সুন্নি মাওলানা ড. আদেল হাসান আলহামেদকে বাহরাইনের বিচার এবং ইসলামী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শেখ খালেদ বিন আলী আল খলিফার আদেশে রিফা’র একটি প্রধান মসজিদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে তুবলি’র অন্য একটি মসজিদে বদলি করা হয়েছে বলে ইন্টারনেট এক্টিভিস্টরা জানিয়েছে।
গত শুক্রবারের খুৎবার সময় আওয়ালী এলাকায় রাজার দান করা জমিতে নতুন একটি রোমান ক্যাথলিক গির্জা নির্মাণ বিষয়ে প্রকাশ্য সমালোচনার কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে, এই সংবাদটি জানার পর মাওলানার সমর্থনে টুইটারে বিভিন্ন ধরনের প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে।
খুৎবাতে ড. আলহামেদ জমি দান করা এবং গির্জা নির্মাণ করার অনুমতি দেয়াকে “খৃস্টান পন্থী” এবং “পাশ্চাত্য দেশগুলিকে খুশি করার একটি প্রয়াস” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি (২০১১ সালের ঘটনাবলীর বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানকে নির্দেশ করে) ইতোপূর্বে তারা “ক্ষমতায় আসার সময় এই দেশের নেতৃত্বকে যে লাল সীমারেখা” টেনে দিয়েছিলেন তা এবং “আল্লাহর ন্যায্য ধর্ম যে আরো উচ্চতর এবং তাদের সমর্থন যোগ্য” সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে নামাজীদেরকে তাদের বিরোধিতা প্রকাশ করতে বলেছিলেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে “এসব ক্ষেত্রে নীরবতার আল্লাহর গজব টেনে আনতে পারে” (সম্পুর্ণ অডিও – আরবী)
ড. আলহামেদ গির্জাটির নির্মাণ এবং বাহরাইনকে রোমান ক্যাথলিক গির্জার ভাইকারেটগুলোর সদর দপ্তর করার বিরুদ্ধে একটি প্রকাশ্য বিবৃতি [নিচের বিবৃতিটিসহ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধের পর্দাছবি] জারি এবং এতে স্বাক্ষর করা ৬৮জন সুন্নি মাওলানার একজন।
বিবৃতিটিতে “জনগণের সর্বোচ্চ উপরকার বিবেচনায় এই জমিটির উপর আদেশ প্রদানকারীদেরকে তাদের অনুদান এবং অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয়ার” আবেদন জানানো হয়। আলহামেদ আরো যোগ করেছেন:
“এই ধর্ম এবং এর ধর্মানুষ্ঠান রক্ষা করা এবং বহু-ঈশ্বরবাদ এবং তার প্রকাশ হলো আল্লাহ প্রদত্ত কর্তব্য।”
টুইটারে ড. আলহামেদের বদলির সংবাদের প্রতিক্রিয়া ছিল বিভিন্ন রকম। সাবেক সাংসদ হামাদ আলমোহানাদি [আরবী ভাষায়] জিজ্ঞেস করেছেন:
যেই তুবলি’র নতুন মসজিদে শেখ আলহামেদকে বদলি করা হবে সেটিকে সুন্নি আধিপত্য বিশিষ্ট রিফা’র বিপরীত প্রধানতঃ শিয়া মুসলমান অধ্যূসিত এলাকা হিসেবে গণ্য করা হয়। জামাল ইব্রাহীম আলনাজেম টুইট করেছেন [আরবী ভাষায়] :
এছাড়াও সাবেক সাংসদ মোহাম্মেদ খালিদ বদলিটি সম্পর্কে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন [আরবী ভাষায়]: