ইরান: রাষ্ট্রপতি আহমাদিনেজাদের সমর্থকেরা বিপাকে

হাভার, সূত্র ফেসবুক.কম/ হাভারফরজাস্টিস

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে জাতিসংঘের অধিবেশনে যে সময় ইরানের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ উচ্চারণ করেন যে নতুন বিশ্বের জন্য তার এক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যেখানে ‘ঔদ্ধত্যের প্রভাব’ অনুপস্থিত থাকবে, ঠিক সে সময় ইরানে তার প্রচার মাধ্যম উপদেষ্টা আলি আকবর জাভানফেকর গ্রেফতার হয়েছেন এবং নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারস্ত নিগৃহীত হয়েছেন।

আলি আকবর জাভানফেকর। সূত্রঃ শাহামনিউজ


নভেম্বর ২০১১ এ, ইরানের এক আদালত, ইসলামিক প্রথা বিরোধী প্রবন্ধ প্রকাশের দায়ে জাভানফেকরকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং একই সাথে তিন বছরের জন্য সাংবাদিকতা পেশায় তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। তিনি সরকারী ম্যাগাজিন ইরনার প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে আয়াতোল্লাহ আলি খোমনিকে অপমান করাও রয়েছে, রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে যার বক্তব্য চূড়ান্ত। জাভানফেকর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন এবং সেই থেকে চাপের মধ্যে রয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী তার অফিসেও হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
জাভানফেকর ব্লগও লিখতেন এবং ইরানের রাজনৈতিক শত্রুতার বিষয়ে মন্তব্য করতেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে তিনি নিজের সমস্য নিয়ে নিজের ব্লগ শাহেদে লিখেছিলেন:

…নাগরিকরা তাদেরকে প্রশ্ন করছে, এটা কি ভাবে সম্ভব যে জাফানফেকর, যার নামে কিনা বিচার বিভাগে এতদিন কোন মামলা ছিল না [ আদালতে কোন মামলা ছিল না] , এখন কেন আদালতে তার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা, বিশেষ করে যখন থেকে সে ইরানের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে নিযোগ প্রাপ্ত হল?

নিউইয়র্ক, আহমাদিনেজাদের সমর্থকের জন্যও নিরাপদ নয়।

এদিকে বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র একদল বিক্ষোভকারীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন। নিউ ইয়র্কের পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষায় তাকে ঘিরে রাখে। সে সময় বিক্ষোভকারীরা তাকে আঘাত করে এবং মুখে থু থু নিক্ষেপ করে।

http://www.youtube.com/watch?v=ew1voX0wnew

এবং এখানে আরেকটি ভিডিও রয়েছে।

ইরানের একটি লিঙ্ক শেয়ার করা সাইট বালাতারিয়ানে, ব্যবহারকারীরা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি ছবির লিঙ্ক প্রদান করেছে, সেখানে লেখা আছে, ‘মেহমানপরাস্ত-এর চোখে যে ভীতি ফুটে উঠেছে, তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন’।

দারজারেহবিন লিখেছেন, কারো মুখে থুথু নিক্ষেপ করা অথবা আঘাত করা মানে তাকে অসম্মান করা, এমন কি যদি সে মেহমানপরাস্ত-এর মত নাগরিকও হয়ে থাকে।

ব্লগার ফারভারতিশ রেজভানিয়েহ লিখেছেন [ফার্সী ভাষায়]:

…যে দলটি মেহমানপরাস্তের উপর হামলা চালিয়েছিল তারা মুজাহিদিন অফ পিপলসের সমর্থক, যারা নিজেদেরকে নিউইয়র্ক ভিত্তিক ক্ষুব্ধ ইরানী হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।

বিক্ষোভ প্রদর্শন

সাম্প্রতিক সময়গুলোতে,নিউ ইয়র্কে বাস করা ইরানও নাগরিকরা মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এবং ইরানের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।

হাভার হচ্ছে যুদ্ধ, অবরোধ এবং সরকারের দমনের বিরুদ্ধে ইরানের একটি উদ্যোগ, যারা নিউইয়র্কে এক বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। হাভার, ম্যানহাটন-এর দেওয়াল ‘দখলের’ (অকুপাই) জন্য সেখানে উজ্জ্বল আলো প্রক্ষেপণ করেছে এবং রাজনৈতিক বন্দীদের ছবি প্রদর্শন করেছে। (উপরে)

এদিকে মুজাহিদিন অফ পিপলস নিউইয়র্কে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .