বিশ্বের যেখানেই হোক না কেন, বাজারগুলো রঙ, শব্দ আর জীবনে পরিপূর্ণ। আমাদের সঙ্গে – ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে – এল সালভাদর, মেক্সিকো, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের বাজার ভ্রমণে যোগ দিন।
রোকাক্রিস্তোর পাঠানো এল সালভাদরের সান্তা তেকলা বাজারের ভিডিওটি দেখার পর বারিস্তোহামনবানুয়ার এই বাজার এবং তার বাড়ির বাজারের মধ্যে মিল সম্পর্কে একথাই বলার ছিল:
…আমি ম্যানিলা থেকে এসেছি, আমি আপনার ভিডিওটি পছন্দ করেছি, মনে হচ্ছে আপনি ফিলিপাইনের কাঁচা বাজারে আছেন, সবজি, ফল, মিষ্টি আলু, এবং ফিলিপাইনে যাকে আমরা গ্রীষ্মকালে দেখতে পাই এবং সেনেগুয়েলা বলি সেই ছোট্ট গোলাকার ফলগুলো। আমি এই ভিডিওটি ভালবাসি।
ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ বোর্ণিওর লোক বা ইন্তানের ভাসমান বাজারে বিনিময় এবং বেচাকেনা।

ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ বোর্ণিওর খনি শহর মার্তসাপুরার কাছাকাছি অবস্থিত লোক বাইন্তান নদী বাজারে নিকটবর্তী গ্রামগুলো থেকে জনগণ ভোর ৫টা থেকে ৮টার মধ্যে উপস্থিত হয়। ছবি, বাইউয়িনাতা ©ডেমোটিক্স (১৪/৭/২০১২)
এমভিএমটেলিভিশনডিজিটাল মেক্সিকোর ওয়াক্সাকা বাজার পরিদর্শন করেছে। এই এক মিনিট ক্লিপটি আমাদেরকে সেই রঙিন জায়গাটি দেখায় যেখায় যেখানে অতিথিরা পোশাক, গয়না এবং আঞ্চলিক সুখাদ্য ঘাসফড়িং ও কীট অথবা হয়তো চমৎকার উষ্ণ এক কাপ ঝাল চকলেটসহ অন্য খাদ্য কিনতে পারে?
ভারতের এই মুম্বাইয়ের বাজারটি একটু ভিন্ন: ফল ও সবজির পরিবর্তে আপনি এখানে কুড়িয়ে আনা গাড়ির যন্ত্রাংশ, প্রাচীন বস্তু, ঠিকঠাক করা রেফ্রিজারেটর এবং টেলিভিশন পাবেন তাদের দামের একটি ভগ্নাংশের বিনিময়ে। পারাশের নির্মিত ২০০৭ সালের এই ভিডিওটি এই বাজারটির নামের উৎপত্তি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জ্ঞান দেয়: একজন টায়ার বিক্রেতা মনে করেন এটি আসলে মূলত “হৈচৈ” (হিন্দি শব্দ ‘শোর’) বাজার হিসেবে পরিচিত হলেও ইংরেজি নিয়ম অনুসারে অপভ্রংশ (বিকৃত) হয়ে “চোর” বাজারে পরিণত হয়েছে। আরেকজন বিক্রেতা প্রকৃত নামের পক্ষেই সুর তুললেন কারণ, এই বাজারে সাধারণতঃ চোরাই বস্তুই পাওয়া যায় তাই চোর এর অপ্রকৃত নাম নয়।
থাইল্যান্ডের ম্যাকলঙ বাজারের মাঝখান দিয়ে একটি ট্রেন দিনে আট বার চলাচল করে এবং প্রত্যেকবার যাওয়ার সময় বিক্রেতারা তাদের পসরা সরিয়ে নিয়ে রেলপথ পরিষ্কার করে দেয়। স্থানীয়দের জন্যে এটা সাধারণ একটা স্থান হলেও, কিছু পর্যটকের এই বাজারটি দেখতে আসার জন্যে শুধু জনগণের রেলপথ পরিষ্কার করার এই অনন্যতা টিই যথেষ্ট।