জোরালো বৃষ্টি ফিলিপাইন্সের মেট্রো ম্যানিলা এবং লুজন দ্বীপের নিকটবর্তী প্রদেশগুলোতে তীব্র বন্যা সৃষ্টি করেছে। দেশের প্রধান শহরকেন্দ্র মেট্রো ম্যানিলা ১৭টি শহর ও পৌরসভা নিয়ে গঠিত। সরকার ইতোমধ্যে সরকারী ও বেসরকারী উভয় ক্ষেত্রে ক্লাস এবং কাজ স্থগিত করেছে। প্রধানতঃ ফেসবুক ও টুইটার থেকে নেয়া নিচের ছবিগুলোতে এই লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি না থামার কারণে যে মহানগরে বন্যার পরিমাণ এবং পরিস্থিতির যে আরো অবনতি হতে পারে সেটা দেখানো হয়েছে।
সরকার মেট্রো ম্যানিলার প্লাবিত এলাকাসমূহের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। আরেকটি তালিকাতে এখনো ব্যাপকভাবে প্লাবিত রাস্তা-ঘাটগুলো দেখাচ্ছে। মিডিয়া গ্রুপগুলো মহানগরটির বিভিন্ন উদ্বাসন কেন্দ্র এবং ত্রাণ কার্যক্রমের একটি তালিকা সংকলিত করেছে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্যে টুইটার ব্যবহারকারীরা #ফিলিপাইনউদ্ধার এবং #ফিলিপাইনেরজন্যেপ্রার্থণা হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছে। নিচে মিডিয়া প্রতিবেদকদের ঘটমান দুর্যোগটি স্মরণ করিয়ে দেয়া একটি টুইট প্রদত্ত হলো:
@ক্যাটরে মিডিয়া বন্ধুগণ, আমরা কাজটির প্রশংসা করি। প্রার্থনা করি পানিতে সাংবাদিকদের কিছু হবে না। কিন্তু তারা সেরকম নয় বলে আমি তাদের নিরাপত্তার জন্যে প্রার্থনা করি। ভালো থাকুন।
কার্ল রামাতো রাস্ট্রপতির বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন:
প্রিয় একুইনো সরকার, গত রাতে বা আজ সকালের শুরুর দিকে আপনাদের ব্রিফিং করার উচিৎ ছিল। আমরা আপনাদের সম্মেলন কক্ষে বর্ষাতি বা জ্যাকেট পরে সেই সব বিষয়ে কথা বলতে দেখতে চাই না আমরা ইতোমধ্যে যা সম্পর্কে জানি অথবা বর্তমানে অভিজ্ঞতা নিচ্ছি। উভচর জাহাজে চড়ে প্লাবিত এলাকা চাক্ষুষ পরিদর্শন করুন। উদ্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করুন। কিছু একটা করুন। শুধু বসে থেকে কথা বলবেন না! অবশ্যই মাথা খাটাতে হবে।
বন্যা বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে নতুন মিডিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে কার্লো ওপল বলছেন:
বন্যা বিস্তৃতি লাভ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ছবি তুলে ফেসবুক ও টুইটার তা আপলোড করতে শুরু করেছে। ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক এবং তাদের নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক ছবিগুলো ভাগাভাগি করেছে। ছবিগুলো দেখাচ্ছে পরিস্থিতি কতটা খারাপ ছিল।