এই প্রবন্ধটি লন্ডন অলিম্পিক-২০১২ নিয়ে করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।
[উল্লেখ ছাড়া সকল প্রবন্ধের লিঙ্ক ফরাসী ভাষার]
২৭ জুলাই, ২০১২-এ শুরু হওয়া লন্ডন অলিম্পিক যখন পুরোদমে চলছে, এমনকি তখন ক্যামেরুনের কোন খেলোয়াড় কোন পদক না পাওয়া সত্ত্বেও, তারা বেশ আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়। এর কারণ হচ্ছে, তারা এমন একটা বিষয়ে অসাধারণত্ব প্রদর্শন করেছে যাকে ইতোমধ্যে ইউরোপ্যাথালন (প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময় লন্ডনের অলিম্পিক ভিলেজ থেকে প্রতিযোগীদের পালিয়ে যাওয়া) হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ক্যামেরুন অলিম্পিক দলের ৩৩ জন সদস্যর মাঝ থেকে সাত জনের ক্রীড়াবিদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা আর্ন্তজাতিক প্রচার মাধ্যমের খবরের খোরাকে পরিণত হয়। এমনকি সিএনএন এবং দি নিউ ইয়র্ক টাইমস [ ইংরেজী ভাষায়] এই ঘটনার উপর সংবাদ প্রদান করেছে। ইউরোপীয় প্রচার মাধ্যমের বেশীর ভাগ অংশ এই রকম পলায়নের পেছনে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যকে মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করছে, যা ক্যামেরুনের সাংবাদিক ইদ্রিস লিঙ্গেও, তার ওয়েবসাইট ‘জার্নাল দু ক্যামেরুনে’ এই বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন:
Certains médias britanniques ont relevé le fait que ces défections pourraient trouver une justification dans la volonté de s’insérer en Europe, un environnement économiquement plus viable que leur pays. Citant une source camerounaise, l’agence Associated Press (AP) pour appuyer cette hypothèse a rappelé que le Cameroun selon les données du FMI (Fonds Monétaire International), est un pays où de nombreuses personnes vivent avec moins de 700 FCFA par jour.
আর কেবলমাত্র তারাই এই ব্যাখ্যা চিন্তা করেনি।
এই পলায়ন খুব সাধারণভাবে এমন এক অস্থিরতা তুলে ধরছে ক্যামেরুনের সকল তরুণকে আক্রান্ত করছে। আর এ কারণে ক্যামেরুনের ব্লগার ফ্লোরিন নাগউম্বিস-এর মতে এই ঘটনায় এই সমস্ত ক্রীড়াবিদদের নয়, বরঞ্চ পুরো ব্যবস্থাকে অভিযুক্ত উচিত। তিনি লিখেছেন:
C’est assez triste néanmoins de voir que notre pays est devenu une prison dont tout le monde veut s’échapper à tout prix. Que peut-on reprocher à ces jeunes gens ? De n’avoir pas osé ? Ils se sont tout de même retrouvés aux JO, au prix d’une qualification. Ce sont des athlètes. Des gens qui ont pris leur destin en main et se sont spécialisés dans la pratique du sport de haut niveau. Mais voilà, le sein sensé les nourrir s’est révélé empoisonné. L’un d’eux Edingue est un nageur et chaque jour, je me demande comment ce jeune homme est parvenu à aller aux jeux. J’ai beau chercher dans mon esprit, je ne vois aucune piscine olympique dans ce pays. Idem pour le gros du contingent, les boxeurs. Je ne sais pas si vous connaissez le camp de l’unité, le temple de la boxe à Yaoundé. Une vieille bâtisse sale, croulante, obscure. Un antre glauque que quelques passionnés maintiennent à flot tant bien que mal en formant sans moyens ni matériel une jeunesse qui n’a que l’envie comme motivation. Mais malgré ça, deux des boxeurs étaient médaillés des derniers jeux africains, dont un en or !
তাদের এই পলায়নের যৌক্তিক প্রমাণ করতে যেন সে এতে আরো যোগ করেছে:
Comment leur en vouloir ? Partir devient une nécessité, un devoir. Partir ou mourir. Partir ou voir son talent s’étioler jusqu’à ne devenir qu’un vague souvenir peuplant les soirées alcoolisées dans un bar pourri… ! Ce n’est pas la honte du Cameroun, ni celle de la majorité de notre peuple. Les responsables sont là. Tapis dans l’ombre mais pourtant connus. Ces vautours, ces vampires qui ponctionnent lentement mais sûrement le sang de la jeunesse, ses espoirs, ses rêves. Laissons les sportifs. Combien de jeunes gens profitent d’une bourse d’étude et ne reviennent jamais ? Combien de médecins s’en vont faire des stages et constatent que le bistouri est plus maniable en Europe qu’au Cameroun ?
