এ পোস্টটি আমাদের বিশেষ কাভারেজ সিরিয়া প্রতিবাদ ২০১১/১২- এর অংশ
সিরিয়ার পরিস্থিতির কারনে হাজার হাজার সিরীয় দেশ থেকে পালাচ্ছেন, এদের অনেকেই প্রতিবেশী দেশ জর্ডানে গিয়েছে। জর্ডানিয় সরকারের একটি সূত্র জানায় যে কর্মকর্তারা সম্ভাব্য দশ লক্ষ সিরীয়র আগমনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
সরকার জর্ডানের উত্তরাংশে জাতিসংঘকে ২২ টি শরণার্থী শিবির স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। দাতব্য সংগঠন ও ব্যক্তিগত সহায়তায় এখন পর্যন্ত হাজারও সিরীয় জর্ডানের শহর ও মফস্বলগুলোতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ম্যাট কাফম্যান ও মেলিসা তাবিক জর্ডানে সিরীয় শরণার্থীদের দুর্দশার বিষয়ে লিখেনঃ
গতবছরের মার্চ থেকে জর্ডানে আশ্রয় গ্রহণকারী সিরীয়দের সংখ্যা অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষীণ ধারায় শুরু হয়ে এখন বন্যার রূপ লাভ করেছে; গত দুই মাসে উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘ হাই কমিশন বা ইউএনএইচসিআর- এ নিবন্ধনকৃত “পার্সন অব কন্সার্ন” এর সংখ্যা এক লাফে ১৩,৯৩৩ থেকে ২৪,০০০ এ উন্নীত হয়েছে- এ বৃদ্ধির হার ৭০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রকৃত সংখ্যা হবে ১২০,০০০। আরব বিশ্বের শরণার্থীদের জন্য জর্ডান নিরাপদ বেহেস্ত বলে বিবেচিত বিধায় – অনেকের ধারণা ৬০ লক্ষ ৫০ হাজার জর্ডানিয় অধ্যুষিত জর্ডানে ২০ লক্ষ ফিলিস্তিনী, ইরাকী ও লিবীয় শরণার্থী রয়েছে- সিরীয়দের পরিস্থিতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরের এ অন্তপ্রবাহ উভয়সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। জর্ডান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের শরণার্থী হিসেবে ঘোষণা না দিয়ে বরঞ্চ তাঁদের দেশের “অতিথি” হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র তুরস্ক সিরীয় শরণার্থীদের প্রথাগত তাঁবুর শিবিরে আশ্রয় দিয়েছে- রাজ্যের শহর ও গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শরণার্থীরা জর্ডানে নিরাপত্তা পেয়েছে, সীমিত সম্পদ ও বিদেশী অনুদানের উপর নির্ভর করা দেশটিতে শরনাথীরা ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার মানে সবসময় শালীনতা নয়; কখনো কখনো সিরীয় পরিবারগুলো দশের অধিক সংখ্যায় হয় এ পরিবারগুলোকে জনবহুল এপার্টমেন্ট গুলোতে গাদাগাদি করে বাস করতে হয়।
ফাওয়াজ বিলবেইসি বলেন:
@এফবিলবেইসি: # জর্ডানের বাদশাহ # সিরিয়ার সাথে সীমান্ত নিরাপত্তা কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন কিন্তু সহিংসতার কারনে সিরীয় শরণার্থীরা এখনও প্রবেশের অনুমতি পাবে
জাতিসংঘ শরণার্থী এজেন্সি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে:
@রিফিউজিস: এ সময়ে আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ যে # জর্ডান, লেবানন, তুরস্ক সীমান্ত খুলে দিয়েছে এবং #শরণার্থীরা সেখানে স্বাগত। # সিরিয়া
ব্লগার এসকেউমে আম্মানে অবস্থিত সিরীয় মহিলা সংস্থা পরিদর্শন করেছেন:
জর্ডানের আম্মানে অবস্থিত সিরীয় মহিলা সংস্থার পরিচালক উম এইসাম বলেন সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তাঁরা প্রায় ৪,০০০ শরণার্থীর নিবন্ধন করেছেন, শরণার্থীদের খাবার, বাসস্থান, পানি ও স্বাস্থ্য চিকিৎসা দিতে তাঁদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাঁরা আশা করছেন যে দামাস্কাস থেকে আসা শরণার্থীদের পরবর্তী প্রবাহ হবে সর্ববৃহৎ এবং তাঁদের জরদানে থাকার জন্য অর্থের সংস্থান করা খুবই কঠিন হবে। প্রতি রাতে কমপক্ষে ১০০ থেকে ৩০০ শরণার্থী সিরীয় মহিলা সংস্থায় আসে। সংগঠনের আরেকজন পরিচালক বলেন […] পার্শ্ববর্তী ভবনে যে ভবনটি সিরীয় মহিলা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত হয় সেখানে সিরীয় আহত শরণার্থীদের একটি বড় দল স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমান। একজন লোক জানান কয়েক মাস আগে সরকার বিরোধী আন্দোলনে কিভাবে তাঁরা আক্রান্ত হন এবং কেন জরডানীয়দের সেবা সত্বেও তাঁদের ক্ষতের চিকিৎসা এখন পর্যন্ত যথেষ্ট নয়। প্রায় তিনমাস আগে একজন দামাস্কাসের বাইরে এক গ্রামে সরকারী লোকজন কতৃক বাহু ও পেটে ছুরিকাঘাতের শিকার হন। এখন তিনি একজোড়া ক্রাচে ভোর দিয়ে চলেন। তার পাশেই ১৬– বছর-বয়সী একজন জানান সঠিক চিকিৎসার অভাবে কিভাবে সে তার বাম হাতটি পুরোপুরিই হারিয়েছে। খুব একটা ভরসা ছাড়াই তাঁরা জর্ডানে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে। তাঁরা দুজনেই অন্য দেশ জার্মানি ও মিশরে শল্য চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছে।
মেলিসা তাবিক-এর ( মেলিসাম্যারি৫২) এই ভিডিওটিতে সিরীয় শরণার্থী শিশুরা তাঁদের গল্প বলেছেঃ
এ পোস্টটি আমাদের বিশেষ কাভারেজ সিরিয়া প্রতিবাদ ২০১১/১২- এর অংশ