আলোকচিত্রী রেবেকা বিরো (সুইডেন/স্পেন) এবং ভিক্টোরিয়া মন্তেরো (আর্জেন্টিনা) দুজনে মিলে ‘গুয়েরিলারস’ নামক একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন এবং সালভাদরান গৃহযুদ্ধে (১৯৮০-১৯৯২) গুয়েরিলায়ায় অবস্থানকারী এক মহিলার অভিজ্ঞতার উপর একটি আলোকচিত্রের কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। এল সালভাদরে অবস্থানকালে কার্যক্রমটি শেষ করতে প্রয়োজনীয় খরচ সংগ্রহের জন্য বিরো এবং মন্তেরো অনলাইনে তহবিল গঠনকারী ওয়েবসাইট ভারকামি ব্যবহার করেছেন।
ভারকামিতে প্রামাণ্যচিত্রের জন্য তারা তাদের লক্ষ্য বর্ণনা করেছেনঃ
আমরা কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিঃ যুদ্ধে মহিলাদের অভিজ্ঞতা কি? গুয়েরিলাতে তাদের ভূমিকা কি ছিল? তারা কিভাবে প্রতিকূল অবস্থায় বেঁচে ছিল? এবং পরিবারকে রক্ষা করেছে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা কিভাবে আলাদা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে? এর ফলাফলই বা কি ছিল? এবং কিভাবে তার আজ অব্দি তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে?
ঐতিহাসিক স্মৃতি সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে গুয়েরিলা একটি মাধ্যম, এল সালভাদরে সাম্প্রতিক সশস্ত্র দ্বন্দ্ব সম্পর্কে জানার এবং বোঝার জন্য একটি উপায়। গৃহযুদ্ধের মধ্যে প্রতিফলিত মহিলাদের পরিচয় পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি উপকরণ। অতীতের একটি নমুনা যা সর্বদা উপস্থিত এবং প্রধান চরিত্র দ্বারা যেন বিস্মৃত না হয় তার অনুরোধ।
২০১১ সালে এল সালভাদরে ভ্রমণের সময়কে বিরো এবং মন্তেরো ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে, তারা পৃথিবীর সেরা সৈকত অথবা উচ্চতম পর্বত আবিষ্কার করে নি কিন্তু তারা অনেক সালভাদারবাসীদের দেখা পেয়েছেন যারা তাদের অন্তরে গেঁথে রয়েছেন:
আমরা অনেক যুদ্ধাহতদের দেখা পেয়েছি। তারা তাদের কষ্টের গল্পগুলো বলেছে, বিশেষ করে, গণমাধ্যম তাদের ব্যাপারে কতটা উদাসীন ছিল, আমাদের কাজের প্রেরণা অন্বেষণ করা যা মহিলা পরিচয়ের উপর জোর দেয়, মানবাধিকার রক্ষার এবং স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের স্মৃতি পুনরুদ্ধার করা।
তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে আরও পড়ুন ভারকামি ওয়েবসাইটে এবং ফেসবুকে ‘গুয়েরিলারস’ অনুসরণ করুন।