গত ৩০শে আগস্ট জোরপূর্বক অন্তর্ধানের শিকারদের জন্যে ন্যায়বিচার দাবি করে ফিলিপাইন্সের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের প্রোফাইল ছবি সরিয়ে ফেলেছিল।
আন্তর্জাতিক অন্তর্ধান দিবসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ভাবেই অনলাইন প্রচারাভিযানটি চালানো হয়েছিল এবং একই সময়ে তাদের স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গেও সংহতি প্রকাশ করা হয়।
এছাড়াও এটি এই ২১শে সেপ্টেম্বর তারিখে স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের সামরিক শাসন জারির ৪০তম বার্ষিকী স্মরণ করার একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ। প্রচারাভিযানটি উদ্দেশ্যগুলোর কয়েকটি নিচে দেয়া হলো:
- মার্কোসের সময়ে প্রকাশ্য স্বৈরাচারী শাসন এবং মারাত্মক মানবাধিকার লংঘনের কথা স্মরণ করুন
– বর্তমান একুইনো প্রশাসনের ওপলান বায়ানিহান এর অধীনে দায়মুক্তি এবং পরিব্যাপ্ত মানবাধিকার লংঘনের পরিবেশ প্রতিফলিত এবং পর্যবেক্ষণ করুন
– সব ধরনের মানবাধিকার সংকোচন প্রতিরোধ এবং এর ভুক্তভোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের জন্যে বিচারের দাবি করুন।
মানবাধিকার জোট কারাপাতান এবং জোরপূর্বক অন্তর্ধানের শিকারদের পরিবারগুলোর সংগঠন দে সাপারেসিদোস অনলাইন একশন শুরু করেছে।
মানবাধিকার সমর্থনকারীরা, বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লংঘনের শিকারদের পরিবার এবং বন্ধু, এবং বিভিন্ন গণ সংগঠন ম্যানিলা এবং দেশের অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে।
তারা মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা বৃদ্ধির ডিক্রি জারি করেছে কারণ ২০১০ সালে রাষ্ট্রপতি নয়নয় একুইনোর মেয়াদ শুরু থেকে ১১জন অন্তর্ধানের শিকার হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে।
যে কিউয়েস্তা ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের জন্যে প্রচারাভিযানকে সমর্থন করতে তার ফেসবুক বন্ধুদের প্রোফাইল ছবি সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করেছেন:
প্রিয় বন্ধু ও সহকর্মীবৃন্দ,
সামরিক শাসনের দিন থেকে আজ পর্যন্ত নিখোঁজদের ন্যায়বিচার চাওয়া বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ৩০শে আগস্ট, বৃহস্পতিবার আপনাদের প্রোফাইল ছবি নামিয়ে ফেলুন। এছাড়াও এটা অবিলম্বে বলপূর্বক অন্তর্ধান বিরোধী বিল পাস কারার আহ্বানের সঙ্গে আমাদের একাত্মতাকে চিহ্নিত করে। ৩০শে আগস্ট হলো আন্তর্জাতিক অন্তর্ধান দিবস।
এখানে প্রচারাভিযানটির সমর্থনে সাধারণ ফেসবুক প্রোফাইল ছবি শূন্যতার বাইরে ফিলিপিনো নেটাগরিকদের ব্যবহৃত কিছু ছবি রয়েছে: