ইরানঃ ইসলাম বিরোধী চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ

Demonstration by Swiss embassy in Tehran

তেহরানে সুইস দূতাবাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। সূত্রঃ ইরনা

গত ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ শুক্রবার, ইসলামী প্রজাতন্ত্র সংবাদ সংস্থা রিপোর্ট করেছে যে, “আজ শুক্রবার নামাযের পর দেশ জুড়ে সমস্ত ইরানিরা নবী মোহাম্মদ (সঃ) কে অপমান করা চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছে” । স্বাভাবিকভাবেই, তারা আমেরিকান এবং ইসরায়েলি পতাকা পুড়িয়েছে।

এদিকে ইরানের সর্বোচচ নেতা, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী বৃহস্পতিবার, মধ্য প্রাচ্য আর উত্তর আফ্রিকায় সহিংস বিক্ষোভ ছড়ানোর জন্য দায়ী “মুসলিম ইনোসেন্স” নামের ইসলাম বিরোধী চলচ্চিত্রটির পিছনে যারা আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের শাস্তির দাবি করেন।

তেহরানের সুইস দূতাবাসের সামনে ছিল প্রতিবাদের প্রধান অবস্থান। সুইস সরকার ১৯৮০ সালের ২১ শে মে মাস থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইরানে তাদের দূতাবাস পরিচালনা করে আসছে। (উপরে ছবি)

ইরানি ব্লগাররা চলচ্চিত্র এবং বিক্ষোভের ব্যাপারে তাদের বিভিন্ন ধারনা ভাগ করেছেন।

নীরবতা নয় 

নিয়ারেঘ চলচ্চিত্রটির নিন্দা [ফার্সি] করে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে মুসলিম বিশ্বের কাছে ক্ষমা তার চাইতে এবং চলচ্চিত্রটি বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ব্লগার মুসলিম বিশ্বকে চলচ্চিত্রটির নিন্দা করতে এবং চুপ না থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্লগার বলেছেন, আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যখন কেউ কেউ মানবাধিকারের স্লোগান তুলে নিজেদের বিশ্ব শাসনকারী বলে দাবি করে, কিন্তু তারা ধর্মীয় মান উপেক্ষা করে এবং অন্যদের অপমান করে।

আপনি কি চলচ্চিত্রটি দেখেবেন?

সাইদ শাহবানি লিখেছেন [ফারসি]:

বাসিজি বোনেরা [ইসলামী সেনাদল] তেহরানের সুইস দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা নিম্ন লিখিত স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড বহন করেছেনঃ যদি খামেনি জিহাদের আদেশ দেন, তবে বিশ্বের সেনাবাহিনী আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে না। আমি জানতে চাই “বিশ্বের সেনাবাহিনী” বলতে তারা কি বুঝিয়েছে।

বারফায়ে কহে দেনা জানতে চেয়েছে [ফারসি]:

ইতিহাস কি নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে এবং বারাক ওবামা জিমি কার্টারের পথ অনুসরণ করবে? [মার্কিন ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্টকে নির্দেশ করা হয়েছে যিনি  ১৯৮০ সালে একটি নির্বাচনে রোনাল্ড রিগানের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন] … এই পোস্টে আমি চরম ইসলামপন্থীদের বলতে চাই, যদি মুসলিমদের অপমান করা খারাপ হয়, তবে অন্য ধর্মকে অপমান করা কিভাবে ভালো হয়?

আরমান জিজ্ঞেস করেছেনঃ

বিক্ষোভকারীরা, তোমরা কি চলচ্চিত্রটি দেখেছ? আমি যদি কোন একজন বিক্ষোভকারীকে জিজ্ঞেস করি, তবে কেউ এর উত্তর দিতে পারবে না। হাজার হাজার ইরানি দূষণের কারনে মারা যায়, এবং অনেকে রাস্তায়, কারণ তাদের গাড়ি প্রয়োজনীয় মান পূরণ করে না এবং সরকার এসবের উন্নয়নে কিছুই করতে পারে না – এমনকি তোমরাও কিছু বলতে পারবে না।

আবর্জনা কিন্তু…

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লিখেছেনঃ

আমি মুহাম্মদ সম্পর্কে সাম্প্রতিকতম চলচ্চিত্রটি অরুচিকর, ঘৃণ্য এবং বিশুদ্ধ আবর্জনায় ভরপুর পেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি সেখানের কারুরই মুসলমান, মুহাম্মাদ এবং অন্যান্য ইসলামী লক্ষণীয় বস্তুসমূহের মজা করে সিনেমা তৈরী করা উচিত নয় … নরক, আপনি যখন এটা করেন তখন মূসা, ঈসা এবং অন্যান্য সব নবীকেই মজা করা হয়। এগুলো সব ঘৃণ্য কিন্তু এটা উগ্র কর্ম, হিংসাত্মক হুমকি দেওয়া বা ভয় কারবারির জন্য প্রাপ্য নয়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .