
তেহরানের বাজারে ধর্মঘট, সূত্রঃ সবুজ শহর
একটি ইরান-ভিত্তিক ওয়েবসাইট, বাযতাব রিপোর্ট করেছে যে, ৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বুধবার, জাতীয় মুদ্রার দর মুক্তভাবে পতনের প্রতিবাদে দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা তেহরানের বাজারে ধর্মঘট পালন করেছে । বরাবরের মতো মঙ্গলবারও মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের দর আরো এক দফা পতন হয়, এক ডলারের বিপরীতে এখন তা প্রায় ৩৪,০০০ রিয়াল। বাযতাবের তথ্য অনুযায়ী, ইরান সরকার বিনিময় হার ঘোষণা করা মাযানের মত ওয়েবসাইটগুলো পরিস্রুতের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার দর বৃদ্ধি ঠেকাতে চেষ্টা করেছে।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ৩ রা অক্টোবর রিপোর্টারদের বলেছেন, ইরানি তেল আমদানীতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার “সাময়িক সমস্যার” ফলাফল হচ্ছে এই আকস্মিক দর পতন।
আবারও রাজপথে প্রতিবাদ
ইউটিউবের এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, “তেহরানের বাজারে দোকানদাররা ধর্মঘট করছে”:
http://www.youtube.com/watch?v=A8mKduE_K0I&feature=player_detailpage
এখানে তেহরানে প্রতিবাদকারীদের ভিড় দেখা যাচ্ছেঃ
http://www.youtube.com/watch?v=MDFjyg1KXpw&feature=player_embedded
ইরানি ব্লগার সেদাইয়াজাদ লিখেছেন যে ইরান থেকে আসা খবর অনুযায়ী, লোকজন তেহরানের তুপখানেশ স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলো এবং অনেক দোকানের কাচ ভাংচুর করে ।
বায়ানদিনদিশে লিখেছেন যে, তেহরানের ইস্তাম্বুল স্কয়ারে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ হয় এবং এর ফলে তারা তেহরানের কেন্দ্রস্থল ফেরদৌসী স্কয়ারের দিকে অগ্রসর হয়। ঐ সময় বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছিল “সিরিয়া নিপাত যাক!”।
বেশীরভাগ ইরানি মনে করে যখন তাদের নিজেদের দেশেই অর্থ সংকট চলছে তখন এই মুহূর্তে সিরিয়া সরকারককে অর্থনৈতিক সহযোগীতা দেওয়া ইরান সরকারের ঠিক হয়নি, আর এই ব্যাপারটিই এই স্লোগান দিতে জনগণকে উৎসাহ দিয়েছে। এটা ইরানি সরকারের সমালোচনা করার একটি পরোক্ষ উপায়ও হতে পারে কেননা তারা মতবিরোধ সহ্য করে না।
এক্সক্যালিবার বলেছেন যে, তার পরিবারের সদস্যরা যারা বাজারে কাজ করেন তারা তাকে ধর্মঘটের খবর দিয়েছিলো এবং বলেছিলো যে জনগণ সমস্বরে স্লোগান দিচ্ছে। সে পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী এতে হস্তক্ষেপ করেনি।