শনিবার (১১ই আগস্ট, ২০১২) ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে দু’টি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে যাতে ২৫০ জন নিহত এবং প্রায় ১,৮০০ জন আহত হয়েছে। এই ৬.৪ এবং ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি একটি ধ্বংসযজ্ঞ এবং দুর্ভোগ রেখে গিয়েছে। মৃতদের জন্যে শোক প্রকাশের পাশাপাশি রক্ত দান এবং সাহায্যের আহবান জানানোর জন্যে ইরানীরা ইন্টারনেটে হামলে পড়েছে। এছাড়াও ভূমিকম্প এবং কীভাবে দুর্গতদের সাহায্য করা যায় সে সম্পর্কে দর্শকদের তথ্য দেয়ার পরিবর্তে ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার কারণে তারা ইরানী জাতীয় টেলিভিশনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
দামাভান্দিয়েহ লিখেছেন [ফার্সী ভাষায়]:
গ্রামগুলোতে এখনো অনেক লোক ধ্বংসাবশেষের নিচে পড়ে রয়েছে। দেশের সমস্ত রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল [ইরানে কোন বেসরকারী চ্যানেল নেই] জনগণকে সাহায্যের জন্যে আহবান জানানোর পরিবর্তে ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। আজারবাইজানে ইরানের শীর্ষনেতার প্রতিনিধি বলেছেন, এই ভূমিকম্পটি আমাদের “কেয়ামতের দিনের” কথা মনে করিয়ে দেয়।
সবুজ শহর যোগ করেছে [ফার্সী ভাষায়]:
ধ্বংসাবশেষের নিচে পড়ে থাকা মানুষের সাহায্য দরকার কিন্তু ইরানী চ্যানেলগুলো ধর্মীয় অনুষ্ঠান [দু’আ জশন আল কবির] সম্প্রচার করছে যেখানে তাদের একজন ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক’ [স্লোগান] দেখাচ্ছে…
আন্দিশেহ বিয়োগান্তক ঘটনাটি সম্পর্কে বলেছেন ভুলগুলো থেকে কেন আমরা শিখি না:
আমাদের প্রত্যেকেই হয়তো সে জায়গায় গিয়েছিলাম… আমরা কেন পূর্ববর্তী ভূমিকম্পগুলো থেকে কোনো কিছু শিখি না… ছি! ইরানে বাড়িঘরের ভূমিকম্প সহনীয়তা বাড়াতে নিজেদের কর্মের বড়াই করার জন্যে টিভিতে মুখ দেখাতে আসা সব মিথ্যাবাদী।
বিদাদ একই ধরনের মনোভাব ভাগাভাগি করেছেন [ফার্সী ভাষায়]:
সমস্ত টেলিফোন যোগাযোগ বাঁধাগ্রস্ত এবং অর্ধেক প্রদেশ ধ্বংস হয়েছে, আর ভূমিকম্প সম্পর্কে মানুষকে জানানোর পরিবর্তে টেলিভিশন রোজার মতো সব ধর্মীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করছে।