মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: পুলিশ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার পর এনাহেইম জেগেছে

২১শে জুলাই শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার এনাহেইমে পুলিশ ২৫ বছর বয়েসী নিরস্ত্র লাতিন মানুষ ম্যানুয়েল দিয়াজকে তাড়া করে গুলি করে হত্যা করার পরে সেখানকার কমিউনিটি তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার দাবি করে পুলিশের নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভসহ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। গুলি করার বিস্তারিত বিষয় এখনো তদন্তাধীন। একদিকে পুলিশ দাবি করেছে দাগী গ্যাং সদস্য দিয়াজ সন্দেহজনক আচরণ করছিল, অন্যদিকে স্বাক্ষীরা বলছে যে দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে। টুইটারে কিছু কিছু নেটনাগরিক তাকে পুঁজিবাদবিরোধী হিসেবে রিপোর্ট করেছে:

@সবরাস্তাদখল: #এনাহেইম পুলিশ আরেকজন মানুষকে হত্যা করেছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছে তিনি হাতকড়া বাঁধা ছিলেন। http://rt.com/usa/news/boston-woman-punishment-officer-886/ …

এদিকে বাজস’ ব্যাখ্যা করেছেন:

@মিলসিটিকৌতুক: তাদের জন্যে এটা সহজে ভেঙ্গে বলা যাক #এসএফপিডি & #এনাহেইম #এপিডি:  যখন আপনি হাতকড়া পরিহিত কাউকে গুলি করে হত্যা করবেন, তখন এটা একটা #হত্যা

বেনামীভাবে আপলোড করা এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে যে দিয়াজ মাটিতে পড়ে আছে (আর) একজন মানুষ চিৎকার করে বলছে “সে এখনও জীবিত আছে,”  এবং (তখন) সন্দেহভাজনকে সাহায্য করার পরিবর্তে পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।

গুলি করার সেই দিনই বাসিন্দারা পাথর এবং বোতল দিয়ে পুলিশের মুখোমুখি হলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হয়। নারী ও শিশুদের উপর পুলিশকে গুলি করতে দেখানো একটি ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বিক্ষোভের একটি ধারাবাহিক সৃষ্টি করে, যাকে কেউ কেউ এক ধরনের পুলিশী নৃশংসতা হিসেবে দেখছে।

http://youtu.be/VZV3iyMz470

আরেকটি ভিডিও শিশুদের দৃষ্টিকোন থেকে কাহিনীটিকে দেখিয়েছে:
এছাড়াও টুইটারে জনগণ এনাহেইমের পুলিশের আক্রমণগুলো সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সান ফ্রান্সিসকো থেকে ঘূর্ণায়মান করোটি বলেছেন:

@ঘূর্ণায়মানকরোটি: পুলিশের একটি কুকুর “ঘটনাক্রমে” কোন নিরস্ত্র মা এবং শিশুকে আক্রমণ করে তাহলে সেটা নিয়ে বলার কিছু নেই। কিন্তু আমরা জানি এটা হঠাৎ কোন ঘটনা ছিল না। #এনাহেইম

ব্লগার কিওরক্যান্টি তীব্র ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেছেন:

@কিওরক্যান্টি: #এনাহেইম পুলিশ প্রতি মাসে একজন নাগরিক হত্যা করে। বাসিন্দারা (এর) প্রতিবাদ করছে, তাই পুলিশ এটা বাড়িয়ে প্রতিদিন একটিতে পরিণত করেছে। @ভীতিবিভাগ

এদিকে ফ্রান মারক্যান্টি এন্থনি প্রশ্ন করেছেন:
@হ্যালোফ্রান্সেস: অনেক ভিডিওতে পুলিশের রাবার বুলেট ছোঁড়া দেখালেও কোনটি “কর্মকর্তাদের প্রতি বোতল এবং পাথর নিক্ষেপ” দেখায়নি কেন? #এনাহেইম http://latimesblogs.latimes.com/lanow/2012/07/anaheim-police-chief-concerned-officer-shootings.html …
অন্যান্যরা সেন্সর করার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল, যেমন ব্লগার কালো রাজহাঁস সন্দেহজনকভাবে উল্লেখ করেছেন:

 @সংবাদঘূর্ণিপাক: হুমমমমমম। ইউটিউব থেকে এনাহেইম পুলিশের হামলার ভিডিওগুলো মুছে ফেলা হয়েছে, এমনকি @ওসিসাপ্তাহিক এবং @সিবিএসএলএ থেকেও

তারপর ঘোষণা করা হয়েছে:

@সংবাদঘূর্ণিপাক: আপাতদৃষ্টিতে কেউ কেউ (হয়তো) চায় না আপনি লাতিন পরিবারগুলোর নাগরিক অধিকার লংঘন করা এনাহেইম পুলিশের নৃশংসতা দেখেন। ভিডিওগুলো উবে গিয়েছে।

এছাড়াও মূলতঃ এই দিনগুলোতে কলোরাডোর অরোরাতে বিয়োগান্তক ঘটনার (যেখানে একজন লোক একটি মুভি থিয়েটারের ভিতরে গুলি করে কমপক্ষে ১২জন লোককে হত্যা এবং কয়েক ডজনকে আহত করেছে) মিডিয়া কাভারেজ সম্পর্কে অভিযোগ ছিল।
জেসন গার্ডন বলেছেন:

@ওসিথেকেজেজি: প্রিয় @এনবিসিএলএ@সিবিএসএলএ এবং @এবিসি৭, আমি (আপনাদের) অরোরা’র (বিভিন্ন) বিষয় কাভার করার আন্তরিকতা সম্পর্কে জানি, কিন্তু এনাহেইম ঘটনার এত সামান্য কাভারেজ কেন?

সবশেষে,  চিলি পামারের মতো কেউ কেউ এমনকি গুলি করে মারার বিশ্বের অন্যান্য (স্থানের) খবরের সঙ্গে তুলনা করেছেন:

@এফ২২র‌্যাপোর্টেস: নারী এবং শিশুদের গুলি করে মারছে? নির্দোষ জনগণের উপর অসুস্থ কুকুর? এটা কি #আফগানিস্তান #ইরাক #সিরিয়া। না, এটা  #এনাহেইম  পুলিশ বিভাগ

অথবা থিংক মেক্সিকান অনলাইন কমিউনিটি যেমন নিন্দা জ্ঞাপন করেছে:
@থিংকমেক্সিকান: #এনাহেইম, ক্যালিফোর্নিয়াতেই যখন মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটে তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে অন্যান্য দেশের নিন্দা করে?  http://ow.ly/crpd0 
এনাহেইমে শনিবারে পুলিশের মারাত্মক গোলাগুলির এবং ম্যানুয়েল দিয়াজের জন্যে ন্যায়বিচার চেয়ে বিক্ষোভরত জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে একটি ফেসবুক আমন্ত্রণ  নিউ ইয়র্ক শহরের স্প্যানিশ হারলেমে একটি এফটিপি’র (“পুলিশের গুষ্টি মারো”- লিংকটি বাগধারাটির উৎপত্তিকে নির্দেশ করে) আহবান জানিয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .