২ অক্টোবর,২০১২, আন্তর্জাতিক অহিংস দিবসে কুয়েতের রাষ্ট্রহীন সম্প্রদায় তাঁদের নাগরিকত্বের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফেব্রুয়ারি, ২০১১ থেকে বিভিন্ন সময়ে সম্প্রদায়টি আন্দোলন চালিয়ে আসছিলো। গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ২০০ জনেরও বেশী স্বঘোষিত ‘উপসাগরীয় গণতন্ত্র’ পন্থীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের বিচারের আওতায় আনা হয়। পরবর্তীতে বিচারে তারা খালাস পায়।
মঙ্গলবারের এ বিক্ষোভ ছিল একটু ভিন্ন ধাঁচের। কারণ এই বিক্ষোভ প্রায় তিন হাজারের বেশী বিক্ষোভকারী, বিদেশী গণমাধ্যম এবং অনেক এনজিও’র মনযোগ আকৃষ্ট করে।
গত সপ্তাহগুলোতে বিক্ষোভকারীরা সংখ্যায় ছিল কম, ৩০ লক্ষ জনসংখ্যা অধ্যুষিত কুয়েতে এই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত লোক প্রায় ১,২০,০০০। বেদুঈনরা জানায়, এসব ক্ষেত্রে কুয়েতিদের মতো তাদের কোন অফিসিয়াল কাগজপত্র, যেমন পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র নেই।
বেদুঈন অধিকার এর খবর অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনী রাবার বুলেট, ধোঁয়া বোমা, কাঁদুনে গ্যাস, শব্দ বোমা এবং প্রথমবারের মতো শটগান ব্যবহার করে। নিশ্চিত সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যায়, আব্দুলাতিফ আল-নাভান নামে একজনের চোখে গুলি লেগেছে এবং এই মুহূর্তে তার চোখ সেরে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। বেদুঈন ও কুয়েতি নেট নাগরিকদের অনলাইনে পোস্ট করা বিভিন্ন ছবি এখানে দেওয়া হলঃ
এই ভিডিওটিতে (পোস্ট ৭এমজিএএন) বেদুঈন আন্দোলনের ১৫ মিনিটের একটি ফুটেজ রয়েছেঃ
সমালোচনার মুখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার রাতের ঘটনার জন্য বেদুঈনদের নিম্নোক্তভাবে দোষারোপ করে নিচের বিবৃতিটি প্রদান করেঃ
১- কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির কাজে সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা ২- দেশের সংকটময় অবস্থার অপব্যবহার করে সমস্যা সৃষ্টি ৩- দাঙ্গা, সহিংসতা ও অনৈতিক দাবিতে বিক্ষোভ করা ৪- বর্বরতা, সড়ক অবরোধ ও রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তিগত সম্পদে অগ্নিসংযোগ ৫- নাগরিকের জীবন ঝুঁকি পূর্ণ করে তোলা ৬- নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলা এবং ৭-এ্যাম্বুলেন্সে হামলা ও তাদের এবং নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর পাথর নিক্ষেপ।