কি ভাবে আমরা তাদের অভিযুক্ত করতে পারি? দেশত্যাগ এখন প্রয়োজনীয় বাস্তবতায়, এক দায়িত্বে পরিণত হয়েছে, হয় দেশত্যাগ কর, অথবা মারা যাও, কিংবা একজনের প্রতিভা ক্রমশ বিবর্ণ হওয়ার মত ঘটনাকে দেখতে হবে, যা কিনা এক সময় ছায়াবৃত এক পানশালায় পান করার সময় দূরের এক স্মৃতি বলে প্রতীয়মান হবে। এটা ক্যামেরুনের দোষ নয়, এটা আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষেরও দোষ নয়। যারা এর জন্য দায়ী, তারা এখনো সে সব জায়গায় রয়ে গেছে। তারা ছায়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা জানি তারা আসলে কারা। এই সমস্ত শকুন, রক্তচোষা, যারা ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে তরুণদের রক্ত শুষে নিচ্ছে, তাদের আশা, তাদের স্বপ্নকে। এই সমস্ত খেলোয়াড়দের নিজেদের নিজেদের হাতে ছেড়ে দিন। কত জন তরুণ বৃত্তির সুবিধা নিতে পারে, এবং আর কখনো দেশে ফেরে না? কতজন ডাক্তার ইন্টার্নী করার জন্য ইউরোপে যায় এবং তাদের শল্য চিকিৎসার ছুরিকে ক্যামেরুনের চেয়ে বেশী সেখানে গ্রহণযোগ্য হিসেবে আবিস্কার করে?
সে ক্ষেত্রে অভিযুক্ত হবে কে? ?
এই ভিডিও যা ইউটিউবে ব্যবহারকারী আফ্রিকাপ্লে২০১২ উঠিয়ে দিয়েছে, সেখানে অলিম্পিক ভিলেজ থেকে পালিয়ে যাওয়া অন্যতম এক মুষ্টিযোদ্ধা থমাস এসাম্বো, অলিম্পিক প্রতিযোগিতা শুরু হবার আগে তার এই বিষয়ে প্রাপ্ত প্রশিক্ষনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছে।
এই ঘটনা ক্যামেরুনের ভাবমূর্তিকে ক্ষতগ্রস্ত করুক বা না করুক, ক্যামেরুনের অনেক নাগরিক এই সমস্ত ক্রীড়াবিদদের সমর্থন করেছে। খেলোয়াড়দের এই ভাবে দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে নেওয়া ঠিক হবে না, যারা কিনা দেশের করদাতাদের টাকায় লন্ডন গিয়েছিল। বরঞ্চ তাদের এই পলায়নের ঘটনাকে এক ভিন্ন আলোকে দেখা উচিত। এর জন্য ক্রীড়াবিদদের অভিযুক্ত করা উচিত নয়, অন্তত ক্যামেরুনে এই বিষয়ে নেওয়া ব্যবস্থার চেয়ে বেশী নয়, যে ব্যবস্থা দেশের তরুণদের যে কোন মূল্যে ইউরোপে অভিবাসী হতে বাধ্য করে অথবা ইউরোপে প্রতিদিন তাদের যতই বিপদের মুখোমুখি হতে হোক না কেন, সেখানে তাদের থেকে যাওয়ার ইচ্ছাকে যৌক্তিক করে তোলে।
ফেসবুকে প্রকাশিত এক মন্তব্যে জোসু জ্য রেনে মাম্বো মোউসা ২, একই গল্প বলছে। সে বিশ্বাস করে যে এই সমস্ত ক্রিড়াবিদেরা ক্যামেরুনের ভাবমূর্তিকে ধুলায় লুটিয়ে দেয়নি, অন্তত যে ভাবমূর্তি তার আগে থেকে রয়েছে:
Mais quelle image notre pays lui-même se donne aux yeux du monde??? A choisir de vivre en Europe sans papiers avec l'espoir des lendemains meilleurs ou de vivre en Afrique où il n'y a aucun espoir, mon choix est vite fait… il y a misère et misère … on n'a pas le droit de juger les gens qui essayent désespérément de se sortir d'un quotidien incertains quelque soient les moyens, c'est une question de vie ou de mort et moi je suis fier de ces gens qui ont pu avoir le choix et qui ont choisi une vie hypothétique qu'une mort certaine.
তবে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়, ক্যামেরুন অনলাইন ফোরামের এক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, যে কিনা ফরাসী সংবাদপত্র লে ফিগারোয় প্রকাশিত এক প্রবন্ধের উক্তি প্রদান করেছে, উক্ত ব্যাক্তির সূত্রানুসারে:
La disparition d'athlètes à l'occasion de compétitions internationales est une tradition de longue date. Pendant la guerre froide, ces défections étaient favorablement accueillies par les pays occidentaux. Aux JO de 1956 à Melbourne, 45 sportifs hongrois avaient profité de la compétition pour demander l'asile, avec le soutien des États-Unis. Mais les pays riches ne sont plus aussi hospitaliers et voient désormais d'un mauvais œil ce phénomène récurrent.
তবে রাজনৈতিক কারনেও আফ্রিকার খেলোয়াড়রা কখনো কখনো এই ধরনের আসর থেকে পালিয়ে যায়, আর এই ঘটনার ক্ষেত্রে কেবল ক্যামেরুন একমাত্র দল নয়, যাদের খেলোয়াড়রা এই ধরনের কাজ করেছে।
এই প্রবন্ধটি লন্ডন অলিম্পিক-২০১২ নিয়ে করা আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ।