে কাউকে প্রদানকৃত ঘুষের পরিমাণ ও স্থান সনাক্ত করণে সহায়তা করে। পরবর্তীতে, গ্রহণকৃত ঘুষের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রদান করা সম্ভব হয়।

ব্রাইবর ইস্তেহার অনুসারে,

[…] ডাক্তার, সেনাবাহিনী, শুল্ক বিভাগ – কিছু ক্ষেত্রে নিম্ন বেতনভুক কর্মী তাদের কাজের জন্য ঘুষ প্রদান করতে হয়, অন্য ক্ষেত্রে আইনগুলি এমনভাবে লিখিত যে তাদের লঙ্ঘন করা অসম্ভব […]।  কখনো কখনো আমরা নিজেরাই ঘুষের প্রস্তাব দেই, কখনো জোরপূর্বক আমাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় – কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহণ ও প্রদান করা হয় কারণ তা কর্ম সংস্কৃতির অংশ হয়েছে।

ব্রাইবর এর ফেসবুকের প্রচ্ছদ, যা ঘুষের জন্য উপযুক্ত রাশিয়ান মুদ্রা প্রদর্শন করছে: নকল শূন্য রুবল।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রকাশিত ২০১১ সালে, দুর্নীতির সূচকে ১৮৩টি দেশের মধ্যে রাশিয়া অবস্থান ছিল ১৪৩

ব্রাইবর ওয়েবসাইট [রাশিয়ান] মিটার সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১২ তারিখে ঘুষের জন্য ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ ১,৭৯৫, ২৯৫ রুবল (৫৮,০০০ ডলার) প্রদর্শন করছে। ওয়েবসাইটের আরও একটি মানচিত্র ও পরিসংখ্যান আছে- ”কে” এবং ”কিসের জন্য” রাশিয়ানরা ঘুষ দিচ্ছে (পূর্বেরটিতে রয়েছে ১৪টি অন্তর্ভুক্তি এবং আদালত ও ট্রাফিক পুলিশ তালিকার শীর্ষে রয়েছে)।

ব্রাইবর ইস্তেহার প্রকল্পটিকে অরাজনৈতিক হিসাবে বর্ণনা করেছে:

[…] ব্রাইবরের লক্ষ্য হচ্ছে সংখ্যা প্রদর্শন করা। মতামত ও সিদ্ধান্ত আমাদের উদ্দেশ্য নয়।

ব্রাইবর দলের সদস্যরা, তদুপরি, বিশ্বাস করে জ্ঞান ও সামাজিক দায়িত্ববোধ ইতিবাচক পরিবর্তনের চাবিকাঠি এবং এরই ধারাবাহিকতায় রাশিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী প্রতিবাদ (গ্লোবাল ভয়েসেসের প্রতিবেদন এখানে এবং এখানে) সম্পর্কে ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে:

[…] রাশিয়ায় ঘুষ একটি সাধারণ বিষয় তা সকলেই অবগত। কিন্ত্ত প্রত্যেকেই আরও অবগত যে নির্বাচনের সময় কোন জাল ভোটের ঘটনা ঘটে না – এবং ডিসেম্বর ৪ তারিখে পর্যবেক্ষকরা যখন বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ভোট চুরি প্রদর্শন করল, জনগণ তখন রাস্তায় নেমেছিল। অবগত হওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে প্রত্যেকেই ঘুষ দেয় এবং রুবলিওভস্কোয়ি সুসে এলাকায় [আকা রুবলিওভকা, মস্কোর বিত্তশালী আবাসিক এলাকা] দ্বিতীয় বিশেষ রেজিমেন্ট [ট্রাফিক পুলিশের] কি পরিমাণ গ্রহণ করে [ঘুষ] তা জানা প্রয়োজন। […]

সেখানে ব্রাইবর একমাত্র গণ উৎস মঞ্চ নয় যা ঘুষ ও দূর্নীতি অনুসন্ধান করে।

এটির সোভিয়েত উত্তর-সুপ্ত উত্তরসূরী -vzyatka.crowdmap.com[রাশিয়ান] – যা NewReporter.org/ইন্টারনিউজ [রাশিয়ান] কর্তৃক মার্চ, ২০১১ সালে চালু করা হয় এবং শুধুমাত্র দুই মাস চালু অবস্থায় ছিল এবং এটিতে ২০টির বেশী প্রতিবেদন ছিল না।

ভারতে, আমি ঘুষ দিয়েছি হচ্ছে একটি গণ উৎস উদ্যোগ, যা আগস্ট ২০১০ সালে চালু হয়েছিল যা ”জনগণকে [উৎসাহিত করা] দাপ্তরিক ক্ষমতা অপব্যবহারের কারণে অর্থ প্রদানে বিরত করা এবং তাদের ঘুষের কাহিনী প্রকাশ করা যা থেকে দুর্নীতির বাজার মূল্য উন্মোচিত হয়” (গ্লোবাল ভয়েসেস প্রতিবেদন এখানে)।

ভারতীয় সহযোগীদের মাধ্যমে ও মডেল অনুসারে মে, ২০১২ সালে কেনিয়ার দুর্নীতি বিরোধী কর্মীরা তাদের নিজস্ব আমি ঘুষ দিয়েছি প্রকল্প চালু করেছে (গ্লোবাল ভয়েজ প্রতিবেদন এখানে)।

এবং জুলাই, ২০১২ সালে, কলাম্বিয়াতে মনিটর ডি করাপশন [স্প্যানিশ ভাষায়] (”দুর্নীতি পর্যবেক্ষণ”) চালু করা হয়; আইজেনেট অনুসারে, এটি “দুই স্তর বিশিষ্ট প্রতিবেদন পদ্ধতি ব্যবহার করে যা সাংবাদিক ও নাগরিক উভয়ের জন্য তাদের গোষ্ঠী, শহরে এবং বৃহত্তর ক্ষেত্রে, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের দুর্নীতি বিষয়ক প্রতিবেদন প্রদানের উপযোগী[…]”

মাইকেল ইডভ, জিকিউ রাশিয়ার প্রধান সম্পাদক, তার ফেসবুক পেজে রাশিয়ান ব্রাইবর প্রকল্প সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন:

[…] এটি কার্যকরী হলে, রাশিয়ান দুর্নীতির প্রকৃত উইকি-চিত্রের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বিশ্ব দেখতে পারবে।[…]

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .