পর্তুগিজ চলচ্চিত্রকার আঁদ্রে সোরস স্ট্রুগা কবিতা সন্ধ্যা [1]র উপর একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তথ্যচিত্র [2] প্রকাশ করেন, এই আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবটি ম্যাসেডোনিয়ার স্ট্রুগা [3] শহরে ১৯৬২ সাল থেকে অর্ধ শতাব্দী ধরে বার্ষিক অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে (অফিসিয়াল ওয়েবসাইট [4]) ।
তথ্যচিত্রটিতে ম্যাসেডোনিয়ার কবি ভ্লাদিমির মার্টিনভোস্কি [5], একজন নির্বাসিত চীনা বেই লিং [6], ভারতের রতি সাক্সেনা [7], মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোরি মার্কস [8], এস্তোনিয়ার সিম কেরা [9], আলবানিয়ার মিমোজা সালি [10] সহ আরো অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন, তাঁরা কবিতার আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেছেন এবং তাঁদের কবিতা বিভিন্ন ভাষায় পড়েছেন।
শাসকদের সাথে মতানৈক্যের কারণে কারাগার অথবা নির্বাসিত জীবন বেঁচে নিতে হয় এমন পরিস্থিতির কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বেই লিং বলেন, চীন এখন আর তার স্বদেশ নয় কিন্তু আমার ভাষা চীনা । আশ্চর্যের ব্যাপার প্রখ্যাত ম্যাসেডোনিয়ান কবি এবং ভাষাতত্ববিদ ব্লেজ কোনেস্কি [11](১৯২১-১৯৯৩) এর একটি বিখ্যাত উক্তি সম্প্রতি স্থাপিত একটি স্মৃতিস্তম্ভে [12] [এমকে] উৎসর্গ করা হয় । উক্তিটি ছিল “আমাদের ভাষা আমাদের স্বদেশ”।
রাষ্ট্র-সমর্থিত সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়ালগণ যেমন সংস্কৃতি মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতির মত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এই উৎসবটির উদ্বোধন করে থাকেন। রাজনৈতিক কর্মী ব্লগার ও কবি ভ্নুকোট [13] ২০০৯ সালের সমালোচনামূলক পোস্টে [14] [এমকে] বলেন যে এটা অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ উন্নয়নের সহায়ক এমন কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। ২০১১ সালে বিশেষভাবে মার্টিন নেস্কোভস্কি খুন নিয়ে লিখিত প্রত্যাবর্তন [15] [ এমকে] নামে তাঁর কবিতা [15] তিনি জনসমক্ষে পাঠ করেন। এ ঘটনা এক বছর আগে পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে তৃণমূল পর্যায়ে বিক্ষোভের [16] সূচনা করে।
সারা বছর ধরে ম্যাসেডোনিয়ান ব্লগাররা উইকিপিডিয়ার তথ্য উদ্ধৃতি দিয়ে উৎসব নিয়ে ব্লগ লেখেন কোনেস্কি [17], মাতেজা মাতেভস্কি [18], জোভান কোটেস্কির(১৯৩২-২০০১) মত দেশীয় কবিদের নিয়ে। এ কবিরা ১৯৬৪ [19] ও ১৯৮১ [20] সালে অংশগ্রহণ করেন । অথবা তাঁরা জাপানী শুনতারো তানিকায়া [21], ফ্রেঞ্চ পিয়েরে বার্ন [22], রাশিয়ার ভাদিম ফেডোরোভিক তেরেহিন [23] ( আর ইউ উইকিপিডিয়া [24]) এর মত বিদেশী কবি যারা ম্যাসিডোনীয় ভাষায় কবিতা অনুবাদ করেন তাঁদের নিয়ে আলোচনা করেন।
সাংবাদিক ভাস্কো মার্কোভস্কি তার ব্লগে স্ট্রুগার কবিতা পার্ক নিয়ে একটি প্রতিবেদন [25] [এমকে] প্রকাশ করেন যেখানে বিশ্ব বিখ্যাত কবিদের রোপন করা গাছ সারি সারি বেড়ে উঠছে।