ঈদ-উল ফিতর মুসলমানদের জন্য রোজার মাস-রমজান শেষ হবার বার্তা ঘোষণা করে, আর এর তিন দিন ধরে সারা আরব জাহানে উদযাপন চলে, অথবা ঐতিহ্য অনুসারে উদযাপিত হতে থাকে। তবে, এবারে সিরিয়া তার নাগরিকদের মৃতদেহ দাফন করা এবং বাহরাইনে পুলিশের গুলিতে এক ১৬ বছরের কিশোরকে কবরে শোয়ানোর কারণে দেশ দুটি নিরবে ঈদ উদযাপন করে।
সিরিয়া:
সিরিয়ার একটিভিস্ট রাজান সাফোউর আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন:
@রাজানস্পিকস:মুসলমানদের জন্য আজকের দিনটি হচ্ছে ঈদ-উল-ফিতরের শেষ দিন। আর #সিরিয়ায় ঈদের এই তিন দিনে আসাদ সরকার দেশটির ৫০০ নাগরিককে হত্যা করেছে।
ডোনা, যে কিনা সিরিয়ার বাস করে, সে টুইট করেছে:
@ডোনাটেলল্যাডার: #সিরিয়া টিভি সেনাদের সাহসিকতার সাথে “সন্ত্রাসীদের” খুন করার ঘটনায় ঈদের শুভেচ্ছা যুক্ত করেছে, এবং সেনাদের জন্য তারা এমন অনুষ্ঠান নির্মাণ করছে যে সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেনারা তাদের পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছে। #বিরক্তিকর
আরবের অন্য সব স্বৈরশাসকের মত সিরীয় শাসক গোষ্ঠীও, সরকারী মালিকানাধীন এবং/অথবা নিয়ন্ত্রিত প্রচার মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের, “সন্ত্রাসী” এবং “গুণ্ডা” বলে অভিহিত করে।
এবং আবদুল্লাহ আলদাহাম ইউটিউবে পোস্ট করা এই ভিডিওটি প্রদর্শন করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে হোমস নামক এলাকায় সরকারের একটি ট্যাঙ্ক দখল করায় সিরীয় শিশুরা বিষয়টিকে উপভোগ করছে, যারা ট্যাঙ্কটিকে একটি দোলনায় পরিণত করেছে:
ফিলিস্তিন:
এদিকে ফিলিস্তিনে, টুইটার ব্যবহারকারীরা সংবাদ প্রদান করেছে যে ঈদের দিনে তারা “বিস্ফোরণের” শব্দ শুনেছে।
পালো রাওয়ান টুইট করেছে:
@মাইফ্রিপ্যাল: পশ্চিম গাজায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইজরায়েলীরা আমাদের আনন্দদায়ক এক ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।#গাজা ঈদ মুবারক।
এবং রানা বাকের এর সাথে যোগ করেছে:
@রানাগাজা: ঈদের প্রথম দিনে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে #গাজা কেঁপে কেঁপে উঠেছে!
এদিকে নুর ওদেহা, যে কিনা রামাল্লাহ বাস করে, সে তার পাঠকদের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের দুর্দশার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে এবং সিরীয় নাগরিকদের জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ জানাচ্ছে:
বাহরাইন:
বাহরাইন থেকে সুহাইল আলগোসাইবি টুইট করেছে :
@সুহাইলআলগোইসাইবি:এক মিশ্র অনুভূতির দিন;আমরা যারা #বাহরাইনের নাগরিক তাদের সকলের জন্য ঈদ মুবারক, এবং বাহরাইনের নাগরিকদের মধ্যে আমরা যারা সম্প্রতি তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে, তাদের সকলের জন্য শোক প্রকাশ করছি।
ঈদের প্রাক্কালে দাঙ্গা পুলিশের হাতে হুশাম আল হাদ্দাদ নামক এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আল জাজিরার এক পোস্ট যা এই কাহিনীর সাথে যুক্ত, সেই পোস্ট অনুসারে, বাহরাইনের কর্মকর্তারা বলছে যে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাদের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করছে এবং তারা হাদ্দাদকে একজন “সন্ত্রাসী” বলে অভিহিত করছে।
হাদ্দাদের এই মৃত্যুর ঘটনা বাহরাইনের নাগরিকদের সিতরার আলি জাওয়াদ আল শেখ-এর হত্যার ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যে কিনা গত বছর ঈদের সময় খুন হয়েছিল।
পর পর দুই ঈদে দুই কিশোরের হত্যাকাণ্ড, একই সাথে কিশোরদের গ্রেফতারের ঘটনা নেট নাগরিকদের #ঈদ_উইদাউট_কিডস ( সন্তানদের ছাড়া ঈদ) নামক হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে নিজেদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে।
নুর রজব ইউটিউবের এই ভিডিওটি প্রদর্শন করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে সিতরায় নিরাপত্তা বাহিনী নাগরিকদের গৃহ লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে: