সংঘর্ষের সূত্রপাতের মাঝে ন্যায়বিচার অনুসন্ধান হচ্ছে এমন একটি ঘটনা, যা মিশর, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, উগান্ডা এবং কলম্বিয়ার মাঝে এক সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দি কেস ফর জাস্টিস হচ্ছে একটি সিরিজ বা ধারাবাহিক ভিডিও যা কিনা প্রান্তিক ন্যায়বিচার (ট্রানজিশনাল জাস্টিস) নামে পরিচিত বিষয় নিয়ে বিতর্ক উপস্থাপন করেছে, এটি কয়েকটি পদ্ধতির সমন্বয় যা কিনা ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহিতাকে উপস্থাপন করার উপায় তৈরি করে দেয়।
ন্যায়বিচার ছবি ওলগা ব্যারিওস-এর ক্রিয়েটিভ কমন্স এ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্স অনুসারে ব্যবহার করা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ট্রানজিশনাল জাস্টিস-এর সাইট থেকে :
আমাদের ঘিরে ভিন্ন ভিন্ন যে মিথ রয়েছে তার মাধ্যমে এই বিতর্কের জটিলতার বিষয়টিকে সবচেয়ে সেরা উপায়ে চিত্রিত করা যায়। প্রান্তিক এই বিচারকে কেউ কেউ “হালকা এক বিচার” হিসেবে অভিহিত করেন, যা কিনা ব্যাপক নিপীড়ন অথবা দমনের ঘটনায় ঘটে থাকে; অন্যরা এক আলাদাভাবে অপরাধীর বিচার প্রক্রিয়ার সমান করে দেখে, এবং তারা তা করেন সম্পূর্ণভাবে অপরাধীর উপর মনোযোগ প্রদান করেন। অনেকে একে একটি সফল শান্তিচুক্তির প্রধান বাঁধা হিসেবে দেখে; অন্যরা আবার এক ক্ষত সারানোর এক যাদুকরী উপাদান হিসেবে দেখে, যা যুদ্ধ এবং নিপীড়নের ভয়ঙ্কর ভীতির ক্ষেত্রে দ্রুত নিরাময় করে।
মিশর, উগান্ডা, কলম্বিয়া এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর সাম্প্রতিক ইতিহাসের মধ্যে এই সব ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিসমূহকে তুলে ধরার জন্য দি কেস ফর জাস্টিস নামক ভিডিওর প্রকাশ করা হয়েছে:
নীচের এই ভিডিওটি ব্যাখ্যা করেছে প্রান্তিক ন্যায়বিচারের পেছনের কারণসমূহ ও কি ভাবে তা একটি সম্প্রদায় কণ্ঠ প্রদান করে এবং যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়, তাদের কেবল জনতার দ্বারা স্বীকৃত অপরাধের শিকার হিসেবে নয়, একই সাথে ন্যায় বিচারের দাবির ক্ষেত্রে নিজেদের অপরাধের শিকার হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ প্রদান করে, এবং তারা যাতে নিজেদের সম অধিকারের সাথে নিজদের নাগরিক সমানাধিকারের বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে, তার জন্য এটি জায়গা তৈরি করে।
তবে প্রান্তিক ন্যায়বিচার কোন যাদুকরী ঘা নিরাময়কারী নয়: এটা সকল সমস্যার সমাধান করার যোগ্য নয়, এমনকি একটি ট্রুথ কমিশন, এমন কি একজন স্বৈরশাসক যে কিনা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করে, এমনকি ঘটনার স্থানে এমন একটি পদ্ধতি যা ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করে, সে সব ক্ষেত্রেও । ন্যায়বিচার সাধন করার আগে হয়ত দশক কিংবা প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেগে যেতে পারে এবং সকলে হয়ত তা দেখে যেতে পারে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এটা যাদুকরী নয় বা ঘটনার সাথে সাথে বিচ্ছন্ন হয়ে যেতে পারে না যে এটা নাগরিকদের সাহায্য করে ন্যায়বিচার অনুসন্ধান করছে এবং যুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় অথবা সংঘর্ষে ঘটা ক্ষতি পূরণ পেতে পারে।
ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোয় যে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে তার কারণে একে বলা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, এখানে ব্যাপকহারে সংঘঠিত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ধর্ষণের ঘটনাকে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে একটি প্রক্রিয়া স্থাপন করা হয়েছে, যা কঙ্গো এবং আন্তর্জাতিক বিচারকদের একটি মিশ্র আদালত গঠন করা হয়েছে, যাতে এখানে সংঘঠিত অপরাধের শিকার নাগরিকদের কণ্ঠস্বর প্রদান করার একটি উপায় বের করা যায় এবং আশা করা যায় যে এর মাধ্যমে এই চিন্তা ধারার পরিবর্তন ঘটানো যাবে, সেই ক্ষেত্রে যেখানে শাস্তি প্রদান না করার ফলে সমাজের একটি বিশেষ অংশে এই বিশ্বাস গড়ে উঠে০ যে ধর্ষণ সমাজের একটি স্বাভাবিক ঘটনা।
আইসিটিজে ওয়েবসাইটের ফর দি কেস অফ জাস্টিস নামক বিভাগে প্রান্তিক ন্যায়বিচারের উপর আরো গভীর কিছু ভিডিও সাক্ষাৎকার এবং ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে।