এই প্রবন্ধটি লন্ডন অলিম্পিক নিয়ে করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
১৯৯৬ সাল থেকে ককেশাস অঞ্চলের তিনটি রাষ্ট্র স্বাধীনভাবে অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আসছে এবং তারা সকলে এই গ্রীষ্মে লন্ডন অলিম্পিকে বেইজিং অলিম্পিকের রেকর্ডকে অনুসরণ করেছে, শারীরিক শক্তিমত্তার খেলায় এই অঞ্চল অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে, তারা সেই বিভাগের খেলায় অলিম্পিকে স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ অর্জন করেছে, যা তাদের নিজ নিজ দেশের সমর্থক এবং পুরুষ ও নারীদের অনেক আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করেছে।
পুরুষদের গ্রেকো রোমান কুস্তিতে আর্মেনিয়া একটি রৌপ্য ও বোঞ্জ লাভ করেছে এবং মেয়েদের ভারোত্তোলনে হ্রিপিসিম খুরশুদিয়ান বিস্ময়কর ভাবে একটি বোঞ্জ পদক পান, যে ঘটনাটি সামাজিক প্রচার মাধ্যমে অকস্মাৎ এক কার্যক্রমের সূচনা করে। এই জয় নামের বিভ্রান্তির মাঝে আর্মেনিয়া এমনকি একটি মন্তব্য তৈরি করে, যা করে মূলত আর্মেনিয়ার বিখ্যাত কারদেশিয়ান পরিবারের একজন সদস্য।
@RobKardashian: Yes shat hupart yev uraxem mer bolor Hye marsiknerits vor masnaktsumen 2012 tvi Olympiadayum. #Armenia
“লন্ডন অলিম্পিক ২০১২-এ অংশগ্রহণকারী আর্মেনিয়ার সকল ক্রীড়াবিদের জন্য আমি গর্বিত এবং আনন্দিত”।
@রবকার্দেশিয়ান: আর্মেনিয়ার নারী খুরশুদিয়ান এই মাত্র মেয়েদের ভারোত্তোলনে (ক্লিন এন্ড জার্ক বিভাগে) এই মাত্র পদক নিশ্চিত করল!
#আর্মেনিয়াপ্রাইড#লন্ডনঅলিম্পিক২০১২
অন্যদিকে আজারবাইযান, লন্ডন অলিম্পিক থেকে ১০টি পদক নিয়ে ঘরে ফিরেছে, যার মধ্যে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে পুরুষদের উন্মুক্ত কুস্তি প্রতিযোগিতা তুঘরুল আসগারভ এবং শারিফ শরিফভের পাওয়া দুটি স্বর্ণ পদক। এই বছর ইউরোভিশনের আয়োজক এই রাষ্ট্রটি একই সাথে দুটি রৌপ্য (দুটোই কুস্তিতে) এবং ছয়টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে ( কুস্তি, ভারোত্তোলন এবং মুষ্টিযুদ্ধে)।
@ফরিদা_আলিয়েভ: লন্ডন আমাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। এই অলিম্পিকে আজারবাইজান তার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যাক পদক পেল, মোট ১০ টি, যার মধ্যে দুটি স্বর্ণ, দুটি রৌপ্য, ছয়টি ব্রোঞ্জ রয়েছে।
#আজারবাইজান#এজেডই#অলিম্পিক@রজারমামেদভ:
#আজারবাইযান-এর কুস্তিগীররা অলিম্পিকে সত্যি বেশ ভাল করেছে, এখন নাগরিকরা জানবে আমি কোথা থেকে এসেছি।
@মিরইয়ানজুগেহেলি: ২০ বছর বয়সী জুডো খেলোয়াড় লাসা সাভদাতুশভিলি অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নে পরিণত হয়েছে!
#জর্জিয়া#ককেশাসcaucasus#তিবলিসি#জুডো#লন্ডন ২০১২
অলিম্পিকের একটি ফটো মন্তাজ এবং আলোচনা একত্রিত করার মধ্যে দিয়ে দি ককেশাস টাম্বলার, শক্তিমত্তা প্রদর্শনকারী ক্রীড়াতে আর্মেনিয়া, আজারবাইযান এবং জর্জিয়ার অবস্থান সম্পর্কে এক তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষন করেছেন:
কখনো কোনদিন, কোন অবস্থাতে ককেশাসের রাস্তায় মারামারিতে লিপ্ত হবেন না।
এই প্রবন্ধটি লন্ডন অলিম্পিক নিয়ে করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।