- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

তুর্কী: সিরিয়ার সাথে যুদ্ধের বিপক্ষে ইস্তাম্বুলে হাজারো জনতার প্রতিবাদ

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., তুরস্ক, নাগরিক মাধ্যম, মানবাধিকার, রাজনীতি

সিরিয়ার সরকারী বাহিনী কর্তৃক পাঁচজন বেসামরিক তুর্কী নাগরিককে হত্যার [1] জবাবে তুর্কী সামরিক বাহিনী সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে [2]। প্রধানমন্ত্রী তাইপ এরডোগানের কার্যালয় থেকে এই হামলার পর পরই একটি বিবৃতি [3] প্রচার করা হয়, এই বলে যে:

সীমান্ত এলাকায় আমাদের সামরিক বাহিনী যুদ্ধের নিয়মানুযায়ী তৎক্ষণাৎ ঐ ন্যাকারজনক হামলার জবাব দিয়েছে; লক্ষ্য ছিল রাডারের মাধ্যমে সনাক্ত করা সিরিয়ার ঐ স্থানগুলোতে মেশিনগানের দ্বারা হামলা চালানো।

তুর্কী আইনসভায় একটি বৎসরব্যাপী আলোচিত আদেশ [4] পাস হয় সীমান্ত পার করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করে। ৫৫০টি আসন বিশিষ্ট তুর্কী আইনসভায় ৩২০টি ভোটে এই প্রস্তাবনাটি পাশ হয়।

তুর্কী উপপ্রধানমন্ত্রী একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে, সিরিয়ায় সেনাবাহিনীর ব্যবহারের এই আনুষ্ঠানিক আদেশ একটি যুদ্ধের ঘোষণার সমান নয়, প্রতিরোধ ব্যবস্থা মাত্র। তুর্কী প্রধানমন্ত্রী একটি বিবৃতিতে [5] এ কথা সমর্থন করে বলেন:

আমরা সবাই এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা চাই। আমাদের যুদ্ধ শুরু করার কোন ইচ্ছে নেই। আমরা আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের ফলাফল ও পরিণতি সম্বন্ধে সচেতন… আমরা সিরিয়াতেও একই ব্যপার দেখতে পাচ্ছি।

সিরিয়ার রাষ্ট্র চালিত সংবাদ সংস্থা (এসএএনএ [6]) এই বলে একটি তৎক্ষণাৎ বিবৃতি প্রকাশ করে যে, সিরিয়ান কর্তৃপক্ষ মৃতব্যক্তিদের পরিবারগুলোর এবং তুর্কী জনগন্দের প্রতি আন্তরিকভাবে শোকপ্রকাশ করছে।

৫০০০ এর অধিক বিক্ষোভকারী সিরিয়ার সাথে সম্ভাব্য যুদ্ধের বিরোধিতা করে ইস্তাম্বুলের রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন [7]। বৃহস্পতিবার রাতে, একে পার্টির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছিল,

একেপি চায় যুদ্ধ, জনগণ চায় শান্তি। যুদ্ধ নয়, এই মুহুর্তে শান্তি চাই।

চেরিন অ্যাতাল্লা বিক্ষোভ থেকে এই ছবিটি [8] টুইট করেছেন, যেখানে পড়া যাচ্ছে “সিরিয়ায় নাক গলাবে না”:

[8]

ইস্তাম্বুলে যুদ্ধ বিরোধী বিক্ষোভে একটি প্রতীকী চিহ্ন যেখানে বোঝা যাচ্ছে সিরিয়ায় নাক গলাবে না, @চেরিন_৮৯ প্রকাশ করেছেন, অনুমতি সাপেক্ষে পুন:প্রকাশ করা হল।

তুরস্কে বিক্ষোভে স্যাভাসা হায়ির [9] শ্লোগানটি যার অর্থ “যুদ্ধে নয়”, বৃহস্পতিবার সকালে টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে শীর্ষ চলতি বিষয় ছিল। সীমান্তে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর বিশেষ কার্যক্রমে আদেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো এই বিষয়টিকে ঘিরে বিভক্ত হয়ে যায়, সমাজ ও রাজনৈতিক সচেতন, বিশেষজ্ঞ এবং বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ থেকে মতপ্রকাশ করা হয় বিমান থেকে প্রচণ্ড বোম্বিং করা হবে।

তুরস্ক থেকে হুলিয়া অ্যাতাগ্লু টুইট করেছেন:

@ক্রেমেলিন: [10] #স্যাভাসাহায়ির #যুদ্ধ নয় যুদ্ধ নয়, এখন নয়, কক্ষনো নয়।

অজগর গুরবুজ ইস্তাম্বুল থেকে বলেন:

@অজগরবাজ [11]: শান্তিই একমাত্র রাস্তা #যুদ্ধ নয় #ইস্তাম্বুল থেকে স্যাভাসাহায়ির। এখানে থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Thousands protest against war on Syria in Istanbul [12]

হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সিরিয়ার ইস্তাম্বুলে যুদ্ধ বিরোধী স্লোগান দেন। ছবিটি @জাপিকা টুইটারে প্রকাশ করেছেন।

এবং স্যারপার এরে [12] সিরিয়ার সাথে যুদ্ধ বিরোধী বিক্ষোভের স্থান থেকে উপরের একটি ছবি টুইট করেছেন, মন্তব্য করে যে, “দেশে শান্তি চাই, সাড়া বিশ্বে শান্তি চাই”।