জাপানের “নো নিউক”[“পারমানবিক বোমাকে না”] বিক্ষোভকারীরা টোকিওতে প্রতি শুক্রবার তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে একত্রিত হয়। আওয়ার প্ল্যানেট টিভি নামের একটি অনলাইন টেলিভিশনের প্রধান ও ভিডিও সাংবাদিক হাজিমি শিরাইশি গত ৬ ই জুলাই, ২০১২ লক্ষ্য করেন যে, ডায়েট প্রেস হলের ছাদের উপর থেকে রাস্তা জুড়ে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের একটি সম্পূর্ণ দৃশ্য পাওয়া সম্ভব। যাহোক, তাকে সেখানে কোন ভিডিও ধারণ করতে দেওয়া হয়নি। কারণ তিনি সরকারী প্রেস ক্লাবের সদস্য নন ।
শিরাশি একজন সুপরিচিত সাংবাদিক যিনি রেডিও এবং টেলিভিশনের জাপানিজ মহিলা সংঘ এবং জাপান কংগ্রেস অব জার্নালিস্ট থেকে বিভিন্ন পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। আওয়ার প্ল্যানেট টিভির জন্য তিনি নাগরিকদের ঐতিহাসিক বিক্ষোভে অংশগ্রহণের চলমান দৃশ্যগুলোকে ধারণ করা খুবই জরুরী মনে করেন, এবং ছাদে যাওয়ার প্রবেশাধিকার পেতে আদালতের কাছে আবেদন করেন। টোকিও উচ্চ আদালত ২৭ শে জুলাই তাঁর অনুরোধ নাকচ করে দেয় এবং আওয়ার প্ল্যানেট টিভি পুনরায় প্রেস হল ব্যবস্থাপনা পরিষদের কাছে এর জন্য আবেদন করে।
ইউস্ট্রিমে আওয়ার প্ল্যানেট টিভির এই ভিডিওটি ৬ জুলাই শিরাশির ডায়েট প্রেস হলের ছাদে পৌঁছানোর জন্য প্রচেষ্টা দেখাচ্ছে।
ইউস্ট্রিম থেকে ভিডিও প্রবাহ
একদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস ক্লাব ডায়েট প্রেস হল ব্যবহারে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে, অন্যদিকে এটি আবার অনলাইন বার্তা মাধ্যম ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেয়।
অনেক নাগরিকই প্রেস ক্লাবের সাথে মূলধারার বার্তা সংস্থাগুলোর সংযুক্ত হওয়ার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে, তারা মনে করছে যে “নো নিউক”[“পারমানবিক বোমাকে না”] বিক্ষোভের সম্পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরা হয়নি।
ঐতিহাসিক ডায়েট প্রেস ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১২০ বছর আগে। যাহোক শিরাইশি মনে করেন, ইন্টারনেট ভিত্তিক মাধ্যম এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ব্যতীত মুক্ত প্রতিযোগিতা বিঘ্নিত হয় । তিনি দাবি জানিয়েছেন, “জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রায়ত্ত দালানটিকে নিরপেক্ষভাবে ব্যবহার করতে হবে।”
এই পোস্টটি ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সে প্রকাশিত আওয়ারপ্ল্যানেট টিভির [জাপানীজ] একটি পোস্টের ভাষান্তরিত সারাংশ।